নিজস্ব প্রতিনিধি:
ফেনী সরকারি কলেজের ৯ শতাংশের বেশি জায়গা দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি চক্র। বধ্যভূমি সংলগ্ন স্থানে সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাঁধা দেয়া হলেও শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধিরা সম্মিলিতভাবে নির্মাণ কাজ চলমান রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বধ্যভূমির পুকুরে কাটাতারের বেড়া দিয়ে কলেজের সীমানা রয়েছে। সেখানে পুকুর ভরাট করে বধ্যভূমি নির্মাণ ও মাষ্টারপাড়া থেকে স্টেশন রোডে যাতায়াতে সড়ক নির্মাণের পর কলেজ অরক্ষিত হয়ে পড়ে। এর প্রেক্ষিতে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
কলেজের একটি সূত্র জানায়, ফেনী কলেজের পূর্ব দিকে রেলস্টেশন, রেললাইন ও দক্ষিণ দিকে আবাসিক ভবন থাকায় এবং চারদিকে নিরাপত্তা পাকা বাউন্ডারি না থাকায় দুপুর বেলা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বখাটে, মাতাল, জুয়াড়ি, মাদক সেবনকারী, নেশাগ্রস্থ লোকজন কলেজ অভ্যন্তরে বেআইনীভাবে অনুপ্রবেশ করে। তাদের উচ্ছৃঙ্খলতা, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও অসৎ কার্যকলাপে কলেজের ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী রীতিমত আতংকে থাকায় ইতোপূর্বে কলেজের নিজস্ব উদ্যেগে পূর্ব-উত্তর হতে দক্ষিণ দিকে অরক্ষিত অংশে পূর্বদিকে রেলওয়ে ও পৌরসভার রাস্তা বাদে শতবছরের সীমানায় পাকা পিলারযুক্ত কাঁটাতারের বেড়া দেয়া হয়। বেড়া অতিক্রম করে বখাটে ও মাদকসেবীদের আড্ডা অব্যহত রয়েছে।এমনকি মাস্টারপাড়ায় ছিনতাই করে কলেজের কাঁটাতারের বেড়া অতিক্রম করে পালিয়ে যায়।
ওই সূত্র আরো জানায়, সম্প্রতি বাউন্ডারির কাজ চলমান অবস্থায় তৎসংলগ্ন বাসিন্দা দাবীদার জাহাঙ্গীর আলম হাজারী কলেজের সীমানা প্রাচীরের ভিতর জায়গা পাবেন মর্মে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পিটিশন জমা দেন। এর প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মনজুর আহসান ফেনী মডেল থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমার আদেশ এবং কলেজ অধ্যক্ষ, ঠিকাদার ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন।
এদিকে সম্প্রতি সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজে বাঁধা দেন জাহাঙ্গীর আলম হাজারী। এনিয়ে গত ৪ মে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ এনামুল হক খোন্দকার বাউন্ডারির কাজ যেন বাধাগ্রস্ত না হয় মর্মে জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের কাছে প্রশাসনিক সহায়তা চেয়ে লিখিতভাবে আবেদন জানান।
অপরদিকে গতকাল সংবাদ সম্মেলন ডেকে কলেজ কর্তৃপক্ষ জায়গা দখল করে নিচ্ছে মর্মে অভিযোগ করেছেন জাহাঙ্গীর আলম হাজারী।