নিজস্ব প্রতিনিধি:
ফেনীতে নিহত কলেজ ছাত্রী মিতা রানী নাথকে হাসপাতালে নিয়ে আসা সে অজয় সাহার এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। অজয় সাহা ফেনী শহরের মডেল হাই স্কুলের পিছনে পূর্ব উকিল পাড়ার বাসিন্দা জয়ন্ত সাহার ছোট ছেলে। বাড়ী পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ড মধুপুরে। সে ফেনী সরকারি কলেজে ডিগ্রি ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানা যায়।
অজয় সাহা শনিবার রাত ৯ টার দিকে মুমূর্ষ মিতা রানীকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ সময় সে চিকিৎসককে মিতার বন্ধু পরিচয় দিয়ে থাকে এবং মিতা সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়েছে বলে জানায়৷ এরপর সে হাসপাতাল থেকে সটকে পড়ে ।সেই থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। গতকাল সোমবার রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
গতকাল সোমবার শহরের মডেল হাই স্কুলের পিছনে পূর্ব উকিল পাড়ার অজয় সাহার পিতা জয়ন্ত সাহা ও মাতা জলি সাহার সাথে কথা বলে জানা যায়, অজয় সাহা শনিবার দুপুরে তাকিয়া রোডে নিজেদের মুদি দোকান থেকে এসে দুপুরের খাবার খেয়ে ৩ টায় ঘুরতে যাচ্ছে বলে বাসা থেকে বের হয়। পরে তাদের সাথে আর যোগাযোগ হয়নি বলে জানায় অজয় সাহার পরিবার। তবে মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব ছিল বলে পরিবারকে জানায় অজয় সাহা৷ পরিবারের দাবি, অজয় সাহা মিতার অনুরোধে ঘুরতে গিয়েছিল। এ বিষয়ে মিতার বড় বোন পুজা দেবনাথ সবকিছু জানতো বলে জানায় তারা।
অজয় সাহার মা জলি সাহা ফেনীর সময়কে বলেন, “ আমার ছেলে ভালো। তারমধ্যে খারাপ কিছু আমরা দেখেনি। সে দুপুরে দোকান থেকে ঘুরতে যাচ্ছে বলে আমাদের জানায়। এরপর আমরা আর কথা বলতে পারিনি। কিন্তু ঘটনা এটা শুনার পর তার সাথে যোগাযোগ করলে সে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে মারা গেছে বলে জানায়।”
জালি সাহা আরো জানায়, “ ছেলে আমাদেরকে বলেছে, সে মেয়ে মূলত লং ড্রাইভে যাবে বলে আমার ছেলে নিয়ে যায়। আর পথে খাইয়ারায় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যায়। আমার ছেলে ওকে নিয়ে ঘুরতে গেছে যে মেয়ের বড় বোন জানতো।” এদিকে রবিবার ময়নাতদন্ত শেষে মিতুর সৎকার সম্পন্ন করা হয়।