দৈনিক ফেনীর সময়

খাদ্য সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশ প্রস্তুত: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

খাদ্য সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশ প্রস্তুত: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ আয়োজিত ‘সংঘাত ও খাদ্য নিরাপত্তা’ শীর্ষক এক উন্মুক্ত বিতর্কে তিনি এ কথা বলেছেন।

গত বৃহস্পতিবার (১৯ মে) অনুষ্ঠিত বিতর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ মহাসচিবের গ্লোবাল চ্যাম্পিয়নস গ্রুপ অন গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স-এ যোগ দিয়েছেন। আমরা কৃষি ও খাদ্য সুরক্ষার উত্তম চর্চাগুলো বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর সাথে ভাগ করে নিতে প্রস্তুত।’

তিনি কৃষি খাতে রূপান্তর এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে বাংলাদেশের অর্জনগুলো তুলে ধরে বলেন, ‘এর ফলে গ্রামীণ উন্নয়ন, প্রান্তিক জনগণের ক্ষমতায়ন এবং ক্ষুদ্র কৃষকদের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়েছে।’

‘এজেন্ডা-২০৩০’ বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বত্র নিরাপদ, পর্যাপ্ত ও পুষ্টিকর খাবারের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে সকলের একসঙ্গে কাজ করা অপরিহার্য, যাতে কেউ পেছনে পড়ে না থাকে।’

এসময় প্রতিমন্ত্রী উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং কার্যকর খাদ্য সংরক্ষণ ও বিতরণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার উপর জোর দেন। এ ক্ষেত্রে তিনি উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে আরো বেশি বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রাপ্তির উপর গুরুত্বারোপ করেন।

যুদ্ধ ও সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে যাতে গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য সরবরাহ অবকাঠামো ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায় তা নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক সংহতির আহ্বান জানান শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তা পরিষদ রেজুলেশন-২৪১৭ সমর্থন করি; যাতে সশস্ত্র সংঘর্ষের সময় যুদ্ধের পদ্ধতি হিসেবে বেসামরিক লোকদের অনাহারে রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং মানবিক কাজে নিয়োজিত সংস্থা ও কর্মীগণের নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশ নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।

প্রতিকুলতা মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে জলবায়ু সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি পূরণে উন্নত দেশগুলোকে আরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

এদিকে প্রতিমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি আবদুল্লাহ শাহীদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। প্রথম আন্তর্জাতিক অভিবাসন পর্যালোচনা ফোরামের ‘অগ্রগতি ঘোষণা’ বিষয়টি চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে কো-ফ্যাসিলিটেটর হিসেবে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমাকে নিয়োগ এবং তার উপর আস্থা রাখার জন্য সাধারণ পরিষদ সভাপতিকে ধন্যবাদ জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি জিবুতির অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী নূহ হাসানের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠকে ২০২৩-২৫ মেয়াদের জন্য মানবাধিকার কাউন্সিল নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রার্থীতাসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ইন্টারন্যাশনাল মাইগ্রেশন রিভিউ ফোরামে (আইএমআরএফ) উচ্চ পর্যায়ের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। খবর বাসস।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!