নতুন মানুষটির সঙ্গে বুড়িয়ে যেতে প্রস্তুত কণিকা। বিয়ের আসরে বসে নতুন জীবনের নবযাত্রায় অবলীলায় এসব কথা তিনি লিখেছেন বন্ধু ও অনুরাগীদের উদ্দেশে। কণিকা লিখেছেন, ‘একসঙ্গে নতুন জীবন শুরু করতে আমরা উদগ্রীব হয়ে আছি, তোমার সঙ্গে বুড়িয়ে যেতে, তোমাকে ভালোবাসতে এবং তোমার সঙ্গে শিখতে চাই। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, একসঙ্গে হাসতে চাই। প্রতিদিন আমাকে হাসানোর জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। আমার সেরা বন্ধু, সঙ্গী এবং আমার হিরো।’
কণিকার বিয়ের ছবি প্রথম ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন সুরকার শেখর রাভজিয়ানি। নবদম্পতি ও শিল্পী মনমিত সিংয়ের সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দর নববধূ…ভেতর ও বাইরে আমার সবচেয়ে সুন্দর বন্ধু কণিকা। তোমার ও গৌতমের চিরস্থায়ী ভালোবাসা, হাসিমুখ এবং সুখ কামনা করি। তোমরা একসঙ্গে সুন্দর। এই উজ্জ্বল হাসি চিরকাল তোমার মুখে লেগে থাকুক। ভালোবাসা নিও।’
কণিকা গাইলেই সেই গান হয়ে যায় ভাইরাল। কণিকার গানগুলোর দিকে চোখ রাখলে একঝলকে মনে পড়ে যাবে তাঁকে। বলিউডের ‘রাগিণী এমএমএস–২’ ছবিতে কণিকার ‘বেবি ডল’ গানটি বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। কিছুদিন আগে মুক্তি পাওয়া ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ ছবিতে তাঁর গাওয়া ‘ওঁ বলেগা ইয়া ওঁওঁ বলেগা সালা’ গানটি উষ্ণতা ছড়ায় পুরো দক্ষিণ এশিয়ায়। সর্বশেষ গত ২৮ এপ্রিল ‘বুহে বারিয়ান’ শিরোনামে প্রকাশিত হয় কণিকার একটি সংগীতচিত্র। দারুণ আলোচিত হয়েছে গানটি। এর আগে ‘চিটিয়া কালাইয়া’সহ তাঁর গাওয়া বেশ কিছু গান ভীষণ জনপ্রিয়তা পায়। এমনকি বাংলাদেশের নায়িকা পরীমনির প্রথম সিনেমা রক্ত, সেখানেও কণিকার গাওয়া ‘ডানাকাটা পরী’ গানটি জনপ্রিয়তা পেয়েছিল সেখানে। সেরা কণ্ঠশিল্পী হিসেবে কণিকা ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ডসহ বেশ কিছু পুরস্কার পেয়েছেন। সুখময় নতুন জীবন কামনা করে কণিকাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলিউডের বন্ধুরা।
এটি কণিকার দ্বিতীয় বিয়ে। এর আগে মাত্র ১৮ বছর বয়সে রাজ চন্দকের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন তিনি। রাজও লন্ডনপ্রবাসী ব্যবসায়ী। ২০১২ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। তাঁদের রয়েছে তিন সন্তান।