নতুন করে এই পরিষেবা চালু করা হলেও বাসভাড়া আগে যা ছিল, তা–ই থাকবে। অর্থাৎ কলকাতা ঢাকার বাসভাড়া থাকছে সেই ১ হাজার ৪০০ রুপিতেই। প্রতি সোম, বুধ ও শুক্রবার সকাল সাতটায় এই বাস সল্টলেকের করুণাময়ী আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাল থেকে ছাড়বে। আবার ঢাকা থেকে এই বাস মঙ্গল, বুধ ও শুক্রবার ছাড়বে ঢাকার কমলাপুরের বিআরটিসি বাস টার্মিনাল থেকে।
আর ১ জুন আরও চালু হচ্ছে কলকাতা-ঢাকা-আগরতলার মধ্যে বাস চলাচলও। এই বাস কলকাতা থেকে সোম, বুধ ও শুক্রবার করুণাময়ী বাস টার্মিনাল থেকে ছাড়বে দুপুর পৌনে ১২টায়। আর আগরতলা থেকে ছাড়বে পরের দিন বিকেল চায়টায়। কলকাতা-আগরতলার ভাড়াও বাড়ানো হয়নি। আগের মতো ১ হাজার ৮০০ রুপিই থাকছে।
তবে কলকাতা থেকে বাকি তিন দিন—মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার এ পথে বাস চালাবে বাংলাদেশের বিআরটিসি। উভয় পরিবহন সংস্থা রোববার বন্ধ রাখবে এই বাস পরিষেবা। অবনী ঘোষ আরও বলেছেন, একই সঙ্গে তাঁরা সপ্তাহের তিন দিন কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা রুটেও বাস চালাবে। ১৯৯৯ সালের ১৯ জুন কলকাতা-ঢাকার মধ্যে প্রথম শুরু হয়েছিল যাত্রীবাহী বাস চলাচল। আর আগরতলা-কলকাতার মধ্যে বাস চলাচল শুরু হয় ৬ জুন ২০১৫ থেকে।
এদিকে ২৯ মে থেকে কলকাতা-ঢাকা-কলকাতার মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনও আবার চালু হচ্ছে । এদিন কলকাতা খুলনার মধ্যেও চালু হচ্ছে বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচলও। আর পশ্চিমবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ১ জুন প্রথম চালু করা হচ্ছে যাত্রীবাহী ট্রেন মিতালি এক্সপ্রেস । করোনার মধ্যে গত বছর মার্চে এই ট্রেন চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও এটা আর চলেনি। এবার ১ জুন থেকে নিয়মিত চলবে মিতালি এক্সপ্রেস।