অনলাইন ডেস্ক:
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। আগামী মাসের শেষ সপ্তাহের আগেই পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হবে। এ সেতুর জন্য শরীয়তপুরের মানুষ সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও কঠোর নির্দেশনায় শত শত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সৎভাবে আমরা পদ্মা সেতু করতে পেরেছি।
শনিবার (২১ মে) বিকেলে শরীয়তপুর পুলিশ লাইনস মিলনায়তনে উগ্রবাদ প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য অংশীজনের ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন বলেন, আমাদের স্বাধীনতার পেছনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চেষ্টা ও স্বপ্ন কাজ করেছে। এ বাংলা হাজার বছর শোষণ-বঞ্চনা ও দারিদ্র্য দুষ্টচক্রের ভিতরে ছিল। শিক্ষা ছিল না, রাস্তা-ঘাট ও মানুষের কর্মসংস্থান ছিল না। মানুষের ওপর নির্যাতন অত্যাচার ছিল। সে জায়গা থেকে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা ও মুক্তি দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্দোলন সংগ্রাম করেছিলেন। তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন সোনার বাংলা গড়ার। তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন।
এসময় পুলিশের আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, দেশের মানুষের, রাষ্ট্রের, সমাজের, কমিউনিটি ও নাগরিকের সঙ্গে উগ্রবাদীর কোনো সম্পর্ক নেই। উগ্রবাদ একটি বিজাতীয় সংস্কৃতি। আমাদের দেশে বার বার এ বিজাতীয় সংস্কৃতি আছরে পড়ার চেষ্টা করেছে। প্রতিবারই আমরা এদেশের মানুষের সহায়তা নিয়ে এদের নির্মূল করেছি।
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে র্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান, শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।