দৈনিক ফেনীর সময়

সন্ত্রাস ও সহিংসতামুক্ত জাতীয় নির্বাচনের পথ দেখাবে কুমিল্লা সিটি নির্বাচন

সন্ত্রাস ও সহিংসতামুক্ত জাতীয় নির্বাচনের পথ দেখাবে কুমিল্লা সিটি নির্বাচন

অনলাইন ডেস্কঃ

SS

আরফানুল হক রিফাত নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি থেকে বহিস্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী, সদ্য বিদায়ী মেয়র মনিরুল হক সাক্কু টেবিল ঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট।

কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমিতে সিটি নির্বাচনের ফলাফলের জন্য তৈরি করা অস্থায়ী মঞ্চে রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী আজ বুধবার রাতে এই ফলাফল ঘোষণা করেন। কমিশন ঘোষিত ফলাফলে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত অপর প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯৯ ভোট।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেছেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনসহ পাঁচটি পৌরসভা ও ১৭৬টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ হয়েছে।

কুসিক নির্বাচনকে ঘিরে একটি নিরপেক্ষ ও স্বার্থের দ্বন্দ্বমুক্ত প্রশাসন নিশ্চিতে সংসদ সদস্য এর এখতিয়ার, দায়িত্ব ও আচরণ নিয়ে অনভিপ্রেত এক বিতর্কে জড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন। যার কারণে প্রার্থীদের হার-জিতের ফলাফলের চেয়ে ও দেশজুড়ে আলোচনা ও অগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল নতুন নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা ও আস্থা অর্জনের পরীক্ষায় উত্তীর্ন্ন হওয়া। ১৩ জুন ২০২২ প্রথম আলোতে “কুমিল্লায় যিনিই জিতুন, নির্বাচনটি যেন না হারে” শীর্ষক নিবন্ধে সোহরাব হাসান লিখেছেন “কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন কঠিন পরীক্ষায় ফেলেছে নির্বাচন কমিশনকে।
 
কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের এটাই স্থানীয় সরকার সংস্থার প্রথম বড় নির্বাচন। কুমিল্লা তো বটেই, সারা দেশের মানুষ দেখতে চাইবে এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছে কি না। সিইসির ভাষায় ভোট জালিয়াতদের ‘ব্ল্যাকআউট’ করে দিতে পেরেছে কি না।

আর নির্বাচনের প্রতি ভোটারদের আস্থা ফিরিয়ে আনা হবে ক্ষমতাসীনদের জন্য কঠিনতর পরীক্ষা। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন ছাড়াও সাম্প্রতিক কালে স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোতে যে একতরফা ও জবরদস্তির ভোট হয়েছে, তাতে নির্বাচনব্যবস্থার প্রতিই মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। আমরা যদি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের আগে দুটি নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করি, দেখা যাবে সেখানে দলীয় প্রতীকের চেয়ে প্রার্থীর ইমেজ জয়ে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে।

কুমিল্লা সিটির রাজনৈতিক মেরুকরণ ভোটের মাঠে তিন প্রার্থীর (রিফাত-সাক্কু-কায়সার) প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস ও ভোটপূর্ব আলোচনা ছিল নগরজুড়ে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে সিটি করপোরেশন এলাকা ছেড়ে যাননি কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন বাহার। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কোনো সংসদ সদস্যকে তার নিজ নির্বাচনী এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলা তার মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপের সামিল বলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
 
মন্ত্রী বলেন, প্রথমত আমার প্রশ্ন হচ্ছে যিনি ওই এলাকার সংসদ সদস্য, ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা যিনি ওই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ভোটার, তাকে নির্বাচন কমিশন এলাকা ছাড়ার কথা বলতে পারে কিনা। এটি কী তার মৌলিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ নয়? তাহলে তো ঢাকা শহরে যখন সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে, তখন ঢাকা থেকে নির্বাচিত সব সংসদ সদস্য, মন্ত্রীদেরও ঢাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে। তিনি বলেন, এভাবে তাকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে তার মৌলিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করা হয়েছে।

ড. হাছান বলেন, তিনি যাতে কোনো নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা বা নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ না করেন, সেটির নির্দেশনা অবশ্যই থাকবে, থাকা বাঞ্ছনীয় এবং সেটি করলে, অন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হতে পারে, কিন্তু যিনি ওখানে ভোটার ঐ এলাকার সংসদ সদস্য, তাকে নিজের ভিটে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলা কি সমীচীন হয়েছে, সেটিই হচ্ছে প্রশ্ন ?

ড. হাছান বলেন, এলাকা ছেড়ে যেতে হবে, এটি দুনিয়ার কোথাও নাই। সংসদ সদস্যরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না- এটি ভারতে নাই, পাকিস্তানে নাই, ইংল্যান্ডে নাই, কন্টিনেন্টাল ইউরোপে নাই, অস্ট্রেলিয়া, জাপানে নাই, কোথাও নাই। সেই আইনটাও কিন্তু বৈষম্যমূলক।

হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে অনেক কাগজে দেখলাম এটি নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। এখানে নির্বাচন কমিশন কী ভুল করেছে, আগে সেটি আলোচনা হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। [১৪ জুন, ২০২২ (বাসস)]

“একজন এমপিকে বের করতে পারেনি, কতটা অসহায় ইসি!”
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন- নির্বাচনী নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে একজন সংসদ সদস্যকে (এমপি) নির্বাচনী এলাকা থেকে বের করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। এ থেকে বোঝা যায় নির্বাচন কমিশন কতটা ব্যর্থ, কতটা অসহায়। (যুগান্তর, ১৪ জুন ২০২২)

একটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশে বহুপ্রতীক্ষিত গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে সর্বাগ্রে যে আস্থা তৈরির পরিবেশ গঠন সরকারের অগ্রাধিকার ছিল তা শুরুতেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল। নির্বাচনী পরামর্শদাতা সু নেলসন “নির্বাচন অখণ্ডতা” এর প্রধান লেখক তিনি বলেন- নির্বাচনী আইন ও প্রবিধানের প্রয়োগ অবাধ, সুষ্ঠু ও নির্ভরযোগ্য নির্বাচনের একটি অপরিহার্য উপাদান, সেগুলো যেখানেই অনুষ্ঠিত হোক না কেন। ভাল প্রয়োগ নিশ্চিত করে না যে নির্বাচনের জন্য আইনি এবং নিয়ন্ত্রক কাঠামো প্রয়োগ করা হয় এবং সম্মান করা হয়, তবে ভোটারদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বৈধতা নিশ্চিত করে। এটি জবাবদিহি-তাকে উৎসাহিত করে, প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে, স্বচ্ছতা বাড়ায় এবং নির্বাচনী ফলাফলে আস্থা তৈরি করে।

নির্বাচনী আইন প্রয়োগের জন্য ভোটার, প্রার্থী এবং অন্যদের প্রক্রিয়ার সন্দেহজনক অংশগুলোকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য এবং তাদের অভিযোগগুলি তদন্ত ও সমাধান করার জন্য একটি ব্যবস্থার প্রয়োজন। অনেক নির্বাচনী বিরোধ জালিয়াতি বা নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের উপর ভিত্তি করে। প্রতিটি সিস্টেম নির্বাচনী বিরোধগুলো পরিচালনা করা এবং সেই বিরোধগুলো সমাধানের সময় পাওয়া যে কোনও অবৈধ পদক্ষেপ প্রক্রিয়াকরণের নিজস্ব উপায় তৈরি করেছে। বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচনের প্রয়োগকারী শাসন ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে মিলগুলো লক্ষণীয়। তাদের একই মৌলিক উদ্দেশ্য রয়েছে এবং বৃহৎ পরিমাপে, একই মৌলিক কাজগুলো অপরাধ হিসাবে চিহ্নিত করে। তারা প্রায় উচ্চ চার্জযুক্ত এবং রাজনৈতিক পরিবেশের মধ্যে নিরপেক্ষ, সময়োপযোগী এবং কার্যকর প্রয়োগ প্রদানের একই সমস্যার সম্মুখীন হয়। পার্থক্যগুলো প্রতিটি দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান এবং ইতিহাসকে প্রতিফলিত করে এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তারা সবচেয়ে প্রত্যক্ষ হুমকি হিসাবে তা বিবেচনা করে। ঐতিহাসিক এবং সম্ভাব্য হুমকির উপর এই ফোকাস প্রতিষ্ঠানের পছন্দ, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া ক্ষমতার পরিমাণ এবং নিষেধাজ্ঞার তীব্রতা প্রতিফলিত হয়।

এনফোর্সমেন্ট সিস্টেম প্রতিটি এখতিয়ারের আইনি এবং নিয়ন্ত্রক কাঠামোর অংশ গঠন করে। যাইহোক, যদি না একটি এনফোর্সমেন্ট সিস্টেমকে সম্মান করা হয় এবং যথাযথভাবে ব্যবহার করা হয়, তবে এর মূল্য প্রশ্নবিদ্ধ। আইন লঙ্ঘনকারীদের জন্য ব্যাপক দায়মুক্তি বা পক্ষপাতমূলক উদ্দেশ্যে প্রয়োগকারীর ব্যবহার জনগণের আস্থা নষ্ট করে এবং নির্বাচনের ফলাফলের বৈধতাকে মেঘে পরিণত করতে পারে।

সংবাদসূত্রে প্রকাশ গত ১৩ জুন- কুমিল্লা নগরের নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনের বাইরে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ইসি রাশিদা সুলতানা বলেন, আইনের কিছু ফাঁকফোকর ব্যবহার করে সংসদ সদস্য বাহার কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় অবস্থান করছেন। আমাদেরও সময় আসবে। ওয়েট অ্যান্ড সি। এ সময় কমিশনার আহসান হাবিব সরকারদলীয় ওই এমপির উদ্দেশে বলেন, আইনপ্রণেতা হয়ে আপনি নিজেই ব্যর্থ হলেন। এরপর কুমিল্লা সিটি নির্বাচনকে উদাহরণ হিসেবে নেবে বাংলাদেশের মানুষ। যেখানে ভোটের পরিবেশ ভালো থাকবে না, সেই কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে।

বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণার পর “আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়ার ঘোষণা সাক্কুর”
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) নির্বাচনে হেরে গিয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়ার ঘোষাণা দিয়েছেন টানা দুইবারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের কাছে ৩৪৩ ভোটে হেরে সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় সাক্কু বলেন, আমার বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। দুই ঘণ্টা ফলাফল আটকে রাখা হলো। এটা গায়ের জোরে আটকে রাখা হলো। এখন আমি  আইনি প্রক্রিয়ায় যাব। তিনি আরও বলেন, আমার কাছে ফলাফলের কাগজ আছে। এটা অন্যায়। এর মাধ্যমে প্রমাণ হলো নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা দেখাতে পারেনি। (যুগান্তর, ১৫ জুন ২০২২)

নির্বাচন কমিশনের দেওয়া চিঠির ভাষা এখতিয়ার বহির্ভূত বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার। বুধবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রে ভোট দেয়া শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। বাহার বলেন, নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনের আইন মানতে হবে। আমি খুব দুঃখ পেয়েছি। একজন নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, আমি আইন প্রণেতা হয়ে আইন ভঙ্গ করেছি। আমাকে কোথাও দেখেছেন নির্বাচনে? ইসি যে চিঠি দিয়েছে তা এখতিয়ার বহির্ভূত এবং ভাষাগতভাবেও ঠিক হয়নি উল্লেখ করে কুমিল্লার এই এমপি বলেন, একজন জাতীয় সংসদ সদস্যকে এইভাবে নির্দেশ শব্দ ব্যবহার করতে পারে না। চিঠিটা অসমাপ্ত ছিল। আইনের পুরো ব্যাখ্যা ছিল না। আইনটি নিয়ে সংসদে কথা বলবেন বলে জানান এবং তা সংশোধন করার আশা প্রকাশ করেন। (মানবজমিন, ১৫ জুন)

বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে একটি রিট চলছে, এর চূড়ান্ত ফলাফলই  নির্ধারণ করবে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া চিঠিটি বেআইনি ও কর্তৃত্ব বহির্ভুত কিনা?

বাংলাদেশে  নির্বাচন অনুষ্ঠান একটি চ্যালেঞ্জ স্বরূপ, এ চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে বর্তমান নির্বাচন কমিশন কুমিল্লায় যে নির্বাচনটি  সম্পন্ন করেছে তার জন্য তাদের সর্বোচ্চ নম্বর দেওয়া না গেলেও সম্পূর্ন্ন ব্যর্থতার দায়ভার চাপানোর কোনো সুযোগ নেই। এ নির্বাচনে বিএনপি দলীয়ভাবে যদিও অংশ নেয়নি তারপর ও বিএনপি থেকে বহিস্কৃত দুইজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর সম্মিলিত ফলাফল তাদের শক্তির জানান দেয়। ইভিএম মেশিনের ধীরগতির পর ও  ৬০% ভোট পড়েছে এবং কোথাও কোনো সন্ত্রাস সহিংসতা ঘটেনি। নির্বাচনের ফল প্রকাশের সময়  কিছু ত্রুটি ও সীমাবদ্ধতা দৃশ্যমান সেখানে  আইনের কোনো বত্যয় ঘটেছে কিনা এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সিইসির অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার অব্যাহত চেষ্টার অংশ হিসেবে প্রয়োজনে কিছু নির্বাচনী আইনের সংস্কার  করতে হবে।  “কুমিল্লায় যিনিই জিতুন, নির্বাচনটি যেন না হারে” আমরা এর জবাব পেয়ে গেছি; তবে আত্মসন্তুষ্টি একটি আপেক্ষিক ব্যাপার। সন্ত্রাস ও সহিংসতামুক্ত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন  আগামী জাতীয় নির্বাচনের পথ দেখাবে- এ প্রত্যাশা সবার।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!