অনলাইন ডেস্কঃ
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া এক ইতালি প্রবাসীর স্ত্রীসহ (২৩) দুই নারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তাদের কাছ থেকে ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ জুন) রাত সাড়ে ১১টায় র্যাব-১১ (সিপিসি-৩) নোয়াখালী কার্যালয়ের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ইতালি প্রবাসী মো. হুমায়ুন কবিরের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোর ৫টায় নোয়াখালী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ছদ্মনামের সামিরা খাতুন (২৩) ও সালমা আক্তারকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার সামিরা খাতুন সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভদ্রগাঁও গ্রামের মেইকার বাড়ির গোলাম নবীর মেয়ে এবং সালমা আক্তার সদর উপজেলা ধর্মপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মপুর গ্রামের খোকন মিয়ার বাড়ির আবদুল লতিফের (ছদ্মনাম) স্ত্রী।
অভিযানের সময় পরকীয়া প্রেমিক ফারুক হোসেন (৩০) ও তার সহযোগী নাহিদুল ইসলাম (৪৪) পালিয়ে যান। ফারুক সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর গ্রামের জব্বার আলী মিসাব বাড়ির আবুল কালামের ছেলে ও নাহিদুল সদর উপজেলা ধর্মপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মপুর গ্রামের খোকন মিয়ার বাড়ির মৃত খোকন মিয়ার ছেলে।
র্যাব জানায়, ইতালি প্রবাসীর স্ত্রী সামিরার সঙ্গে আসামি ফারুকের দীর্ঘদিনের পরকীয়া প্রেম ও অবৈধ সম্পর্ক চলে আসছিল। বিষয়টি জানতে পেরে স্বামী হুমায়ুন কবির ইতালি থেকে দেশে ফিরে স্ত্রীকে সংশোধনের চেষ্টা করেন। পরে হুমায়ুন কবিরকে নারী নির্যাতনের মামলার ভয় দেখালে ১২ জুন (রোববার) তিনি সোনাইমুড়ীর একটি মসজিদে তিনদিনের জন্য তাবলিগে যান। এ সুযোগে গত ১৪ জুন (মঙ্গলবার) সামিরা স্বামীর দেওয়া ১৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন নিয়ে পরকীয়া প্রেমিক ফারুকের সঙ্গে পালিয় যান।
উদ্ধার করা মোবাইল ফোনে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগের অশালীন কথাবার্তা ও অশ্লিল ছবি আদান-প্রদানের স্ক্রিনশট জব্দ করা হয়েছে। পরে সোনাইমুড়ী থানায় মামলা দিয়ে আসামিদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুনুর রশিদ জাগো নিউজকে বলেন, মামলা রুজু করে গ্রেফতার দুই নারী আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।