নিজস্ব প্রতিনিধি :
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা বলেছেন, স্বপনের মোবাইলে পর্নোগ্রাফির ভিডিও ছাড়া অন্য কোন ভিডিও পাওয়া যায়নি। এসব ভিডিও থেকে এ ধরনের জঘন্য কাজে উৎসাহিত হয়। স্বপনের মধ্যে বুনো জানোয়ার জেগে উঠে।
শিশু মিফতাহুল মালিহা আফরাকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার আনোয়ার হোসেন স্বপনকে রবিবার কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এরপর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা। তিনি বলেন, শ্রেণিকক্ষ থেকে প্রাকৃতিক ডাকে বের হওয়ার পর আফরাকে আড়ালে নিয়ে ধর্ষণ করে স্বপন। আফরা যখন বাবা-মাকে বলে দেবে বলেছিল তখন গলা টিপে হত্যা করা হয়। মামলা হওয়ার ১২ ঘন্টার মধ্যে সোনাগাজী সার্কেলের এএসপি মাশকুর রহমান ও দাগনভূঞা থানার ওসি হাসান ইমামের প্রত্যক্ষ অবদানে আসামী গ্রেফতার হয়।
তার দাবী, ঘটনা যত গভীরই হোক কিংবা ঘটনার আড়ালে যত দুস্কৃতিকারী থাকুক ফেনী জেলা পুলিশ প্রত্যেককে ধরতে বদ্ধ পরিকর। মামলার রহস্য উদঘাটন হয়নি এ ধরনের সংখ্যা খুবই কম। যখনি কোন ঘটনা ঘটে ফেনীর গণমানুষের জন্য তাৎক্ষনিক ফেনী জেলা পুলিশ কাজ করছে।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) নাদিয়া ফারজানা, সোনাগাজী সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মো: মাশকুর রহমান, দাগনভূঞা থানার ওসি হাসান ইমাম, কোর্ট পুলিশের ওসি গোলাম জিলানী, গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।