নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনী শহরে কোরবানির পশুর বর্জ্য সন্ধ্যার মধ্যে অপসারণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। এজন্য ওয়ার্ড ভিত্তিক ১২টি টিমে ৮২ জন সেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।শুক্রবার বিকালে পৌরসভায় এসব পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ঈদের দিনের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী।
মেয়র স্বপন মিয়াজী তাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে পৌরসভার সবকটি ওয়ার্ডে বর্জ্য অপসারণ করতে হবে। পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিতরা ঈদের আনন্দ বঞ্ছিত হবে। সেজন্য ঈদের পরে তাদেরকে নিয়ে বিনোদন-খানাপিনার আয়োজন করা হবে। পরি”ছন্ন কর্মীদের কষ্টের ফসল হিসেবে ফেনী পৌরসভা এলাকা এখন পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
পৌরসভা সূত্র জানায়, শহরের ১৮টি ওয়ার্ডে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে ১২টি টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি টিমের জন্য একটি সুপারভাইজার ও একটি করে ট্রাক্টর দেয়া হয়েছে। এসব টিমে ৮২ জন সদস্য নিযুক্ত রয়েছে। এছাড়া একটি ভ্রাম্যমান টিম, একটি পানির গাড়ি ও একটি পেলুড়া গাড়ী নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি টিমকে ১শ করে ব্যাগ দেয়া হয়েছে। এসব টিমকে তদারকি করতে দুইজনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এদের একজন ১ থেকে ৯নং ওয়ার্ড পর্যন্ত কনজারভেন্সি কর্মকর্তা সরোয়ার আলম ও ১০ থেকে ১৮নং ওয়ার্ড পর্যন্ত অবসরপ্রাপ্ত স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শাহাজাহান।
-
শহরের ১৮টি ওয়ার্ডে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে ১২টি টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি টিমের জন্য একটি সুপারভাইজার ও একটি করে ট্রাক্টর দেয়া হয়েছে। এসব টিমে ৮২ জন সদস্য নিযুক্ত রয়েছে। এছাড়া একটি ভ্রাম্যমান টিম, একটি পানির গাড়ি ও একটি পেলুড়া গাড়ী নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি টিমকে ১শ করে ব্যাগ দেয়া হয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, পৌরসভার নির্ধারিত ৮১টি স্থানে পশু জবাই করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে মাইকিংও করা হয়েছে। ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মাধ্যমে প্রতি ওয়ার্ডের জন্য ১ হাজার ব্যাগ দেয়া হয়েছে।
পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী বলেন, ৬ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিয়েছি। যেই টিম যথাযথ দায়িত্ব পালন করবে তাকে পুরস্কৃত করা হবে। শুধু প্রধান সড়ক নয়, অলিগলি থেকেও বর্জ্য অপসারণ করতে নির্দেশনা রয়েছে। আশা করি, শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে শতভাগ সফল হব। এছাড়া শহর দূর্গন্ধমুক্ত করতে বিভিন্ন সড়ক ও পাড়ায় পানি-ব্লিসিং পাউডার ছিটানো হবে।
পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ডা: কৃষ্ণপদ সাহা জানান, ‘মেয়র মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পরি”ছন্নতার কাজে নিয়োজিতরা শতভাগ আন্তরিকতার সাথে কাজ করবে। ঈদের দিনে তাদের জন্য একটি গরু ও চারটি ছাগল জবাই করে খাওয়ানোর আয়োজন করা হয়েছে।’