নিজস্ব প্রতিনিধি :
বছর ঘুরে আনন্দের বারতা নিয়ে এলো ঈদ। যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও ত্যাগের আনন্দে উৎসবমুখর পরিবেশে ফেনী সহ সারা দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হচ্ছে। মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের উদ্দেশ্যে পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ১০ জিলহজ অন্যতম বৃহৎ এই ধর্মীয় উৎসব উদ্যাপন করেন।
সকালে ঈদগাহ আর মসজিদে মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজে অংশ নিয়েছেন সব শ্রেণি-পেশা আর বয়সের মুসলমান। নামাজ শেষে মোনাজাতে ফেনী সহ দেশবাসীর কল্যাণে দোয়া করা হয়।
সকাল ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত হয় শহরের ঐতিহাসিক মিজান ময়দানে। এখানে নামাজ শেষে মোনাজাতে করোনাভাইরাসের মহামারিসহ সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তি এবং মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ ও শান্তি কামনা করা হয়। শহরের মাষ্টারপাড়ার লমি হাজারী বাড়ি জামে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন সদর আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী। জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান মিজান ময়দানে ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন পুলিশ লাইনস মসজিদে ঈদ জামাতে অংশ নেন।
এছাড়া ফেনী কেন্দ্রীয় বড় জামে মসজিদে ৭টা ১৫ মিনিটে, জহিরিয়া জামে মসজিদে ৭টা ও পুলিশ লাইনস মসজিদে ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়। সার্কিট হাউজ জামে মসজিদে সাড়ে ৭টায়, মহিপাল চৌধুরী বাড়ী জামে মসজিদে ৮টা, পুরাতন রেজিষ্ট্রি অফিস জামে মসজিদে ৭টা ৪৫ মিনিটে, ফেনী রেল স্টেশন জামে মসজিদে সাড়ে ৭টা, মুন্সীবাড়ী জামে মসজিদে সাড়ে ৭টা, মসজিদ ই নুর কোর্ট বিল্ডিং সংলগ্ন মসজিদে ৭টা, উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদে ৮টা, জেলা কারাগার মসজিদে ৮টা, বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড জামে মসজিদে সাড়ে ৮টা, হাজারীপাড়া জামে মসজিদে ৬টা ৪৫ মিনিট, কামাল হাজারী জামে মসজিদে ৮টা, শর্শদী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ সাড়ে ৮টা ও মমিন জাহান জামে মসজিদে সাড়ে ৭টায় ঈদের জামাত হয়। একইভাবে জেলার বিভিন্ন মসজিদ ও ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
নামাজ শেষে মুসলমান সম্প্রদায় হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর মহান আত্মত্যাগের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজের ভেতরের পশুত্বকে পরিহার ও আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় পশু কোরবানি করে।