সময় ডেস্ক :
প্রখ্যাত সাংবাদিক, দ্য বাংলাদেশ অবজারভারের সাবেক সম্পাদক মরহুম আবদুস সালামের ১১২তম জন্মবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার (২ আগস্ট)। সাংবাদিকতায় একুশে পদকপ্রাপ্প আবদুস সালাম ভাষা আন্দোলনে প্রথম কারাবরণকারী সম্পাদক, পাকিস্থান সম্পাদক পরিষদের সভাপতি, সাবেক পূর্বপাকিস্থান প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য, বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটউটের প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। মহীরুহ এই সাংবাদিক ১৯১০ সালের ২ আগস্ট ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার দক্ষিণ ধর্মপুর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মুন্সিবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৬৬ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
আবদুস সালাম স্মৃতি সংসদ ও তাঁর পরিবারের উদ্যোগে বাদ আসর মরহুমের বনানীস্থ কবর জিয়ারত, কোরআন খতম, মিলাদ মাহ্ফিল এবং দুপুরে দু:স্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হবে। এছাড়া আবদুস সালাম স্মৃতি সংসদ ফেনী শাখার উদ্যোগেও পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
১৯৩১ সালে কলকাতা বিশ^বিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে প্রথম স্থান অর্জন করে এম.এ পাশ করেন আবদুস সালাম। বাঙালী অফিসারদের নিপীড়নের প্রতিবাদে ১৯৪৯ সালে সরকারি উচ্চপদস্থ চাকরি ছেড়ে পাকিস্থান অবজারভার পত্রিকায় সহকারি সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৫০ সালে সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সে সময়ে পত্রিকাটির লেখালেখিতে তদানীন্তন পূর্বপাকিস্থানের স্বার্থরক্ষা করায় মুসলিম লীগ সরকার ১৯৫২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি কাগজটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। পরের দিন আবদুস সালামকে গ্রেফতার করে।
১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় এলে পত্রিকাটি পুনঃপ্রকাশিত হয়, আবদুস সালামই এর সম্পাদক থেকে যান। যুক্তফ্রন্ট-এর প্রার্থী হিসেবে তিনি ১৯৫৪ সালে পূর্ব-পাকিস্থান আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। পাকিস্থান সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ছিলেন। ১৯৭২ সালে সরকারের সাথে তাঁর মতবিরোধ হওয়ায় তিনি অবজারভার ত্যাগ করতে বাধ্য হন। ১৯৭৬ সালে তাঁর পরামর্শে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠান করেন এবং তিনি প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক নিযুক্ত হন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এ পদে বহাল ছিলেন তিনি।