নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যক্রম আরো গতিশীল করতে ডিজিটাল করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে সবধরনের জাল-জালিয়াতি যেমন বন্ধ হবে তেমনি দালালের খপ্পরে না পড়ে বিচারপ্রার্থীরা হয়রানী বিহীন সেবা পাবেন মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সংখ্যা ৩৯৮ জন।
আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ডিজিটাল কার্যক্রমে হিসাব-নিকাশ, পাঠাগার সহ যাবতীয় কার্যক্রম তুলে ধরা থাকবে। এছাড়া ওকালতনামা, বেইলবন্ড, রিলিজ পেপার, হাজিরাসহ অন্যান্য কাগজাদি ডিজিটাল করণ হবে। উল্লেখিত কাগজাদিতে ছবি সহ আইডি প্রিন্ট থাকবে। সমিতির ভেনাবোলেন্ট ফান্ড সহ অন্যান্য হিসাবাদি ডিজিটালভাবে সংরক্ষিত থাকবে। প্রতি মাসে সাধারণ আইনজীবীদের কাগজাদি বিক্রির হিসাবও এস.এম.এস এর মাধ্যমে জানানো হবে। প্রতিজন আইনজীবীর ছবি, সমিতিতে তার সদস্য নম্বর থাকবে। আরও রাখা হচ্ছে কিউআর কোড। কিউআর কোডটি স্ক্যান করলে যেকেউ তাৎক্ষণিকভাবে ওই আইনজীবীর নাম-ঠিকানা জানতে পারবেন। ওই আইনজীবী কবে বার কাউন্সিলে নিবন্ধিত হয়েছেন, সেটিও জানা যাবে।
সূত্র আরো জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে সফটওয়্যার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ই-ভিশন চট্টগ্রাম লিমিটেডের সাথে ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির চুক্তিস্বাক্ষর হয়। চুক্তিতে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নুর ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন এবং সফটওয়্যার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার নাজিম উদ্দিন স্বাক্ষর করেন। এসময় জেলা আইনজীবী সমিতির যুগ্ম-সম্পাদক মো: মঈনুল হোসেন মজনু, অডিটর আলাউদ্দিন ভূইয়া, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রেজাউল করিম তুহিন, সদস্য ও প্রজেক্ট সদস্য সচিব নাছের উদ্দিন মিয়াজী, সদস্য প্রিন্স মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। গত ১ আগস্ট থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত আইনজীবী সমিতি ভবনের নিচ তলায় ছবি তোলা কার্যক্রম চলে। সেখানে সমিতির ৩শতাধিক আইনজীবী ছবি তুলেন।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নুর ইসলাম ফেনীর সময় কে জানান, ডিজিটাল পদ্ধতি চালু হলে বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি কমবে। এ কার্যক্রম চালু হলে যেকেউ ইচ্ছে করলে ওকালতনামা কিনতে পারবেনা। আইনজীবীর মাধ্যমে কিনতে হবে। সফটওয়্যারে সব আইনজীবীর তথ্যসংবলিত ডিজিটাল ডাটাবেইস তৈরি করা হয়েছে। এটি নির্মাণের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকার চুক্তি হয়েছে। আশা করছি অক্টোবর মাসের আগেই এটি সম্পূর্ণভাবে চালু করা যেতে পারে।