নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনীতে বিএনপির সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক ও ইসলামপুর রোডে এ ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় দুই পক্ষ পরস্পরকে দোষারোপ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে শুক্রবার বিকালে শহরে পূর্বনির্ধারিত মিছিল-সমাবেশ করতে জড়ো হতে থাকে বিএনপি নেতাকর্মীরা। একইসময় সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কে মিছিল করে ছাত্রলীগ। এসময় দুইপক্ষ মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ বেধে যায়। হামলার সময় ইটপাটকেলে শাহআলম টাওয়ার, মেঘনা ব্যাংক, গার্ডেন রেষ্টুরেন্ট ও বলাই ইলেক্ট্রিকের গ্লাস-সাইনবোর্ড ভেঙ্গে যায়। এতে ইটপাটকেল ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় দুইপক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান রতনের মাথা ফেটে ও ছাত্রলীগ কর্মী আহাদের দুটি দাঁত ভেঙ্গে যায় এবং যায়। হঠাৎ সংঘর্ষের ঘটনায় পুরো শহরে আতংক-উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক এএসএম সৌরভ আল হোসাইন জানান, সংঘর্ষে আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে নেয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল জানান, বিএনপির পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ শুরু হলে ছাত্রলীগের অতর্কিত হামলা চলায়। তাদের হামলায় অন্তত ৩৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়।
জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ বাহার জানান, বিএনপির পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে বাধা দিতে আওয়ামীলীগ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে সশস্ত্র পাহারা বসায়। বাধা উপেক্ষা করে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে সাধারণ মানুষের স্রোত দেখে পেছন থেকে হামলা চালায়। হামলায় জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক রতন, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক খুরশিদ আলম, সদর যুবদলের সদস্য লিটনসহ বিএনপির ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তোফায়েল আহাম্মদ তপু জানান, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা শহরে সন্ত্রাস বিরোধী মিছিল বের করলে পরিকল্পিতভাবে বিএনপির সমাবেশ থেকে হামলা চালানো হয়। হামলায় কেউ আহত হয়েছে
পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী জানান, খবর পেয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিবৃত্ত করে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিই। বিএনপির মিছিলে কে/বা কারা হামলা করেছে সেটি আমাদের জানা নাই। এ ঘটনায় আমাদের কেউ আহতও হয়নি। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
ফেনী মডেল থানার ওসি মো: নিজাম উদ্দিন জানান, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শর্টগানের ১৮-২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।