দৈনিক ফেনীর সময়

সোনাগাজীতে বিএনপির আরও ৪ নেতাকর্মী গ্রেফতার

সোনাগাজীতে বিএনপির আরও ৪ নেতাকর্মী গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিনিধি :

সোনাগাজীতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের করা দুই মামলায় গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বুধবার রাতে উপজেলা চর চান্দিয়া, পূর্ব সুজাপুর ও চর ল²ীগঞ্জ এলাকা থেকে বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের চার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এনিয়ে গত তিনদিনে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ১০ নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ জানায়, পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার মামলার আসামিদের গ্রেফতার করতে বুধবার রাতে পুলিশের একাধিক দল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একযোগে অভিযান চালায়। এসময় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আলা উদ্দিন, চরমজলিশপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল বাশার, যুবদল কর্মী মোবারক হোসেন ও শাহাদাত হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে সোমবার রাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৬ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো: খালেদ হোসেন পুলিশের দুই মামলায় বুধবার রাতে চারজনসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের মোট ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গ্রেফতার চারজনকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে ফেনীর কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পুলিশ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও বাড়ি বাড়ি তল্লাশির ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আলা উদ্দিন। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলকে খুশি করতে পুলিশ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানির অভিযান করছে। গত তিন দিনে সোনাগাজী উপজেলা থেকে দলের ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অবিলম্বে গ্রেফতার সব নেতা-কর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন তিনি।

প্রসঙ্গত; সোমবার বিকেলে পৌর শহরের শেষ সীমানায় ভৈরব রাস্তার মোড় এলাকায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জ্বালানি তেল, পরিবহন ভাড়া ও নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি এবং ভোলায় পুলিশের গুলিতে দলের দুই নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিকেল ৫টার দিকে বিএনপির সমাবেশ শেষে বিক্ষুব্ধ একদল কর্মী এসে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশ ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৬০টি শটগানের ফাঁকা গুলি, টিয়ারগ্যাস ও বেশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটনায়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের তিনশতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!