নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেছেন, কোমলমতি শিশুরাই কিশোর গ্যাং। কেউ না কেউ তাদের রাস্তায় নিয়ে গেছে। আমরা তাদের মোটিভেট করে ঘরে ফিরিয়ে নিতে হবে। আমি চাই ফেনী শহরে কিশোর গ্যাং থাকবেনা। ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছি, তালিকা করছি। এজন্য প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরা লাগানো প্রয়োজন। তাহলে কোন শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠান থেকে বেরিয়ে গেলে প্রধানরা দেখতে পারবে। এর প্রেক্ষিতে অভিভাবকদের জানাতে পারবে। পুলিশও আড্ডার জায়গা চিহ্নিত করতে হবে। সমাজের সর্বস্তর থেকে সহযোগিতা পেলে সম্মিলিতভাবে কিশোরদের অপরাধ জীবন থেকে ফিরিয়ে নিতে পারবো। তাহলে তাদের সুন্দর জীবন উপহার দিতে পারবো।
তিনি আরো বলেন, ধর্মীয় মূল্যবোধ থাকলে ছেলে-মেয়েদের বিপথে যাওয়ার সুযোগ কম থাকে। এ থেকে বিচ্যুত হওয়া যাবে না। কিশোর বয়সে সঙ্গ দোষে যেকোন সময় মন-মানসিকতা পরিবর্তন হয়ে যায়। বন্ধু নির্বাচন করার আগে তার সম্পর্কে জানতে হবে-বুঝতে হবে। বাইরের চাকচিক্য দেখে বন্ধুত্ব করা যাবেনা।
মঙ্গলবার দুপুরে ফেনীর ঐতিহ্যবাহী আল-জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদরাসায় অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রী সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য বক্তব্য রাখেন। মাদরাসা গভর্নিং বডির সভাপতি আলহাজ্ব হারুন উর রশিদ মজুমদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) নাদিয়া ফারজানা, গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি কেবিএম জাহাঙ্গীর আলম। উপাধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হক ও সিনিয়র সহকারি শিক্ষক আবু বক্কর ছিদ্দিক মানিকের যৌথ সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ মুফতি ফারুক আহমাদ। সমাবেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়াই অং প্রু মারমা, ফেনী মডেল থানার ওসি মো: নিজাম উদ্দিন, মাদরাসা গভর্নিং বডির সদস্য ইয়াছিন আরাফাত রাজু সহ শিক্ষক, বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, আগে সবাই জানতো মাদরাসা ছাত্ররা জঙ্গি। ২০১৫ সালে হলি আর্টিজানের ঘটনা পুরো ধারনা পাল্টে দিয়েছে। উচ্চ শিক্ষিতরা বুয়েট, নর্থ সাউথের ছাত্ররা জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ছে। এক্ষেত্রে ধর্মের ব্যাখ্যা দেয়ার ব্যাপারে ইসলামিক স্কলারদের সতর্ক থাকতে হবে। কেউ ধর্ম প্র্যাকটিস করুক আর না করুক সবাই ধার্মিক হওয়ার চেষ্টা করে। যেকোন সমস্যা-অসঙ্গতি হলে তাৎক্ষনিক আমায় জানাবেন। পুলিশ সুপার হিসেবে আমার নাম্বার এবং অফিস ২৪ ঘন্টা খোলা।
তিনি বলেণ, ডিজিটাল যুগে পিছিয়ে পড়ার সুযোগ নেই। দেশ উন্নত হওয়ার সঙ্গে সবার কাছে স্মার্ট ফোন চলে এসেছে। স্মার্ট ফোনকে কন্ট্রোল করতে হবে। ডিভাইস যদি কাউকে কন্ট্রোল করে তাহলে শেষ। এই মোবাইলে অনেক বাজে জিনিস আছে। এ থেকে সতর্ক থাকতে হবে।