পরশুরাম প্রতিনিধি :
পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের পূর্ব অলকা এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে বাবাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ছেলে ও তার শ্যালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আবদুল মমিনের এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। আবদুল মমিন ও তার স্ত্রী গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। আবদুল মমিনের ছেলে ফারুক তার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে উপজেলা সদরে বাসাভাড়া নিয়ে থাকতেন।
পুলিশ ও মামলার অভিযোগ সূত্রে জানায়, ওইদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফারুক ও তার শ্যালক আবদুল মজিব গ্রামের বাড়িতে যান। এসময় আবদুল মমিন ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। বাড়িতে আসার পর থেকেই ফারুক ও তার বাবার মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। ফারুকের দাবি, আবদুল মমিন তার স্ত্রীকে নির্যাতন করেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাকবিতন্ডা চলার একপর্যায়ে ফারুক ক্ষিপ্ত হয়ে আবদুল মমিনের মাথায় লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে মারতে থাকেন। এতে আবদুল মমিন গুরুতর আহত হলে ফারুক তার শ্যালককে নিয়ে পালিয়ে যান। পরে আবদুল মমিন ও তার স্ত্রীর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আবদুল মমিনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে দ্রুত ফেনী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১২টায় আবদুল মমিন মারা যান। এ ঘটনায় আবদুল মমিনের মেয়ে পানু আক্তার বাদী হয়ে রাতেই পরশুরাম মডেল থানায় হত্যা মামলা করেছেন। এ আবদুল মমিনের ছেলে মো. ফারুক রাজিব (৩৫) ও তার শ্যালক আবদুল মজিব সুমনকে (৩২) গ্রেফতার করা হয়।
পরশুরাম মডেল থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অভিযুক্ত ফারুক তার বাবাকে মারধরের ঘটনাটি ডাকাত দলের হামলা বলে চালিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। রাতেই পরশুরাম মডেল থানায় মামলা হলে পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করে।