নিজস্ব প্রতিনিধি :
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, “চট্টগ্রাম গণসমাবেশে যাওয়ার পথে আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসীদের হামলায় যারা পা, হাত, চোখ ও শারিরীকভাবে আহত হয়েছেন তাদের এ ত্যাগ দেশবাসী এবং বিএনপি কোনদিন ভুলবে না। ইতিমধ্যে আহত ব্যক্তিদের তালিকা শেষ করে হামলাকারীদের তালিকা সংগ্রহেরও কাজ চলছে। ফেনীর সংগ্রামী নেতাদের উপর আক্রামন করে আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসীরা সফল হয়নি। হামলার শিকার বিএনপির নেতাকর্মীরা সফল। সমাবেশে লাখ লাখ বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ সেটি প্রমাণ করেছে।”
সোমবার ফেনী শহরের তাকিয়া রোডের বিপিএস টাওয়ারে সদর উপজেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামের গণসমাবেশে যাওয়ার পথে আহত নেতাকর্মীদের সহানুভূতি জানাতে এসে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীদের তালিকা প্রণায়ন চলছে। সরকারের যখন পতন হয় তখন আর হুশ থাকে না। হাসিনার পতনের ঘন্টা বেভে উঠেছে। গণমাবেশের মাধ্যমে শেখ হাসিনা পদত্যাগ নিশ্চিত করা হবে। পদত্যাগ করতে তাকে বাধ্য করা হবে। আমাদের খবর শুধুমাত্র একটি রয়েছে সেটি হলো হাসিনার পতনের ঘন্টা বেজে উঠবে কখন।”
আহত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে শাহজাহান বলেন, “আপনারা আহত হয়ে যন্ত্রণাকে শেখ হাসিনার যন্ত্রণা হয়ে থাকবেন। আপনাদের উপর হামলা করে সেই প্রমান করেছে তার পতন নিশ্চিত। আওয়ামীলীগের নেতারা গণসমাবেশ দেখে পাগল হয়ে ওঠেছে। সরকারের অবস্থা খুবই খারাপ। ময়মনসিংহে হরতাল দিয়ে সব বন্ধ করে দিয়েছিল কিন্তু মানুষের ঢল নেমেছে। এখনি সময় এসেছে হাসিনার পদত্যাগ। মানুষ আর এদের চায় না। আমাদের এ রক্তদান, হাডভাঙ্গা এগুলোতে আমরা ব্যথিত নয়। বরং শেখ হাসিনার ব্যাথায় সেই অস্তিত্ব হয়ে আছে।”
এসময় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, সহ-গ্রাম বিষয়ক সম্পাদক বেলাল আহমেদ, জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ বাহার ও সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, যুগ্ম-আহবায়ক অধ্যাপক এম এ খালেক, এয়াকুব নবী, গাজী হাবিব উল্যাহ মানিক ও আলাউদ্দিন গঠন, সদর উপজেলা আহবায়ক ফজলুর রহমান বকুল, পৌর আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন বাবুল, জেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, শ্রমিক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, মহিলা দলের সভাপতি জুলেখা আক্তার ডেইজী, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েল, ছাত্রদলের সভাপতি সালাহ উদ্দিন মামুন ও সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।