দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির শঙ্কার জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছেন, ‘রিজার্ভ নিয়ে কোন শঙ্কা নেই, ভবিষ্যতেও কোন শঙ্কা তৈরি হবে না।
আর, বাংলাদেশ ব্যাংকও বলছে, রিজার্ভের ওপর কিছুটা চাপ পড়লেও, তা শঙ্কাজনক পরিস্থিতিতে পৌছায়নি।
অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন; পরিস্থিতি যাই হোক, সেটিকে স্বীকার করে নিয়ে সেই মতো ব্যবস্থা নেয়া হলে, যে কোন ধরনের ঝুঁকি মোকাবেলা করা সম্ভব।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, মুল্যস্ফীতি, ডলারের বাজারে অস্থিরতা, টাকার মান কমে যাওয়া, রপ্তানির বিপরীতে আমদানি বেড়ে যাওয়ার যে প্রবণতা চলছে তাতে দেশের অর্থনীতিতে তিনি অশনি সঙ্কেত দেখছেন।
বিএনপি মহাসচিবের এমন আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলছেন, কৃষি, শিল্প ও সেবা এই তিন খাত মিলে দেশের প্রবৃদ্ধি এখনও ঈর্ষনীয় পর্যায়েই আছে।
পরিস্থিতি মোটেই এমন নয় যে রিজার্ভ খারাপ পরিস্থিতিতে পড়েছে বা আগামী কয়েকমাসে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আগামী দিনগুলোতে রিজার্ভ নিয়ে কোন শঙ্কা নেই। বরং বিএনপির শঙ্কাটা কোথায় তা নিয়ে তথ্য উপাত্ত দিতে বলেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, করোনার দুই বছরে সব কিছু স্থবির ছিলো। এখন বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় বৈদেশিক কেনাকাটা বেড়েছে। তাই ডলারের চাহিদা বেড়েছে। ফলে রিজার্ভের ওপর কিছুটা চাপ বাড়লেও তা শঙ্কাজনক পরিস্থিতিতে পৌছায়নি।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ- সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, করোনা পরবর্তী বিশ্ব অর্থনীতি পরিস্থিতি এমনিতেই টাল মাটাল। সেই পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিকে ঝুকিমুক্ত রাখতে হলে এখনও অনেক কিছু করার আছে।
এই বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, পরিস্থিতি যাই হোক সেটি স্বীকার করে নিয়ে সেই মতো ব্যবস্থা নেয়া হলে ঝুঁকি মোকাবেলা করা সম্ভব।