দৈনিক ফেনীর সময়

অন্তর্বতীর অধ্যাদেশ কি আবশ্যক

অন্তর্বতীর অধ্যাদেশ কি আবশ্যক

অন্তর্বতী সরকারের বেশি মেয়াদ চান না স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসও। অন্তর্বতী সরকারের মেয়াদ যতো কম হয়, ততোই ভালো বলেও অভিমত তার। আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে জলবায়ু সম্মেলন কপ-টুয়েন্টি নাইনের সাইডলাইনে এএফপিকে সাবলীলভাবে কথাগুলো বলেছেন ড. ইউনূস। যত দ্রুত সম্ভব তার বিদায়ের ব্যবস্থা করা হবে- এ কথা তিনি শপথ নেয়ার পর পরই বলেছেন। এ ধরনের মন্তব্য ও অভিপ্রায়ের মধ্য দিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকার অবকাশ ছিল না, তিনি কবে যাইবেন বা বিদায় নেবেন? কিন্তু, এরপরও কোনো না কোনোভাবে প্রশ্নটি সামনে চলে আসছে। সম্প্রতি আরো বেশি উচ্চারণ হচ্ছে, তিনি দ্রুত নির্বাচন দিয়ে চলে যান না কেন?

এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাতকারটিতে এ প্রশ্নেরও জবাব আছে। বলেছেন, বাংলাদেশকে ভোটের গণতন্ত্রের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। ক্ষেত্র প্রস্তুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিশ্রুত নির্বাচন দেবে অন্তর্র্বতী সরকার। যাতে নির্বাচিতরা দেশ পরিচালনা করতে পারেন। সরকার, সংসদ আর নির্বাচনী বিধিমালার পাশাপাশি সম্ভাব্য সাংবিধানিক সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে দ্রুততম সময়ের ভেতরে একমত হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন তিনি। এতেও প্রশ্ন ও জবাবের নিস্পত্তি হচ্ছে না। জানতে চাওয়া হচ্ছে ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে কতো দিন লাগবে। তারওপর সাবজেক্ট হিসেবে যোগ হয়েছে, ‘অন্তর্বতী সরকার গঠনে ত্রুটি থাকলে প্রশ্ন তোলা যাবে না’ মর্মে প্রকাশিত কয়েকটি প্রতিবেদন। যেগুলোতে বলা হয়, অন্তর্র্বতী সরকারের মেয়াদ হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ গঠেনর পর নতুন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার দিন পর্যন্ত।

আর অন্তর্র্বতী সরকার গঠন, সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বা কোনো উপদেষ্টার নিয়োগে কোনো ত্রুটি থাকলে শুধু এ কারণে তাদের কোনো কাজ অবৈধ হবে না। এ সম্পর্কে কোনো আদালতে কোনো প্রশ্নও তোলা যাবে না। এমনকি মামলা করা যাবে না। এমন বিধান রেখে চূড়ান্ত করা হয়েছে অন্তর্র্বতী সরকার অধ্যাদেশের খসড়া। গত ১৯ সেপ্টেম্বর খসড়াটি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হলেও এখনো অধ্যাদেশ আকারে জারি হয়নি। কিন্তু, কথা ঘুরছে চরকার মতো। সেইসঙ্গে প্রশ্নের তোড়। অন্তর্বতী সরকার অনির্বাচিত, কিন্তু অসাংবিধানিক নয়। জনসমর্থিত এবং দেশবিদেশে সব মহলে স্বীকৃত। ড. ইউনূসের মতো বিশ্বমানের ব্যক্তির নেতৃত্বাধীন হওয়ায় আকর্ষনীয়ও। তা হলে আইন, অধ্যাদেশ বা সাংবিধানিকভাবে একে বৈধতা দেয়ার প্রশ্ন কেন? কেনই বা এ সরকারকে নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না-এমন বিধান করার বিষয় টেনে আনা? সমস্যা বা কোনো ঝুঁকির শঙ্কায়?

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। ৮ই আগস্ট শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তবর্তী সরকার গঠন হয়। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলুপ্ত হওয়ায় বর্তমানে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্র্বতী সরকার ব্যবস্থা এবং প্রধান উপদেষ্টা বা উপদেষ্টার পদ বলে কিছু নেই। এ কারণে অন্তর্র্বতী সরকারের আইনি ভিত্তি নিয়ে যাতে প্রশ্ন না ওঠে, সে জন্য অধ্যাদেশ জারি করা হবে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এতে বিলুপ্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টাদের মতোই অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং উপদেষ্টাদের পদমর্যাদা, সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় উপদেষ্টাদের সর্বোচ্চ সংখ্যা নির্ধারণ করে দেয়া থাকলেও এখন উপদেষ্টাদের সর্বোচ্চ সংখ্যা বেঁধে দেয়া হচ্ছে না।

এতে বলা হয়, অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠন, প্রধান উপদেষ্টা বা উপদেষ্টাদের নিয়োগ নিয়ে ত্রুটি থাকলে সে জন্য কোনো কাজ অবৈধ হবে না। এ জন্য কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন বা মামলা দায়েরও করা যাবে না। অধ্যাদেশের খসড়ায় প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা প্রসঙ্গে বলা হয়, বিদ্যমান অন্যান্য আইনে যা কিছুই বলা থাকুক না কেন, অন্তর্বতী সরকারের সময় প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শ নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে কাজ করতে হবে। জরুরি অবস্থা ঘোষণার বৈধতার জন্য প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শ নিতে হবে।

সংবিধান অনুযায়ী, কারও বয়স ২৫ বছর পূর্ণ না হলে তিনি সংসদ সদস্য হতে পারেন না। সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী নিয়োগ দেয়া হয়। অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়, অন্তর্র্বতী সরকারে ২৫ বছরের কম বয়সী কেউ প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পাবেন না। কোনো আদালত অপ্রকৃতিস্থ বলে ঘোষণা করলে, দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার পর দায় থেকে অব্যাহতি না পেলে, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেন কিংবা কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করলে এসব পদে নিয়োগ পাওয়া যাবে না। এছাড়া নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত হলে এবং মুক্তি পাওয়ার পর পাঁচ বছর পার না হলেও এসব পদে নিয়োগ পাওয়া যাবে না।

এনিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে হরদম। তাদের বেশিরভাগেরই মূল চাওয়া কবে হবে নির্বাচন? অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি। এর জবাব ক্ষমতা গ্রহণের পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রথম ভাষণেই জানিয়ে রেখেছেন ড. ইউনূস। বলেছিলেন, “কখন নির্বাচন হবে, সেটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, আমাদের সিদ্ধান্ত নয়। দেশবাসীকে ঠিক করতে হবে, আপনারা কখন আমাদের ছেড়ে দেবেন।” পরবর্তীতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম দফা সংলাপ শেষে জানানো হয়েছিল যে, দেশের গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। সে লক্ষ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, সংবিধান সংস্কার, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার আনতে ইতোমধ্যে দশটি কমিশন গঠনও করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কমিশনগুলোর প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। মূলত তারপরই সংস্কারের মূল কাজ শুরু হবে । কিন্তু সংস্কার করতে ঠিক কত সময় লাগবে এবং কবে নাগাদ নির্বাচন হবে এসব বিষয়ে এখনও সুনির্দিষ্ট কিছু জানায়নি সরকার। তবে, একটি ভাসা ভাসা বার্তা আছে সেনাপ্রধানের বক্তব্যে। ৮ আগস্ট অন্তর্র্বতী সরকার ক্ষমতায় বসার মাস দেড়েক পর বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এক সাক্ষাৎকার সেনাবাহিনী প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান এ বিষয়ে একটি ধারনা দেন। জানিয়েছিলেন নির্বাচন যাতে আগামী আঠারো মাসের মধ্যে হতে পারে, সেজন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার সম্পন্ন করতে ‘পরিস্থিতি যাই হোক না কেন’ তিনি মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বতী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাবেন। তার মতে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণ এক থেকে দেড় বছরের মধ্যেই হওয়া উচিৎ। সেইসঙ্গে ধৈর্য ধারণের ওপরও জোর দেন।

সরকারের দিক থেকে সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে তার নিজস্ব মত বলা হয়েছে। সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎকার প্রকাশ হওয়ার সপ্তাহখানেকের মাথায় এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসউইং থেকে জানানো হয় যে, নির্বাচনের সময় নির্ভর করবে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ও তা নিয়ে রাজনৈতিক আলোচনার উপরে। সাংবাদিকদের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের বক্ব্য ছিল- নির্বাচন কবে হবে? ১৬ মাস পর নাকি ১২ কিংবা ৮ মাস পরে সেটা এখনই নির্ধারন করা যাচ্ছে না। আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের বক্তব্য আরো ভিন্ন। তার মতে, আগামী বছরের মধ্যে নির্বাচন করাটা হয়তো সম্ভব হতে পারে। অনেক ফ্যাক্টর রয়েছে। এটা প্রাইমারি অ্যাজাম্পসন। আইন উপদেষ্টার এমন মন্তব্যে কিছুটা অসন্তোষ দেখা দেয়। এর নিস্পত্থি করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেন আইন উপদেষ্টা। জানান, তিনি বলেন, “নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পলিসি ডিসিশন। এটি সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে ঠিক হবে। তিনিই একমাত্র নির্বাচনের সময় ঘোষণার এখতিয়ার রাখেন।

প্রসঙ্গত: তিন দশকেরও বেশি সময় আগে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার ব্যবস্থা এসেছিল দেশে। ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরে সেনা শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনের পর পঞ্চম জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছিল অন্তর্বতী সরকার। পরে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন হলে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন, ২০০১ এবং ২০০৮ সালের নির্বাচন হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে।

আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার মেয়াদ ছিল ৯০ দিন। তবে সর্বশেষ ২০০৭ সালে ১১ জানুয়ারি ফখরুদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার শপথ নেয়। তবে এই সরকার ক্ষমতায় থাকে প্রায় দুই বছর। ২০১১ সালে এক রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অসাংবিধানিক বলে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ওই বছরের ৩০ জুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করে নবম সংসদ।

এমন কেওয়াজের মধ্যেই দৃশ্যপটে চলে আসে অন্তর্র্বতী সরকারের বৈধতা দেয়ার আলোচনা। যুক্তি হিসেবে বলা হয়, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সাংবিধানিক সংকট মোকাবিলায় অন্তর্র্বতী সরকার গঠন ও রাষ্ট্রের নির্বাহী কাজ পরিচালনার জন্য অন্তর্র্বতী সরকারকে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা দেওয়া প্রয়োজন। আর এ জন্যই অধ্যাদেশ।

অন্তর্বতী পদ্ধতিকে একটি ভিত্তিতে আনার তাগিদ থেকেই এই বোধ-উপলব্ধি। কারণ, অন্তর্র্বতী সরকারের উপদেষ্টা কতজন হবেন, তা অধ্যাদেশের খসড়ায় সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। বলা হয়েছে, একজন প্রধান উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টা যতজন নির্ধারণ করবেন, ততজন উপদেষ্টার সমন্বয়ে অন্তর্র্বতী সরকার গঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি স্বনামধন্য এবং গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করবেন। আর প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শ অনুযায়ী অন্য উপদেষ্টারা নিযুক্ত হবেন বলে অধ্যাদেশের খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে। এখনকার আলোচনায় অন্তর্র্বতী সরকার নিয়ে অধ্যাদেশ না করা। উপদেষ্টা পরিষদ ‘অন্তর্র্বতী সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদনের পর আরোএ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে। তা এখন পর্যন্ত আইন মন্ত্রণালয়ে যায়নি। অধ্যাদেশটি নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ধীরে চলো নীতিতে এগুচ্ছে। সরকারের একটি অংশের উপলব্ধি হচ্ছে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আসা এই সরকারের বৈধতা নেয়ার কোনো বিষয় নেই। এজন্য এ ধরনের কোনো অধ্যাদেশেরও প্রয়োজন নেই বলে মনে করা হচ্ছে।

আইন বিশেষজ্ঞ ও রাজনীতিবিদরা বলছেন, “এটা যেন নিজের চরিত্র নিয়ে নিজেই সার্টিফিকেট দেওয়ার মতো অবস্থা। কতদিন ক্ষমতায় থাকবো, সেটি নিয়ে অধ্যাদেশ জারি করা হলে প্রশ্ন তো উঠতেই পারে। যে কোনো কিছু নিয়েই প্রশ্ন উঠতে পারে, তবে সেটা আলোচনা বা সকলের মতামতের ভিত্তিতে সমাধান করতে হবে। কেউ বলছেন, এমন অধ্যাদেশের প্রয়োজন ছিল না।

আবার কেউ বলছেন, এটা এক ধরনের ইনডেমনিটি। আগের কোনো ইনডেমনিটি টেকেনি, ভবিষ্যতে এটাও টিকবে না আর যেখানে বলা হয়, প্রশ্ন তোলা যাবে না, সেখানেই মানুষের মনে সন্দেহ থাকে। তবে, ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান বা বিপ্লবই এই সরকারের বৈধতার ম্যান্ডেট।

লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!