নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনী শহরের সুলতানপুর এলাকায় গরু ব্যবসায়ী শাহজালালকে গুলি করে হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা আবুল কালামকে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো: আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশ জারি হয়। এর আগে তাকে ওই ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকেও বহিস্কার করা হয়।
দীর্ঘ ১ বছর ৮ মাস পলাতক থেকে চলতি বছরের গত ১৪ মার্চ আদালতে আত্মসমর্পণের পর কালাম কারাগারে রয়েছে।
গতকাল আদেশে উল্লেখ করা হয়, “স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩১ (১) অনুযায়ী কোন পৌরসভার কাউন্সিলর এর বিরুদ্ধে ফৌজধারী মামলায় অভিযোগপত্র আদালত কর্তৃক গৃহীত হলে সেক্ষেত্রে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় কাউন্সিলর কর্তৃক ক্ষমতা প্রয়োগ পৌরসভার স্বার্থের পরিপন্থী অথবা প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমিচীন না হলে সরকার কর্তৃক লিখিত আদেশের মাধ্যমে কাউন্সিলরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করতে পারবে মর্মে বিধান রয়েছে এবং যেহেতু আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হয়েছে, গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়েছে এবং তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন বিধায় তার কর্তৃক ফেনী পৌরসভার কাউন্সিলর এর ক্ষমতা প্রয়োগ করা প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচিন নয় মর্মে সরকার মনে করে।”
২০২১ সালের ১৫ জুলাই রাতে কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে কিশোরগঞ্জ থেকে শাহজালালসহ কয়েকজন মৌসুমী গরু ব্যবসায়ী একটি ট্রাকে গরু নিয়ে সুলতানপুরে আসেন। ওই রাতে ট্রাক সহ গরু লুট করতে যান পৌরসভার কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম ও তার সহযোগিরা। এতে বাঁধা দেয়ায় শাহজালালকে গুলি করে হত্যার পর পাশ্ববর্তী পুকুরে লাশ ফেলে দেয়া হয়। ঘটনার পর পুলিশ তার বাড়ি থেকে রক্তমাখা পাঞ্জাবী উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই আল আমিন বাদি হয়ে আবুল কালাম, তার ভাতিজা আশরাফ হোসেন রাজু ও সহযোগি নাঈমুল হাসানের নাম উল্লেখ করে ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কালামের সহযোগী আশরাফ হোসেন ও নাঈমুল হাসানকে পুলিশ তাৎক্ষনিক গ্রেফতার করলেও কালাম পালিয়ে যায়। গ্রেফতারের পর নাঈমুল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।