নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনী শহরের মহিপালে ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার উপর হামলা করতে ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন মজুমদারের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা অংশ নেয় বলে আদালতকে জানিয়েছে গ্রেফতার সফিকুল ইসলাম সম্রাট। রবিবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের ঘটনার বর্ণনা দেয় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া শর্শদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সম্রাট। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ফাতেমাতুজ জোহরা মুনা ৪ ঘন্টাব্যাপী তার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন।
মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, সম্রাট আদালতকে জানিয়েছে- ৩ আগস্ট রাতে শর্শদী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আবুল হাসেম মোবাইল ফোনে নেতাকর্মী সহ পরদিন সকাল সাড়ে ৯টায় ট্রাংক রোডে অবস্থান করতে বলে। ৪ আগস্ট সকালে যথারীতি শহীদ মিনার এলাকায় জড়ো হয়। সেখানে জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঞা, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক সফিক পাটোয়ারি, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি ইলিয়াছ ভূঞা, সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন সৌরভ, স্থানীয় ইউপি মেম্বার জিয়াউল হক ও মোর্শেদ সহ ৩০-৩৫ জন ছিলেন। দুপুর ১টার দিকে জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী মোটর সাইকেল নিয়ে বের হয়ে সবাইকে মহিপালে যাওয়ার নির্দেশ দেন। ফুলগাজী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান হারুন মজুমদারের নেতৃত্বে ট্রাংক রোড থেকে ৪শ থেকে ৫শ নেতাকর্মী মহিপালের দিকে রওনা হয়। এর মধ্যে ১৫-১৬ জনের হাতে শর্টগান ও ২শ থেকে ২৫০ জনের হাতে লাঠি, রামদা, চাপাতি ছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনে পৌঁছামাত্র মহিপাল প্লাজার সামনে থেকে গুলিবর্ষণের আওয়াজ শুনতে পাই। অস্ত্রধারী ও অস্ত্র ছিল না এমন বেশ কয়েকজন ব্যক্তির নাম আদালতকে জানায় সম্রাট।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আনোয়ার হোসেন জানান, জবানবন্দিতে সম্রাটের দেয়া তথ্য অনুযায়ী তদন্ত কাজ চলছে। তদন্তের স্বার্থে তিনি জড়িতদের নাম প্রকাশ না করতে অনুরোধ জানান।