খন্দকার নাজমুল হক
জুলাই বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী শক্তি এবং দেশপ্রেমিক নাগরিকদের রক্তের বিনিময়ে। ফ্যাসিবাদমুক্ত একটি স্থিতিশীল এবং গণতান্ত্রিক রাস্ট্রের জন্য বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনুসকে অন্তবতীকালীন সরকারের দায়িত্ব প্রদান করে। ৮ই আগষ্ট ২০২৪ইং তারিখে ড. ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তবতীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের পক্ষ থেকে আসিফ মাহমুদ সজিব, মাহফুজ আলম এবং নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করে। উপদেষ্টা পরিষদে ২২ জন উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অধীনে ৭ জন বিশেষ সহকারী এবং প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৫ জন বিশেষ সহকারী। উপদেষ্টা পরিষদের মেয়াদ ১০ মাস হয়ে গেছে। সারাদেশে বিচ্ছিন্নভাবে মব জাস্টিস, অপরাধীর বাড়িতে অগ্নি সংযোগ, মানুষ পিটিয়ে মারার মতো ঘটনা ঘটছে। এ সময়ের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন, পৌরসভার মেয়র নির্বাচন, কলেজ, মাদ্রাসা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারতো। উক্ত নির্বাচনে স্থানীয় সরকারে নতুন জনপ্রতিনিধি এবং ছাত্র নেতারা দায়িত্ব গ্রহণ করতো। দেশ স্থিতিশীল হতো, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লিন ইমেজের নতুন নেতা তৈরি হতো। ড. মোহাম্মদ ইউনুস আন্তর্জাতিক জাতীয়তাবাদী নেতা হওয়ার কারণে বাংলাদেশকে ভারতের তাবেদারী মুক্ত করেছেন। উপদেষ্টাদের কার্যক্রম মূল্যায়ন করার সময় এসেছে। বিগত ১০ মাসে বড় রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে দৃশ্যমান কোন সংস্কার করে নাই। অধিকাংশ ছাত্র সংগঠন কাউন্সিল করে নাই। শুধুমাত্র ছাত্র শিবির কাউন্সিল করে বিপ্লব টিকিয়ে রাখার উপযোগী ছাত্রদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দিয়েছে। রাজনৈতিক দলে এবং ছাত্র সংগঠনের কাউন্সিল না হওয়ায় রাজনৈতিক দলের গনতন্ত্র আছে প্রমাণ দেওয়ার সুযোগ নেই। যার ফলে আধুভাই ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ে দাবী দাওয়ার নামে কাঁদা ছোড়াছুড়ি খেলায় মেতে উঠেছে। ছাত্র সংগঠনগুলোর হাতে কাজ দিন, সেজন্য অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন এবং ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন দিন। ৩ মাসের ভিতর দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজ করবে।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ফ্যাসিবাদ বিরোধী সমন্বয়কদের একটি অংশেকে নিয়ে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামে রাজনৈতিক দল গঠন করেন। আহবায়ক নাহিদ ইসলাম এবং সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত ২১৭ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। দলটির আত্মপ্রকাশের সময় ঘোষণা করে ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ প্রতিষ্ঠাই এ রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য। এনসিপির নেতাদের অন্যতম সারজিস আলম সৈয়দপুর এয়ারপোর্ট থেকে ১৫০টি গাড়ির বহর নিয়ে নিজ এলাকায় শোডাউন করেছেন। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইফতার পাটি এছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টির তানভীর আহমেদ এবং উপদেষ্টা আসিফের পিএসের দুনীতি দুদক তদন্ত করছে। নতুন রাজনৈতিক দলটি অভিজ্ঞতার অভাবে বিভিন্ন বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে। উপদেষ্টা মাহফুজ আলম জুলাই বিপ্লবের চেতনা বাদ দিয়ে বিপ্লবের অংশীদারদের বিরুদ্ধে ৭১ চেতনা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি করছে। অনেকে তার শপথ ভংগের অভিযোগ তুলেছে।
মাহফুজ সম্পর্কে প্রফেসর ড. ইউনুস বলেছেন জুলাই বিপ্লবের মাস্টার মাইন্ড, ছাত্রশিবির লিখেছে মাহফুজ তাদের সাহায্য নিয়ে ফোকাস কোচিং করেছে এবং ঢাবিতে লেখাপড়া করেছে। মাহফুজ বিয়ে করেছেন সাবেক চাকসু ভিপি জসীম সরকার- ইবনে সিনার মিলন ও মীর কাশেম আলীর পরিবারে। মাহফুজ সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য ৭১ সালের চেতনা বিক্রির কৌশল হাতে নিতে পারে। আবার মাহফুজের বন্ধু ফেসবুকে লিখেছেন সে লেখাপড়ার জন্য ছাত্র শিবিরের সাহায্য গ্রহণ করে নাই এবং কোন দিন শিবিরও করে নাই। বাংলাদেশ একটা অদ্ভুত দেশ, যেখানে সংসদ নির্বাচন আসলেই রাজাকার মুক্তিযোদ্ধার হিসাব নিকাশ ফুটবল ক্রিকেটের মতো চলে। ক্ষমতায় থেকে রাজাকার মুক্তিযোদ্ধা খেলতে যেয়ে ১৫ বছর ফ্যাসিবাদ জাতির ঘাড়ে চেপে বসেছিল। মাহফুজদের জাতীয় লিডারদের নীতি নৈতিকতা নিয়ে কোন কথা নেই। রাজনৈতিক দলের আদর্শ দর্শন নিয়ে আলোচনা নেই। এমপি এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি আমলাদের দুনীতি এবং ঘুষখোর দুনীতিবাজদের নিয়ে নিরব, লুটপাট নিয়ে নিরব। শুধুমাত্র পুঁজি ছাড়া ৭১ চেতনা বিক্রির হিঁড়িক। মাহফুজ আলম যদি মনে করেন ৭১ চেতনা বিক্রি করে প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন অথবা দ্বিতীয় নোবেল পুরষ্কার লাভ করবেন তাহলে তার ৭১ নিয়ে আরও বেশি সোচ্চার হওয়া উচিত। মাহফুজ যদি বিপ্লবের মাস্টার মাইন্ড হয়ে থাকেন তার উচিত রাজনীতিবিদদের নীতি নৈতিকতা নিয়ে কথা বলা। জুলাই বিপ্লব টিকিয়ে রাখার জন্য রাজপথে নামা, রাজনৈতিক দলের লিডারদের আদর্শ দর্শন নিয়ে আলোচনা করা । ঘুষখোর দুনীতিবাজ ও লুটপাট নিয়ে সোচ্চার হওয়া। ভারতীয় আগ্রাসন মোকাবেলায় ড.ইউনুসকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা। ৭১ সালের চেতনা বিক্রির কুফল জাতি বিগত ৫৪ বছর দেখেছে। ৭১ চেতনা বিক্রির কুফল শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা রাত ১২.০০ পরে অনিরাপদ জায়গা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা ও গাঁজার আসর বসিয়ে থাকে। একজন মেধাবী ছাত্র সৌম্যকে হত্যা করেছে মাদকসেবীরা। উপদেষ্টা মাহফুজের উচিত ছাত্রদের ৯.০০ টার মধ্যে ঢাবি হলে যাওয়া নিশ্চিত করা এবং সারাদেশে মব জাস্টিস বন্ধ করা। আধুভাইদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা । জুলাই বিপ্লব টিকিয়ে রাখতে ছাত্র রাজনীতি ৫ বছর নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা। হেলমেট বাহিনীর অত্যাচারের বিচার করা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল এবং মার্কেট দখল করেছে গডফাদার হাজী সেলিম। তা উদ্ধার করা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা উপদেষ্টা মাহফুজকে বোতল মেরেছে সাথে সাথে ৩৬ জুলাই বিপ্লবের চেতনা ভুলে শিক্ষক ও ছাত্রদের সাথে আলোচনা বন্ধ করে দিলেন। এভাবেতো রাস্ট্রের পদে থেকে রাগ করা যাবেনা , অনুরাগ ও বিরাগভাজন হওয়া যাবে না। ভারতের চাপে পড়ে জুলাই বিপ্লবের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া যাবেনা এবং ৭১ সালের চেতনা বিক্রি করা যাবেনা। মাহফুজ আলম ভুলে গেছেন একটা দেশের চেতনা বিক্রির বয়স ৫৪ বছর হয়ে গেছে। আর কতো বছর চেতনা বিক্রির রাজনীতির খেলা চলবে। সাধারণ মানুষ চায় ঘুষখোর দুনীতিমুক্ত নিরাপদ বাংলাদেশ। ভারতের তাবেদার লেন্দুপ দর্জিমুক্ত সরকার চায়। ৩৬ জুলাই বিপ্লবে ২০০০ নিহতদের বিচার চায় ৩০,০০০ আহতদের সুচিকিৎসা চায়। শহীদ এবং আহত পরিবারে চাকুরী চায়। আপনি এবং বিপ্লবের সুবিধাভোগী উপদেষ্টারা বিগত ১০ মাসে জুলাই বিপ্লবের স্বাক্ষী ৩২ ০০০ পরিবারের কত % ভিজিট করেছেন, তাদের দুঃখবেদনা অভাব অভিযোগ শুনেছেন, জাতি আজ তা জানতে চায়। শেখ হাসিনা ৭১ চেতনা বিক্রি করতে যেয়ে পরিবারতন্ত্র কায়েম করেছিলো এবং জেলায় জেলায় গডফাদার তৈরি করেছিলো। আপনি চিন্তা ভাবনা করুন ৭১ বিক্রি করে আপনি নেলসেন ম্যান্ডেলা হবেন কি? জুলাই বিপ্লব বাদ দিয়ে ৭১ চেতনা বিক্রি করতে করতে ইতিহাস থেকে হারিয়ে যাবেন নাতো।
আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ ভারত উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের গত অন্তত তিনটি ‘বিতর্কিত’ নির্বাচনকে সমর্থন দিয়েছিল ভারত। একতরফা আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে গিয়ে দেশটি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতি সম্মান দেখায়নি সম্প্রতি। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশের নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক যাত্রা নিয়ে ভারত যে আগ্রহ দেখাচ্ছে, সেটা ভালো চিন্তা থেকে নয়, বরং তাদের নিজেদের স্বার্থ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, আমরা নিজেরাও চাই দেশে যত দ্রুত সম্ভব একটি নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার আসুক। কিন্তু ভারতের চাওয়ার ক্ষেত্রে স্বার্থের হিসাব রয়েছে। কারণ গত ১৫ বছর ভারত বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতি কোনো সম্মান দেখায়নি। এখন ভারত নির্বাচন চাচ্ছে কারণ-আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে তাদের সঙ্গে তারা যে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছে, বর্তমান সরকারের কারণে তা হালে পানি পাচ্ছে না। এছাড়া আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনতে একটি নির্বাচন সাহায্য করবে বলে মনে করছে দেশটি। নির্বাচিত সরকার এলে সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করতে সুবিধা হবে বলেও মনে করছে ভারত।
আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা পাচার করে মানবতা বিরোধী অপরাধী হিসেবে বিচারের মুখোমুখি। এমনই প্রেক্ষাপটে ড. ইউনুস দেশ সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেছে। ড. ইউনুসের কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলের প্রভাবমুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে প্রথম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন, দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন এবং তৃতীয় ধাপে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিতে হবে।
বাংলাদেশ ৩৬ জুলাই ২০২৪ সালের বিপ্লবের দাবি ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং জনগনকে গনতন্ত্রের স্বাদ উপহার দেওয়া। জনগন ভোটের অধিকার ফিরে পাবে এবং ক্ষমতাসীন দলের ধারা দিনের ভোট রাতে হবেনা। নির্বাচিত সরকার কোন শোষণ করবেনা, দেশে বৈষম্য থাকবেনা। বিগত ১০ মাসে রাজনৈতিক দলের সংস্কার নেই রাস্ট্রের সংস্কার চলছে। জাতী ৫৭জন সেনাবাহিনীর অফিসার হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও বিচার দেখতে চায়। সংখ্যানুপাতিক হারে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন,৭২ এর সংবিধান বাতিল, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ, ইসকন নিষিদ্ধে, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা পত্র, জুলাই বিপ্লবীদের নামে স্কুল কলেজের নামকরণ দেখতে চায়।
ড. ইউনুস এবং মাস্টার মাইন্ড মাহফুজের উচিত চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেফতার করে বিশেষ ট্রাইবুনালে দ্রুত বিচার করা! এতে দেশের আইন শৃংখলার উন্নয়ন ঘটবে। বিভিন্ন দাবি দাওয়ার নামে মিছিল মিটিং করার লোক পাওয়া যাবে না! পুলিশ কমিশনারের অনুমতি ছাড়া মিছিল মিটিং সমাবেশ করা যাবেনা, প্রজ্ঞাপন জারী করে অযৌক্তিক দাবি দাওয়া বন্ধ করা উচিত! অন্যথায় ফ্যাসিস্টরা সাবোটাজ করে সরকারকে বিপদে ফেলবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও জায়গা দখল করেছে হাজী সেলিম। ৩৬ জুলাই বিপ্লবের পরে জবির দখলকৃত হল ও জায়গা উদ্ধারে প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা। ছাত্রনেতা সৌম্য হত্যাকাণ্ডের তদন্ত দাবি না করে ভুল পথে হাটছে ছাত্রদল! রাত ১২.০০টায় অনিরাপদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা ও ছাত্রদল নেতা খুন! এ খুনের জন্য ভাইস চ্যান্সেলরের পদত্যাগ দাবি করার কোন যৌক্তিকতা নেই। ছাত্রদল নেতা কেন লেখাপড়া বাদ দিয়ে রাত ১২.০০ টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা মারছে এবং মাদক সেবন করছে। যে ছাত্র সংগঠনের লিডার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা মারে তারা দেশ জাতি এবং সাধারণ ছাত্রদের কি উপহার দিবে? ছাত্রদল ছাত্রশিবির এবং প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের উচিত ছাত্রদের রাত ৯.০০টার মধ্যে হলে প্রবেশের আন্দোলন করা।
ড. ইউনুসের উচিত ভারতীয় দালাল জরীপ কমিশন গঠন করা। ফেসবুক টুইটার জাতীয় পত্রিকা টকশো দেখে ভারতের দালালদের তালিকা তৈরি করে সংরক্ষণ করা। তাহলে তিনি বুঝতে পারবেন কোন শক্তি ভারতের তাবেদার লেন্দুপ দর্জির উত্তরসুরী। জুলাই বিপ্লব ধ্বংস করার জন্য বামপহ্নী ছাত্র সংগঠনের কাঁধে ফ্যাসিবাদের দোসরগোষ্ঠী ভর করেছে।এনসিপিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার করছে। যার ফলে আধুভাই ছাত্র নেতারা রাত ১২.০০টায় অনিরাপদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা ও ছাত্রদল নেতা খুন! এ খুনের জন্য ভাইস চ্যান্সেলরের পদত্যাগ দাবি করছে। ভিসির উচিত মোটর সাইকেল ব্যবহারকারী ছাত্রদের হলের সিট বাতিল করা। সুশীল সমাজের প্রতিনিধি রাজনৈতিক দলের লিডার এবং অভিভাবক ভাবুন।
লেখক : গবেষক ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ।