নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কের ওয়াপদা মাঠে চলছে মাসব্যাপী শিল্প পণ্য ও বাণিজ্য মেলা। ওই মেলায় দিবারাত্রি উচ্চ শব্দে বাজানো হচ্ছে মাইক। সেখানে বিরতিহীন গান-বাজনার শব্দ যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে আশপাশের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী সহ বাসা-বাড়ির বাসিন্দা ও পথচারীরা। বিশেষ করে মসজিদের মুসল্লী ও সরকারি জিয়া মহিলা কলেজে পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়ক, মহিপাল চৌধুরী বাড়ি, পাঠানবাড়ি সহ তৎসংলগ্ন এলাকায় শব্দদুষণের সহনীয় মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। মাইকে উচ্চমাত্রায় সাউন্ড বাজিয়ে চালানো হচ্ছে মেলার প্রচারণা। শহরের অলিগলিতে বিরতীহীনভাবে নিয়মিত চলে মাইকিং। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া আর অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে শহরবাসী।
গতকাল সরকারি জিয়া মহিলা কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের পরীক্ষা হয়। এখানে ৪ শতাধিক ছাত্রী এ পরীক্ষায় অংশ নেন। গত ১৭ জানুয়ারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা শুরু হয়।
মেহেরুন নেছা মজুমদার নামে এক শিক্ষার্থী জানান, কলেজে প্রবেশের পর থেকে বের হওয়া পর্যন্ত মেলার মাঠের মাইকের সাউন্ড এত উচ্চমাত্রায় বাজানো হয় পরীক্ষা দিতে অসহনীয় অবস্থার সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন ধরে এটি চলতে থাকলেও দেখার যেন কেউই নেই।
ফেনী সরকারি জিয়া মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কামরুন নাহার জানান, সাউন্ডের কারণে কলেজে প্রাক-নির্বাচনী এমনকি বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে মাষ্টার্স ফাইনাল পরীক্ষা। হোস্টেলে থাকা শিক্ষার্থীরা দুপুরের পর থেকে ঘুমাতেও পারেনা, পড়তেও পারেনা। যা খুবই যন্ত্রণাদায়ক।
হলি ক্রিসেন্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা লুনা ফেরদৌস জানান, অনিয়ন্ত্রিত এসব শব্দ দূষণের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। দু:সহ শব্দদূষণ বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরী।
ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও উন্নয়ন, আইসিটি) ফাহমিদা হক বলেন, সাউন্ড সিস্টেমে ভোগান্তি এমনিতেই কষ্টদায়ক। মেলার আয়োজক ও অনুমতিদাতা সংস্থার সাথে যোগাযোগ করে এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হবে।