আরিফ আজম :
সন্ধ্যার পর থেকে টইটুম্বুর মুহুরী নদীর পানি। রাত যত গভীর হয় ততই বাড়তে পানির স্রোত। এরপর ঘরের কিছু মালামাল পাশ^বর্তী বাড়িতে সরিয়ে নেয়া হলেও খাট-বিছানাপত্র সহ আসবাবপত্র সবটুকু সরানো যায়নি। পানির প্রবল স্রোতে ঘরের পাশে বৃহদাকার একটি গাছ উপড়ে পড়ে। ধীরে ধীরে ভিটে থেকে মাটি সরে গিয়ে পানির চাপে টিনশেডের ঘরটি ভেঙ্গে পড়ে। ততক্ষনে স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেন নুরুল করিম। তার বাড়ি ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের বরইয়া এলাকায় হাফেজ সাহেবের বাড়ি।
স্থানীয়রা জানান, ৩৪ বছর বয়সী নুরুল করিম রাজধানীর মহাখালী এলাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানীতে চাকুরী করেন। বাড়ি থাকেন স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান সিদরাতুল মুনতাহা (৬) ও মুহতাসিমুল হক ওয়াসিফ (২)।
গতকাল সরেজমিনে দেখা গেছে, পানি ক্রমেই বাড়ছে। পানি কমলেও এখানে বাড়ি করার অবস্থা নেই। টিন ও বাঁশ ভেঙ্গে পড়েছে। ভিটের মাটি বিলীন হয়ে গেছে। পাশ^বর্তী গাছটি বাঁধের ভাঙ্গনস্থলে আগে উপড়ে না পড়লে আসবাবপত্র ভেসে যেতো।
নুরুল করিম জানান, ৭-৮ বছর আগে তিনি ঘরটি দিয়েছেন। মাত্র ১২ হাজার টাকা বেতনে চাকুরী করেন। এখন কী করবেন কিছু বুঝে উঠতে পারছেন না।
খবর পেয়ে গতকাল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন মজুমদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত নুরুল করিমকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ভূঁইয়া জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করে সহায়তা করা হবে।