মোঃ মাঈন উদ্দীন :
চামড়া দেশের গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি পণ্য । পোশাক শিল্পের পরই চামড়ার স্থান। আশির দশক থেকেই এই শিল্পের নানা সমস্যার কথা বলা হলেও একে একটি সুষ্ঠু কাঠামোর মধ্যে আনা যায়নি। পোশাক খাতের প্রতি নজর বেশি থাকায় তা অনেকদূর এগিয়েছে। চামড়াশিল্পে রফতানির সম্ভাবনাকে ধরে রাখতে হলে আমদানিযোগ্য কাঁচামাল, শুল্ক ব্যবস্থাপনা, পণ্য ছাড় করা ও ব্যবসা সহজীকরণ নিশ্চিত করা উচিত। দেশে শিল্প বিকাশে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য বড় আকারে ভুমিকা পালন করতে পারে। বৈদেশিক মুদ্রা আহরনে ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে চামড়া শিল্পের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য দ্বিতীয় বৃহৎ রপ্তানি পণ্য। দীর্ঘদিন ধরে বাস্তব মুখী পরিকল্পনা ও আন্তর্জাতিক গুনমানের অভাবে এ শিল্পের বিকাশের পথ রুদ্ধ হয়ে আছে। তবে আশার আলো হলো শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক দেশের চামড়া শিল্প ব্যবস্থাপনায় ‘বাংলাদেশ চামড়া শিল্প ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ আইন ২০২৪’ শীর্ষক যে খসড়া আইন প্রণয়ন করা হয়েছে তার বাস্তবায়নে এ শিল্পের বিকাশে ভুমিকা পালন করতে আশা করি সহায়ক হবে।
চামড়ার ওপর ভর করে দেশে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রায় ৯ লাখ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে। এই শিল্পকে কেন্দ্র করে দেশে গড়ে উঠেছে প্রায় ২৩০টির ও বেশি ট্যানারি। গত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় বাজারে কাঁচা চামড়ার দাম কম। কোরবানির সময় পানির চেয়েও কম দামে চামড়া বিক্রি হয়। আবার সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করার কারণে ও উপযুক্ত দাম না পাওয়ায় অতীতে চামড়া নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে, মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে। এ ধরনের খবর খুবই উদ্বেগজনক।
চামড়ার মতো এত গুরুত্বপূর্ণ খাত দেখার কি কেউ নেই! প্রতিবেশী ভারতে বাংলাদেশী চামড়ার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ও দামও বেশি। কারণ বাংলাদেশী চামড়ার মান ভালো। সুযোগ নিয়ে কিছু পাচারকারী প্রতিবেশী দেশ ভারতে প্রতি বছর চামড়া পাচার করে যাচ্ছে। দেশীয় বাজারে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের কারখানা প্রতিষ্ঠা, চাহিদা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করলে চামড়া পাচার রোধ করা সম্ভব। এই সঙ্কট উত্তরণের জন্য সরকারকেই পদক্ষেপ নিতে হবে।
ঢাকার হাজারীবাগ থেকে চামড়া শিল্প নগরী স্থানান্তরের জন্য ২০০৩ সালে একটি প্রকল্প নেয় সরকার। সে অনুযায়ী ২০০ একর জমি নিয়ে সাভারের হেমায়েতপুরের হরিণধরায় গড়ে ওঠে চামড়া শিল্প নগরী। বুড়িগঙ্গা নদীকে বাঁচাতে ঢাকার হাজারীবাগ থেকে ২০১৭ সালে চামড়াশিল্পকে সাভারে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সাভারে ১৪১টি ট্যানারি রয়েছে। যেখানে ৫৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি) তৈরি করা হয়। কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি) পুরোপুরি প্রস্তুত না হওয়ায় এলডব্লিউজি সনদ অর্জনও সম্ভব হচ্ছে না। মূলত এলডব্লিউজি সনদ না থাকায় দেশের চামড়া শিল্পের অগ্রগতি হচ্ছে না। এ খাতের উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এলডব্লিউজি সনদ অর্জনে যেসব মানদণ্ড রয়েছে তা পূরণে জোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে সরকারক।
চামড়া খাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্প নগরের দূষণ বন্ধ না হওয়ায় ইউরোপ-আমেরিকার বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড ও ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলো সরাসরি বাংলাদেশী চামড়া কিনছে না। ফলে বাংলাদেশী চামড়া বড় ক্রেতা বর্তমানে চীন। তারা কম দাম দেয়। সেটির প্রভাব কাঁচা চামড়ার দামেও পড়ছে। বাংলাদেশ থেকে চীনে যে শতকরা ৮০ ভাগ লেদার যাচ্ছে, তা মূলত ক্রাস্ট লেদার। সেগুলোকে বিভিন্নভাবে প্রক্রিয়াজাত করে ফিনিশ লেদারে পরিণত করে বিভিন্ন দেশে রফতানি করছে চীন। অথচ বাংলাদেশ নিজেই যদি আধুনিক ট্যানারি শিল্প গড়ে তোলার মাধ্যমে ফিনিশ লেদার রফতানি করতে পারত, তাহলে আরো বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারত।
এ শিল্পনগরীকে উন্নত করতে হলে অবকাঠামো আধুনিকিকরণ করতে হবে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনকে (বিসিক) চামড়া শিল্প নগরীর শিল্প সমাধানের দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া উচিত। বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডব্লিউজি) সনদ পওয়া যায়নি এখনো। ইউরোপ আমেরিকার নামকরা আমদানিকারকদের কাছে সরাসরি চামড়া রফতানি করা যাচ্ছে না। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ভালো ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে পারছে না বাংলাদেশ। ফলে এ খাতের রফতানি এখনো কাক্সিক্ষত মানে পৌঁছেনি।
যদিও সাত বছর আগে রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি শিল্পকে সাভারে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে অবস্থার বিশেষ কোনো পরিবর্তন হয়নি। কমপ্লায়েন্সের অভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে দেশীয় চামড়ার মূল্য কমেছে। আবার ট্যানারির শ্রমিকরাও ন্যূনতম মজুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। শ্রমিকদের আবাসন ও চিকিৎসাসহ তাদের জীবনযাপনের মৌলিক চাহিদা পূরণে নেই যথাযথ ব্যবস্থা। ট্যানারিগুলোয় স্থায়ী ও অস্থায়ী দুই ধরনের শ্রমিক কাজ করেন। তাদের জীবন অনেকটা দুর্বিষহ। মজুরি বোর্ডের নির্ধারিত গ্রেড নয়, অভিজ্ঞতার আলোকে তাদের বেতন নির্ধারিত হলেও ওভারটাইম ও ছুটি সুবিধা সীমিত। নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা। সন্তানদের শিক্ষার ব্যবস্থাও ঠিকমতো করতে পারেন না তারা। তাই শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
বাংলাদেশে জুতার বাজারেও চামড়াশিল্পের বিরাট অবদান রয়েছে। চামড়া ও চামড়াবিহীন প্রধানত দুই ধরনের জুতা তৈরি হয় দেশে। এতে আমাদের স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে কিছু পণ্য বিদেশেও রফতানি হয়। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য সূত্রে জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রফতানি হয়েছিল ৭৮ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াবিহীন জুতা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রফতানি হয় ৮০.৯৬ কোটি, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮৭.৯৩ কোটি ও ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৭৫.০৫ কোটি ডলারের জুতা রফতানি হয়।
লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এলএফএমইএবি) সূত্রে জানা যায়, বিশ্বে জুতার মোট বাজারের ৫৫ শতাংশ চীনের দখলে। এতে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮ তে। তবে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের এ খাতে অবদান মাত্র ১ দশমিক ৭ শতাংশ। বর্তমানে প্রায় ৯০টি দেশে বাংলাদেশের জুতা রফতানি হচ্ছে। সাভারের শিল্পনগরীকে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী তৈরি করে পরিবেশবান্ধব করা ও সিইটিপির আধুনিকরণ করা জরুরি। সাথে সাথে বিশ্ববাজারের সাথে মিলিয়ে মূল্য প্রতিযোগিতামূলক করা। চামড়াশিল্প পিছিয়ে পড়ার অন্যতম আরেকটি কারণ হলো দেশী বাজারে নতুন কোনো ব্র্যান্ড, কোম্পানির প্রতিযোগিতা কম। কমপ্লায়েন্সের অভাব, পরিবেশ ছাড়পত্র পেতে জটিলতা। পরিবেশবান্ধব চামড়া ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা ও ডেভেলপমেন্টমূলক কাজ না থাকা।
বাংলাদেশের পশুর চামড়ার মান ভালো, সরবরাহও বেশি হওয়ার পরও আন্তর্জাতিক মানের ব্যবস্থাপনা না থাকায় বিপুল সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ২৪০ বিলিয়ন ডলারের চামড়ার বাজার আছে। ইউরোপ আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জুতা, ট্রাভেল ব্যাগ, লেডিস ব্যাগ, বেল্ট, ওয়ালেট, পার্টস, ওয়ার্কিং হ্যান্ড গ্লাবস প্রভৃতি। বর্তমানে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানি এক বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, করোনা বা তার কাছাকাছি সময়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে সামগ্রিক রফতানি আয় ৩৪.৩৮ শতাংশ বেড়েছিল। এতে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে ১২৫ কোটি ডলার আয় হয়েছে। এ খাতে রফতানি বেশ কয়েক বছর পর শতকোটির ঘরে পৌঁছেছে।
পরিবেশ দূষণজনিত কারণে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের পর থেকে এই খাতের রফতানি কমতে থাকে টানা দুই বছর শতকোটি ডলারের নিচে রফতানি থাকার পর অর্থবছর (২০২১-২২) এই খাতটি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল। ২০২১-২২ অর্থবছরটি শেষ হয়েছে ৫২ বিলিয়ন বা পাঁচ হাজার ২০০ কোটি ডলারের রফতানি আয় দিয়ে। আগের অর্থবছরের তুলনায় অনেকদূর এগিয়ে যাওয়া রফতানি খাতের এই ধারা ধরে রাখা যাবে কি না সেটি এখন প্রশ্ন। এ জন্য আমাদের রফতানিযোগ্য পণ্যের গুণগত মান বাড়াতে হবে। চামড়া ও চামড়া জাত পণ্যের রফতানি বাড়াতে হলে বৈশ্বিক সংস্থা লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের সনদ নিতে হবে। দেশের পরিবেশ অধিদফতরের নির্ধারিত মানদণ্ড অর্জন করতে হবে। চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনে শতভাগ কাঁচামাল আমাদের দেশে আছে। তথাপিও এই শিল্পের বিকাশ কাঙ্খিত মানের নেই। এ ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এবং সরকারকেও এগিয়ে আসা উচিত। না হলে এই শিল্পের সম্ভাবনা বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। কিছু উন্নত দেশ চামড়ার অভাবে তাদের ট্যানারি বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু সেসব দেশে চামড়াজাত পণ্য তৈরির কারখানা যথারীতি চালু আছে। ফলে সেসব দেশে শিল্পের কাঁচামাল বা ফিনিশড লেদারের চাহিদা রয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগালে আমাদের রফতানি আয় বাড়বে। চামড়াবিহীন জুতা রপ্তানিতে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে আমাদের দেশে ।‘আমাদের দেশের মোট রপ্তানি আয়ের বড় অংশ আসে এখাত থেকে । তবে শুধু চামড়াবিহীন জুতা থেকেও ব্যাপক পরিমাণ রপ্তানি সম্ভব। ইউরোপ-আমেরিকার বাইরে আফ্রিকায় চামড়াবিহীন জুতার ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে জুতার বাজার ভারত ও চীনের দখলে। ফলে আমাদের সামনে অবারিত সুযোগ।
চামড়াবিহীন জুতার বাজার ধরতে হলে উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনতে হবে। শ্রমিকদের দক্ষতা প্রতিনিয়ত বাড়াতে হবে। বিশ্ববাজারের ক্রেতারা এখন বহুমুখী উৎস থেকে চামড়া সংগ্রহ করছেন। বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারে। এ জন্য চামড়াশিল্পকে আরো প্রতিযোগিতার সামর্থ্য অর্জন করতে হবে। বিশেষ করে সাভারের শিল্পনগরীর কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগারকে আরো বেশি কার্যকর করতে হবে। পরিবেশবান্ধব শিল্পনগরী হিসেবে এর উত্তরণ ঘটাতে হবে। এ শিল্পের রফতানি বাড়াতে হলে পরিবেশসম্মত ট্যানারি স্থাপনের বিকল্প নেই। রফতানিকে আরো গতিশীল করার জন্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের সনদ পাওয়ার জন্য এবং পরিবেশবান্ধব বর্জ্য শোধনাগার ও তার বর্জ্য ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। আমাদের দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক । রপ্তানি আয়ের ৮৫ শতাংশই আসে এই খাত থেকে। এর বাইরে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় দেশে আসে এমন শিল্পের মধ্যে চামড়াও চামড়া জাত পণ্য একটি। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)তথ্য থেকে জানা যায় ২০২৩-২৪অর্থবছরে ১১ মাসে (জুলাই – মে )চামড়া ও চামড়া জাত পণ্য রপ্তানি থেকে ৯৬ কোটি ১৫ লাখ ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। দুর্ভাগ্য হলো এটি আগের অর্থ বছর ২০২২-২৩ এর চেয়ে ১৪.১৭ শতাংশ কম। ২০২২ -২৩ অর্থবছরে জুলাই – মে সময়ে এখান থেকে রপ্তানি হয়েছে ১১২ কোটি ডলার । যা ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ১.৭৪ শতাংশ কম অর্থাৎ ক্রমান্বয়ে এখাত থেকে তুলনামূলকভাবে রপ্তানি কমে যাচ্ছে যা এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ খাতকে অবহেলার বা অবজ্ঞার ই
প্রতিচ্ছবি। এ শিল্প নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা আলোচনা পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা হলেও তাতে বাস্তবধর্মী কোন পদক্ষেপ ও বাস্তবায়ন না হওয়ায় কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু পোশাক শিল্পের উপর ভর করে দেশের রপ্তানি আয় বাড়ানোর চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সম্ভাবনাময়ী এই খাতকে এগিয়ে নিতে বাস্তব ধর্মীয় কার্যকরী পদক্ষেপ এখনি নেওয়া দরকার।
লেখক : ব্যাংকার ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক।