দারুণ খুশি কন্যাদায়গ্রস্থ বাবা
আলী হায়দার মানিক :
ছাগলনাইয়া উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের দক্ষিণ আঁধারমানিক গ্রামের হতদরিদ্র শামছুল হকের মেয়ে মারিয়া জাহানের বিয়ের ব্যবস্থা করলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা ও সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিয়েছেন ফেনী-১ আসনের বিএনপির সাংগঠনিক সমন্বয়ক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক রফিকুল আলম মজনু। রবিবার জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুভ বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। তারেক রহমানের এমন মানবিক কাজে দিনমজুর পিতা শামছুল হক কন্যার দায়মুক্ত হন। শামছুল হক ও এলাকাবাসী তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
স্থানীয়রা জানায়, রফিকুল আলম মজনুর মোবাইল ফোনে মারিয়ার বাবা শামছুল হকের সঙ্গে কথা বলেন তারেক রহমান। এসময় তারেক রহমান নতুন বরের সাথেও কথা বলেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দক্ষিণ আঁধারমানিক গ্রামের বাসিন্দা দিনমজুর শামছুল হকের তিন ছেলে দুই মেয়ে। বড় মেয়ে মারিয়া জাহান এসএসসি পাশ করেছে। সংসারে অভাব অনটনের কারণে মারিয়া জাহানের লেখাপড়ার খরচ চালানো দরিদ্র পিতার পক্ষে অসম্ভব ছিল। সম্প্রতি দিনমজুর শামছুল হকের বড় মেয়ে মারিয়া জাহানের সাথে মহামায়া ইউনিয়নের সত্যনগর গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে সিএনজি অটোরিক্সা চালক মো: তারেক জিয়ার বিয়ের দিন তারিখ ধার্য হয়। কন্যার বিয়ের জন্য পিতা শামছুল হক বিত্তবানদের সহযোগিতা চান।
মেয়ের বাবা শামছুল হক জানান, আর্থিক অনটনের কারণে মেয়ের বিয়ের জন্য কিভাবে টাকা ব্যবস্থা করবো এনিয়ে বড় দুশ্চিন্তায় ছিলাম। হঠাৎ স্থানীয় বিএনপি নেতারা যোগাযোগ করে বলেন মেয়ের বিয়ের টাকা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। এরপর রফিকুল আলম মজনু বিয়ের আর্থিক সহযোগিতা সহ যাবতীয় ব্যবস্থা করেন। এতে আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি। নতুন আত্মীয়-স্বজনকে সর্বোচ্চ আপ্যায়ন করতে পেরেছি। এছাড়া তারেক রহমান মোবাইল ফোনে কথা বলে আমাকে আরো বেশি সম্মানিত করেছেন। আমি বিএনপির প্রতি সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো।
জানতে চাইলে রফিকুল আলম মজনু জানান, স্থানীয় বিএনপির মাধ্যমে জানতে পারেন ওই এলাকায় একজন হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ের বিয়ের দিন ধার্য করা হয়েছে। কিন্তু তাদের আর্থিক অনটন থাকায় পরিবারের পাশে তিনি দাঁড়িয়েছেন। বিষয়টি তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে আলাপ করলে তিনিও পরিবারের পাশে থেকেছেন। তিনি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিয়ে অনুষ্ঠানে মেয়ের বাবা ও বরের সঙ্গে কথা বলেছেন।
বিয়ের অনুষ্ঠানে রফিকুল আলম মজনু ছাড়াও ছাগলনাইয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব নুর আহাম্মদ মজুমদার, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক কফিল উদ্দিন সরকার, রাধানগর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক রবিউল হক চৌধুরী মাহবুব, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কাজী জসিম উদ্দিন, যুগ্ম-আহ্বায়ক আবদুল মোমিন ভূঁইয়া, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাফর হোসেন মজুমদার, সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন রাজিব, যুগ্ম-আহ্বায়ক আজম পাটোয়ারীসহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।