খন্দকার নাজমুল হক
নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস খাদ্য দ্রব্যের লাগামহীন মুল্য বৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরেছেন। এবারের রমজানে লুট হওয়া ব্যাংকগুলোকে বন্ধ না করে ধিরে ধিরে বিশেষ পরিকল্পনায় বাচিঁয়ে তুলছেন! এবারের রমজানের বাজার নিয়ন্ত্রণ এমনভাবে করা হয়েছে যেন মোগল সুবেদার শেরশাহের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। বিগত বছর রমজানে ২০০ টাকার পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি, ৪০০ টাকার কাঁচা মরিচ ৫০ টাকা কেজি, ১০০ টাকার তরকারি এখন ৩০/৪০ টাকা, টমোটো মাএ ১০ টাকা, আলু ২০ টাকা। প্রতি বছর রোজায় বেগুন প্রতি কেজি ছিল ১৫০/২০০ টাকা, এবার বেগুন প্রতিকেজি ৩০/৪০ টাকা। এবারের রমজানের বিশেষ আকষণ জাতিসংঘ মহাসচিব গুতরেজের বাংলাদেশ সফর এবং রোহিঙ্গাদের সাথে ইফতারে অংশগ্রহণ। ১০০,০০০ রোহিঙ্গার সাথে মিলেমিশে একাকার ড. ইউনুস এবং গুদরেজ। ড. ইউনুস ঘোষণা দিয়েছেন আগামী রমজান মাসে ইফতার করবেন রাখাইন প্রদেশে। বিশ্ববাসীকে মেসেজ দিয়েছেন রোহিঙ্গারা ২০২৬ সালের মধ্যে নিজের দেশে ফিরে যাবে। ড. ইউনুস ইসলামের ফোবিয়া দূর করার জন্য টুপি পড়েন এবং গুতরেজ মুসলমানদের প্রতি সন্মান দেখিয়ে রোজা রেখেছেন। ইফতার কুটনীতিতে ড. ইউনুস ফ্যাসিবাদী ভারতের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করে ছিলেন তার প্রমাণ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাদের সাথে ইফতারে অংশগ্রহণ করা। থ্রী জিরো থিউরীর প্রবক্তা ড৷ ইউনুস আন্তর্জাতিক কুটনীতিতে একজন জাতীয়তাবাদী নেতায় পরিণত হয়েছেন। পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিবাদের দোসরদের পাশবিকতার শিকার নাগরিকদের পাশে দাঁড়িয়ে ভারতের আগ্রাসন রুখে দাঁড়িয়েছেন। ৩৬ জুলাই বিপ্লব টিকিয়ে রাখতে রাস্ট্র সংস্কারের প্রাথমিক ধাপ অজিত হয়েছে, ভোট ডাকাতি রুখতে পারলে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ইউনুস আবার দ্বিতীয় নোবেল মঞ্চে দাঁড়াবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা
বিগত ১০ বছরের মধ্যে এবারের রামাদানে সবচেয়ে কম দামে পণ্য পাচ্ছে ক্রেতারা। গত ৬ মাসে ড: মুহাম্মদ ইউনূস দ্রব্যমুল্েযর লাগাম টেনে ধরেছেন। ২০০ টাকার পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি, ৪০০ টাকার কাঁচা মরিচ ৫০ টাকা কেজি, ১০০ টাকার তরকারি এখন ৪০/৫০ টাকা। বিগত ফ্যাসিস্টের আমলে, সব কিছুর দাম বেড়েছে শুনলেই আমাদের বিকল্প সব বুদ্ধি দেয়া হত কিন্তু দাম বৃদ্ধির লাগাম টা টানা হতো না। পশ্চিমাবিশ্ব সফলভাবে ইসলামোফোবিয়া ছড়াতে ভারত এবং বিজেপিকে সফলভাবে কাজে লাগিয়েছে। ভারত আধিপত্য কায়েম রাখতে মুসলিম জেনোসাইডের দিকে আগাচ্ছে। ভারতের বিজেপি আওয়ামীলীগ আপ্রাণ চেষ্টা করছে আন্তর্জাতিক কুটনীতিতে ড. মোহাম্মদ ইউনুসকে বেকাদায় ফেলানোর জন্য মেগাফোন কূটনীতির মাধ্যমে। ওরা ফ্যাসিবাদের চুরি করা হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে লবিষ্ট নিয়োগ করেছে এবং এদেশের ভারতীয় দালালদের মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। রাজনৈতিক দলের লিডারদের টাকার বিনিময়ে ইনক্লুসিব ইলেকশন দাবি করে যাচ্ছে, অনেকে আওয়ামী লীগের জন্য মায়াকান্না করছে। অনেক উপদেষ্টা ফ্যাসিস্টদের পক্ষ নিয়েছে।
সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার আওয়ামী লীগকে পূর্ণবাসন করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। পিলখানায় ২৫ ফেব্রুয়ারিতে বিডিআর বিদ্রোহ সেনাবাহিনীর ৫৭ সেনা কর্মকর্তা হত্যাকারীদের সঠিক বিচার হয়েছে। সেজন্য কোন বা যদি, বিন্দু প্রশ্ন করা যাবেনা। আওয়ামী লীগকে ফেরাতে সেনাবাহিনীর ভেতরে পলাতক হাসিনার পাচাটারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ইনক্লুসিভ ইলেকশনের নামে আওয়ামী পূর্ণবাসনের পরিকল্পনা প্রায় চুড়ান্ত! জাতীয় নাগরিক পাটির হাসনাত আব্দুল্লাহকে গত ১১ মার্চ ক্যান্টনমেন্টে ডেকে নিয়ে নরমে-গরমে বোঝানোর চেষ্টা করেন জেনারেল ওয়াকার। আলোচনাকালে সেনাবাহিনী প্রধান হাসনাতদের বলেছে, ইউ পিপল নো নাথিং। ইউ ল্যাক উইজডোম এন্ড এক্সপিরিয়েন্স। উই আর ইন দিজ সার্ভিস ফর এটলিস্ট ফোর্টি ইয়ার্স। আওয়ামী লীগ ছাড়া ‘ইনক্লুসিভ’ ইলেকশন হবে না। এভাবে ওয়াকার এবং বিএনপির ফখরুল চুপ্পুরে সরাইতে দেয় নাই, শিরিন শারমিন গোপনে পাসপোর্ট করার বিষয়টি ধরা পড়ার পরও তাকে ‘বৌ এর আদরে’সেনা অফিসার্স মেসে থাকতে দেয়া হয়েছে। ৬২৬ জন আওয়ামী ক্রিমিনাল সেনাবাহিনীর আশ্রয়ে ছিলো। ড. ইউনুস ভারতীয় আধিপত্যবাদ রুখতে জাতীয় নাগরিক পাটির মুখ্য সম্বন্নয়ক হাসানাত আব্দুল্লাহকে ব্যবহার করেছেন।
সেনাপ্রধান এবং হাসানাত আব্দুল্লাহর বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা হচ্ছে এমন আলোচনা রাজনৈতিক অঙ্গনে ঝড় তুলছে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ সমাবেশ থেকে ‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ মঞ্চ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্মের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এরপর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। ‘আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারলে জুলাই বিপ্লব ব্যর্থ হয়ে যাবে। আমাদের শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত আমাদের শহীদদের রক্ত আমরা বৃথা হতে দেব না। ৫ আগস্টের পরের বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কামব্যাকের আর কোনো সুযোগ নেই; বরং আওয়ামী লীগকে অবশ্যই নিষিদ্ধ হতেই হবে।’ হাসনাতের এই স্ট্যাটাসের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকেরাও ফেসবুকে এ বিষয়ে বিভিন্ন বক্তব্য তুলে ধরেন। নানামুখী আলোচনার মধ্যেই বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন একদল শিক্ষার্থী। সেখান থেকে গতকাল বিকেলে বিক্ষোভ কর্মসূচির দেওয়া হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া নিজের ফেসবুক পেজে ১৭ ভিডিও বক্তব্যে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করার প্রস্তাবে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার–উজ–জামান আপত্তি তুলেছিলেন বলে উল্লেখ করেন। এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে ষড়যন্ত্রকারীরা এখন আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের দেশবিরোধী চক্রান্ত মোকাবিলায়’ ছাত্র-নাগরিক, বিএনপি ও জামায়াত এবং সেনানিবাসে বেসামরিক প্রশাসনকে এই লড়াইয়ে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টার প্রতিবাদ ও গণহত্যার দায়ে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে শুক্রবার ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ এর কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব জাহিদ আহসান বলেন, আওয়ামী লীগ নামে ও তাদের প্রতীক নিয়ে কাউকে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের’ ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। সেখান থেকে ‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ মঞ্চ’ নামের একটি প্ল্যাটফর্মের ঘোষণা দেওয়া হয়।
ভারতীয় পরিকল্পনায় আওয়ামী লীগ’ পূর্ণবাসনের নামে একটি নতুন রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র চলছে, যেখানে সাবের হোসেন চৌধুরীকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করা হবে। যেখানে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আসন সমঝোতার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। এই পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হলো, দুর্বল আওয়ামী লীগসহ একাধিক বিরোধী দল তৈরি করে রাজনৈতিক ভারসাম্য আনা। এপ্রিল-মে থেকে শেখ হাসিনার অপরাধ স্বীকার করে কিছু নেতা ‘বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ’ নামে জনসমক্ষে হাজির হবে। হাসানাত আব্দুল্লাহ এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করেন এবং দাবি করেন যে, আওয়ামী লীগের বিচার হওয়া উচিত, পুনর্বাসন নয়। কিন্তু প্রস্তাবদাতারা জানান, আওয়ামী লীগকে ফেরানোর পথে বাধা দিলে দেশের সংকটের দায় বিরোধীদের নিতে হবে এবং ‘আওয়ামী লীগ মাস্ট কাম ব্যাক’।
ড. মোহাম্মদ ইউনুস সাহেব ভারতের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে আন্তর্জাতিক বিশ্বে ইতিহাস গড়ে তুলেছেন। তিনি নতুন এক কূটনীতি শুরু করেছেন, যেটার নাম ‘ইফতারি কূটনীতি’। জাতিসংঘের সদস্য রাস্ট্র ১৯৪টা। জাতিসংঘের মহাসচিব যেখানে যাবে, এই ১৯৪ টা দেশ সেই প্রোগ্রামের নিউজ করতে বাধ্য। আমেরিকা থেকে দক্ষিণ সুদান পর্যন্ত। ইউনুস সাহেব গুতেরেসকে পাঞ্জাবি আর টুপি পরিয়ে হাজির করেছিলেন ১ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সামনে। নিজেও পরছেন টুপি। ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে কঠিন এক অবস্থান। পশ্চিমা দেখলে দাড়িও ছিড়ে ফেলে। তিনি সাহস নিয়ে ঘোষণা দিলেন চট্রগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় ঘোষণা দিয়েছেন আগামী ঈদ যেন রোহিঙ্গারা নিজের দেশে পিতা মাতা দাদা দাদি এবং নানা নানির কবরের পাশে কাটাতে পারে এবং তাকেও যেন দাওয়াত দেয়। ইউনুস বিশ্ববাসীকে মেসেজ দিয়েছেন উনার পাশে জাতীসংঘ মমহাসচিব গুতেরেস রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সামনে উপস্থিত আছে, এইটা বলার সময়। এই খবর ১৯৪টা দেশে প্রচারিত হইছে। ড. ইউনুস বলছিলেন ইউরোপ আমেরিকা ‘আমরা কেন যাব? সবাই আসবে আমাদের কাছে। কথাটা যেন সত্যি হচ্ছে। গুতেরেস ৪ দিনের জন্য এসেছেন, ইলন মাস্ক এ বছর আসার খুব সম্ভাবনা আছে, সৌদি আরবের আরামকো আসতেসে, মালেশিয়া থেকে, চীন থেকে বিভিন্ন কোম্পানি আসিতেছে। এভাবে ড. ইউনুস ভারতের তাবেদার লেন্দুপ দর্জির নতজানু পররাস্ট্র নীতি লুটেরা গোষ্ঠীর সিন্ডিকেট ব্যবসা ভেংগে দিয়ে ভারতের বিকল্প বানিজ্যের দ্বার উন্মোচন করে আন্তর্জাতিক কুটনীতিতে একজন জাতীয়তাবাদী নেতায় পরিণত হয়েছেন।
রোহিঙ্গাদের সাথে ইফতারিকে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বে বিশাল এক বার্তা দিলেন। প্লেকার্ড সেট করেছেন স্ট্র্যাটেজিক লোকেশনে। যাতে মিডিয়া যেভাবেই প্রচার করুক প্লেকার্ড লেখা যেন চোখে পড়ে। জাতীসংঘ মহাসচিব প্লেকার্ড লেখা যেন নিজের চোখে পড়তে পারেন।
এই যে মেগাফোন ডিপ্লোমেসিকে উড়িয়ে দিবেন এইভাবে, আমরা ভাবতে পারি নাই। এরকম একজন ক্যারিশমাটিক লিডার বাংলাদেশে আর আসবে কি না সন্দেহ আছে। রামাদানে তো সব পণ্যের দাম কমছে। বিগত বছর রমজানে ২০০ টাকার পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি, ৪০০ টাকার কাঁচা মরিচ ৫০ টাকা কেজি, ১০০ টাকার তরকারি এখন ৩০/৪০ টাকা, টমোটো মাএ ১০ টাকা, আলু ২০ টাকা। প্রতি বছর রোজায় বেগুন প্রতি কেজি ছিল ১৫০/২০০ টাকা, এবার বেগুন প্রতিকেজি ৩০/৪০ টাকা। এবারের রমজানের বিশেষ আকষণ জাতিসংঘ মহাসচিব গুতরেজের বাংলাদেশ সফর এবং রোহিঙ্গাদের সাথে ইফতারে অংশগ্রহণ। ১০০,০০০ রোহিঙ্গার সাথে মিলেমিশে একাকার ড. ইউনুস এবং গুদরেজ। ড. ইউনুস ঘোষণা দিয়েছেন আগামী রমজান মাসে ইফতার করবেন রাখাইন। বিশ্ববাসী ড. ইউনুসের আন্তর্জাতিক কুটনীতিতে ইফতার কুটনীতির দিকে তাকিয়ে আছে। বিশ্ববাসী ভারতের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে।
অধ্যাপক ড. ইউনুস বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাসন দিয়েছে দেশীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছেন। তিনি বিভিন্ন বিভাগের সুচক ও উন্নয়ন অগ্রগতি তুলে ধরেন। কেয়ারটেকার সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং জানুয়ারী মাসেই ৭% বেড়েছে। রপ্তানি বেড়েছে ১৩%। মধ্যপ্রাচ্যের এয়ার টিকিটের দাম ৭৫% কমে গেছে। এপ্রিল মাসে ৪দিন ব্যাপি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন হবে ঢাকায়। বিশ্ববিখ্যাত ডিপি ওয়ার্ল্ড, সিংগাপুর পিএসএ, এপি মোলান মার্ক্স কয়েক বিলিয়ন ডলার প্রস্তাব দিয়েছে। গত জানুয়ারি মাসের সুইজারল্যান্ডের ডাবলস এ ৪৭ টি আলাদা ইভেন্টে অংগ্রহণ করে সেখানে বিভিন্ন সরকার প্রধান, ইনভেস্টরদের সাথে মিটিং এ তারা বাংলাদেশ এ বিনিয়োগ নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা ইস্যু শীঘ্রই সমাধান হয়ে যাবে। আরব আমিরাতকে শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলার কথা বলায় তারা আগ্রহ প্রকাশ করেছে, ২ টি কাজ দিয়ে তারা শুরু করবে। ক) মুসলিম বিশ্বের জন্য হালাল গোস্ত প্রসেসিং কারখানা খ) মৎস্য প্রসেসিং কারখানা চালু গ) নতুন সমুদ্র বন্দর পরিচালনার জন্যেও আগ্রহ দেখিয়েছে। আসিয়ান সদস্য হওয়ার জন্য ড. ইউনুস আগ্রহ দেখিয়েছেন, আসিয়ান বর্তমান চেয়ারম্যান মালয়েশিয়া। তাদের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীম ড. ইউনুসের আবেদনে সারা দিয়েছেন। তিনি ড. ইউসুসকে তাদের দেশে আমন্ত্রণ জানায়ছে। মালয়েশিয়া রহিংগা সমাধান ইস্যুতে জাতিসংঘের সম্মেলন আয়োজন করবে। দ্রুত সময়ে শ্রমিক ইস্যু সমাধান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ড. ইউনুস ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চায়না সফরে যাচ্ছেন, উক্ত সফরে চীন প্রেসিডেন্ট, বিজনেস ডেলিকেটসসহ বিশ্বের সর্ববৃহৎ সোলার নির্মাতা লংজি বাংলাদেশে কারখানা করবে। এছাড়া প্রযুক্তিগত সহায়তা, চিকিৎসা সেবা বিষয়ে আলোচনা হবে। তারা আমাদের দেশ থেকে বিভিন্ন মৌসুমি ফল নিয়ে যাবে। সাউথ এশিয়ান অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং আমাদের বিস্তৃত সমুদ্র অঞ্চল নিয়ে যে একটা দারুন অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা সম্ভব। নেপাল এবং ভুটান আমাদেরকে জলবিদ্যুৎ দিতে আগ্রহী এতে জীবাশ্ম জ্বালানীর উপর নির্ভরতা কমবে। যা ইন্টারন্যাশ্নালী রেকগ্নাইজ হবে। দুর্নীতি রোধে হাইয়েস্ট জিরো টলারেন্স, সরকারি অফিসে ই ফাইলিং এবং যত জায়গায় সম্ভব অনলাইন সেবা চালু করা হবে। এমনকি ই সেবা দেয়ার ব্যাপারে পরামর্শ দেয়ার জন্য সরকারকে ইমেইল করার জন্য আহব্বান করা হয়েছে, যে কেউ এটার স্টেক হোল্ডার হিসেবেও কাজ করতে পারবে। টোটাল ভূমি সেবা অনলাইন করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
হাজীদের হজ্জ যাত্রা সহজ করতে রিয়েল টাইম এপ্স চালু করেছে- এপ্স এ কি কি থাকছে যেখানে যেই প্রয়োজনীয় দুয়া সেটা মনে করায় দিবে, প্রয়োজনীয় রুট নির্দেশনা, শরীর খারাপ হলে ডাক্তারের সাথে অনলাইন পরামর্শ, প্রতিটি পবিত্র স্থানের ছবি সংবলিত ইতিহাস বর্ননা করা, কল সেন্টার সাপোর্ট। স্টার লিংক চালুর মাধ্যমে ভবিষ্যতে কোন সরকার আর ইন্টারনেট কন্ট্রোল করতে পারবে না। জুলাই বিপ্লবের দাবি মোতাবেক রাস্ট্র সংস্কারে কোন পার্টি কি চায় কি চায় না সেই বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। ঢাকার পাশা পাশি চিটাগং এবং রাজশাহীতে ডিএনএ ল্যাব তৈরি করা হচ্ছে। তারুণ্যের উৎসব সারা বছর ব্যাপী করা হবে, এতে শহর থেকে গ্রামে সৃজনশীল কর্মকান্ড এগিয়ে আসবে এবং সেরাদের রেকগ্নাইজ করা হবে স্বস্ব ক্ষেত্রে। হিন্দু, মুসলিম, পাহাড়ি, সমতল সকলের নাগরিক অধিকার বজায় রাখতে হবে।
বিএনপি ক্ষমতায় আসলেই হাসিনা দেশে ফিরবে কিছু দিন পরে ভারত ও সেনাপ্রধানের চাপে হাসিনার জামিন হবে , ভারতের দালাল আওয়ামী লীগের বিচার চলমান থাকবে, আবারও রাজনীতি করার সমস্ত সুযোগ পাবে। হাসিনা ও তার লোকজন দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির করবে ফলে বিএনপির উপর জনরোষ তৈরী হবে আন্দোলন হবে বিএনপিও হাসিনার মতো পালিয়ে যেতে বাধ্য হবে অথবা নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে এবং আবারও আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসবে। এ রাজনৈতিক খেলা বন্ধ করতে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে ড. ইউনুস দেশবাসীকে আহবান জানান। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টার প্রতিবাদ ও গণহত্যার দায়ে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে শুক্রবার ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বৈসম্য বিরোধী ছাত্রদের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। আওয়ামী লীগ নামে ও তাদের প্রতীক নিয়ে কাউকে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের’ ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। সেখান থেকে ‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ মঞ্চ’ নামের একটি প্ল্যাটফর্মের ঘোষণা দেওয়া হয়।
আওয়ামীলীগ আর ভারতের দালালী করার কোন সুযোগ পাবেনা। আবারও দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে কোন ফ্যাসিবাদ এদেশে কায়েম হবে এবং বিনামূল্যে ভারতকে ককরিডোর সরবরাহ করবে, এদেশের আলেমদেরকে ফাঁসি দিবে, কাউকে গুপ্ত হত্যা করবে, আয়না ঘরে কাউকে গুম করে রাখবে সে সুযোগ কোন রাজনৈতিক দলকে দিবেনা। সেজন্য ড. মোহাম্মদ ইউনুস রাস্ট্রের সংস্কার, ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে জন্য ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করেন। সংস্কার বিচার এবং নির্বাচন কুটনীতিতে ড মোহাম্মদ ইউনুস ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একজন জাতীয়তাবাদী নেতায় পরিণত হয়েছেন। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন এবং আন্তর্জাতিক কুটনীতিতে তিনি বিশ্ববাসীকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশ বিরোধী আগ্রাসন ও ষড়যন্ত্র রুখবেন।
লেখক : গবেষক ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ।