দৈনিক ফেনীর সময়

তথ্য ও প্রযুক্তির যুগে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কি?

বাংলাদেশে মোট এমপিওভুক্ত কলেজ ৪,০০৭ টি, মাধ্যমিক ১৯,৮৪৮ টি, মাদরাসা ৯,৩৪১ টি, সর্বমোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৩৯,০৯২ টি। শিক্ষকের সংখ্যাঃ কলেজ ১,১৭,৩৩৭ জন, মাধ্যমিক ২,৪৩,৫৫৩ জন, মাদ্রাসা শিক্ষা ১,১৩,৩৬৮ জন এবং কারিগরি শিক্ষা ৩২,৩৭৮ জন। ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যাঃ কলেজ ৩৭,৬৭,৭৮৪ জন, মাধ্যমিক ৯১,৬০,৩৬৫ জন, মাদ্রাসা ২৪,৬০,৩০৫ জন, কারিগরি শিক্ষা ৮,৭৫,২৭০ জন, মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ১,৬২,৬৩,৭২৪ জন। কওমী মাদ্রাসা প্রায় ৪৫,০০০ এবং ছাত্র ছাত্রী প্রায় ২০ লক্ষাধিক। এই বিশাল শিক্ষাথীরা রাস্ট্র ও সমাজ ব্যব¯’ার কি কাজে আসছে।

২০২৩ সালের বিতরণকৃত নতুন পাঠ্যপুস্তক এবং শিক্ষা কার্যক্রমে জাতির শিক্ষা সাংস্কৃতি ধর্ম ও জাতীয়তার প্রতিফলন ঘটে নাই। জাতির পিতা বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রেসিডেন্ট জে: জিয়াউর রহমান এবং জে: এরশাদ সরকারের শাসনকালে ধর্ম জাতীয়তা ও সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে পাঠ্যপুস্তক রচনা করেছিলেন। ডিজিটাল যুগে শিক্ষা ব্যব¯’া হতে হবে ধর্ম, জাতীয়তা, কারিগরি শিক্ষা, বিভিন্ন দেশের ভাষা শিক্ষা, সামাজিক উন্নয়ন, দক্ষতা উন্নয়ন , দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, মানবিক মর্যাদা ও মূল্যবোধ জাগ্রত করার শিক্ষা ব্যবস্থা। উন্নত বিশ্বের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, ধর্ম বিজ্ঞান, কারিগরি জ্ঞানবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং ইতিহাস ঐতিহ্য ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা। ২০২৩ সাল থেকে বাংলাদেশে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে প্রাথমিক স্তরে ছেলে-মেয়েদের যৌন শিক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যৌন শিক্ষার ব্যবস্থা আছে ‘প্রজনন স্বাস্থ্য অধ্যায়’ নামের অধ্যায়ে। এ ধরনের বিভেকহীন শিক্ষাব্যবস্থা দিয়ে যৌনকর্মী তৈরি করা যাবে। দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরি করা যাবেনা। শিক্ষা ব্যব¯’ায় বখতিয়ার খিলজী, হাজী মোহাম্মদ মুহসিন, ড. মোহাম্মদ ইউনুস, নবাব সলিমুল্লাহ, নবাব সিরাজুদ্দোলা, নিসার আলী তিতুমীর, জাতীয় কবি নজরুল, কবি ফররুখ আহমদ, হাজী শরীয়ত উল্যাহ, হযরত শাহজালাল, পলাশী থেকে বাংলাদেশ এই ইতিহাসের প্রাধান্যতা নেই।

বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা ১৯৭৪ সালের কুদরত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন, ১৯৯৭ সালের শামসুল হক শিক্ষা কমিশনকে প্রাধান্য দিয়ে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। কুদরত-এ খুদা শিক্ষা কমিশনের নীতি ছিল ইসলাম ধর্ম ও ধর্মীয় শিক্ষা থাকবে না। উক্ত কমিশনের সুপারিশ ছিল মুসলমানদের নীতি নৈতিকতা শিক্ষা এবং আদর্শ বিরোধী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রনয়ণ করা। এদেশের সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমান শিক্ষার্থীদের মন-মগজ থেকে ইসলামিক চিন্তাধারাকে মুছে দেওয়া। সেখানে ধর্মনিরপেক্ষতার আড়ালে ধর্মহীন শিক্ষিত জনশক্তি সৃষ্টির কাজটা পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে শুরু করেছে।

শিক্ষা হচ্ছে মানবিক গুণাবলীর বিকাশ এবং মাথা উঁচু করে কারো কাছে হাত না পেতে নিজের কর্মে আত্মমর্যাদা নিয়ে বাঁচার দক্ষতা অর্জনের মাধ্যম। যা দুনিয়ার কল্যাণ ও আখিরাতের মুক্তির পথ দেখায় আধুনিক বিশ্বের উপযোগী শিক্ষিত জনগোষ্ঠী ছাড়া একটি দেশ ও জাতির উন্নয়ন হবেনা। আলীয়া মাদ্রাসা এবং কওমি মাদ্রাসার সিলেবাসে ইসলাম ধর্মের মৌলিক বিষয়গুলো যেমন : ১) ইসলামী অথনীতি ২) ইসলামী বিচারনীতি ৩) ইসলামী ব্যাংকিং ৪) ইসলামের ইতিহাস ৫) ইসলামী বিমা ৬) ইসলামী রাস্ট্র ব্যবস্হা ৭) ইসলামী বানিজ্যে ৭) ইসলামী বিনিয়োগ ৮) সুদ ভিত্তিক ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা ৯) ফতোয়া ১০) ইসলাম ও সংখ্যালঘু ১০) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ১১) ট্রেনিং ও ডেভেলপমেন্ট ১২) রাসুলুল্লাহ সাঃ শাসন ব্যবস্থা ১৩) খুলাফায়ে রাশেদা ১৪) রাসুলুল্লাহ সাঃ এর জীবনী ১৫) ইংরেজি আরবি ভাষার দক্ষতা ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্বসহকারে পড়ানো হয়ে থাকে কি? হাজার হাজার মাদ্রাসা আছে কিন্তু মাদ্রাসায় পড়ে দেশ ও জাতির উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে এমন শিক্ষিত শ্রেণী মাদ্রাসা থেকে বের হচ্ছে কি? মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে তারা মিশরের আল আজাহার বিশ্ববিদ্যালয় এবং মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যাজুয়েটদের সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারে কি? বিভিন্ন ইসলামী ব্যাংক এবং বিমা কোম্পানিগুলো শরীয়া বোর্ড আছে। মাদ্রাসা শিক্ষিত শ্রেণী থেকে ইসলামী ব্যাংক এবং বীমার উপযোগী জনশক্তি তৈরি করলে ইসলামী ব্যাংক এবং বিমা কোম্পানিগুলোর শিক্ষিত জনশক্তির চাহিদা মাদ্রাসাগুলো পুরণ করতো।

আপনি অনলাইন একটিভিটিস পর্যবেক্ষণ করে দেখবেন, অনেক মাওলানা ও মুফতি ওয়াজ মাহফিলের নামে পরমত অসুহিষ্ণু। একে অপরকে গালিগালাজ করে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজনকারীদের ইসলাম শিখার উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়েছে, ইসলাম প্রদত্ত নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিদ্বেষী। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মাওলানা মুফতি আল্লামা মুহাদ্দিসদের আলোচনায় কোন গঠনমূলক যুক্তি তর্ক নাই, কুরআন হাদিসের সঠিক উদ্ধৃতি বা রেফারেন্স নাই, আছে ইসলামের ভিন্নমতকে খারিজ করার নামে কিচ্ছাকাহিনী এবং গালিগালাজের এক উন্মাদ চেতনা। মাহফিলের আয়োজনকারীদের থেকে টাকার পরিমান দেখে সিডিউল করে। টাকার বিনিময়ে বেহেশতের সাটিফিকেট প্রদান এবং বেহেশতে যাওয়ার সহজপথ বাতলিয়ে থাকে। যার সাথে নবী রাসুলুল্লাহ সাঃ এর জীবন ও শাসনের এবং খোলাফায়ে রাশেদার, সাহাবিদের জীবনের কোন মিল নেই। ওয়াজ মাহফিলের টাকায় অনেক আল্লামা মুহাদ্দিস কোটি টাকার মালিক, গাড়ি-বাড়ির মালিক। মাদ্রাসা শিক্ষিত শ্রেণীর মাওলানা মুফতি আল্লামা মুহাদ্দিস দেশের নাগরিক হিসেবে সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে তাদের অবদান খুবই কম।

১৮৫৩ সালের লর্ড ম্যাকেল প্রবর্তিত শিক্ষা নীতির বিরোধিতা করতে যেয়ে ইংরেজি ভাষা শিক্ষা, সমাজ বিজ্ঞান ও আধুনিক বিজ্ঞানকে হারাম ঘোষণা দিয়ে গত দেড়শত বছর উপমহাদেশের মানুষকে ইসলামের ধর্মীয় নীতির পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, আধুনিক বিশ্বের উপযোগী ইসলামের ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করতে পারে নাই। আধুনিক বিশ্বের উপযোগী ব্যবহারিক কর্ম শেখে না এবং শেখায়ও না। মাদ্রাসা শিক্ষিত শ্রেণী তৈরির নামে ৫০,০০০ হাজারের অধিক মাদ্রাসা আছে কিন্তু কোন ধরনের প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার নীতিমালা, উন্নত সিলেবাস এবং মনিটরিং এর ব্যবস্থা নেই। ইয়াতিম লালন পালনের নামে শিশুদের দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তির কৌশল ভালোভাবে রপ্ত করে ইসলামের ধর্মীয় নীতিকে খাটো করা হয়েছে। ইসলাম পরিপূর্ণ দ্বীন বা জীবন ব্যব¯’া সেই ধারণা অনেক শিক্ষকের নেই। প্রায় ২০ লক্ষ শিক্ষার্থী মাদ্রাসায় পড়ে, তাদের ভবিষ্যৎ কি? আমরা একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছি, শিশু শ্রেণী থেকে ৩য় শ্রেণির বই সিলেকশনের জন্য নুরানি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং বেফাকুল মোদারেসিন বাংলাদেশের বই এবং সিলেবাস দেখে হতাশ হয়েছি। আমরা সালসাবিল প্রকাশনীকে আধুনিক বিশ্বের উপযোগী হিসেবে পেয়েছি।

শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ইন্টারভিউ নিয়ে হতাশ হয়েছি, নামাজের ভুল সংশোধন, তাজবিদ, তেলাওয়াত, হাদিসের রেফারেন্স, হাদিসে কুদসী, ৫ থেকে ১০ টি সহীহ হাদিস বলতে পারা ইত্যাদি কোন ধরনের জ্ঞানের বিকাশ নেই। মুহাদ্দিস ও হাফেজ কোন ধরনের সাটিফিকেট নেই। যাদের সাটিফিকেট আছে লেখাপড়ার মান নেই। ৪০,০০০ কওমী মাদ্রাসার সিলেবাসের কোন মনিটরিং নেই। তাহলে কওমী মাদ্রাসা বোর্ড এর কাজ কি? দাওরাকে এম.এ সাটিফিকেট এর মান দেওয়া হয়েছে। তাদের সিলেবাস প্রণয়ন লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের থিওলজী অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের সুযোগ্য অধ্যাপকদের নিয়ে কোন বোর্ড নেই। মুফতি আল্লামা মুহাদ্দিস ইত্যাদি সাটিফিকেট দেওয়ার জন্য প্রফেশনাল বোর্ড অনুমোদন বাধ্যতামূলক করতে হবে।

প্রায় ২০ লক্ষ মাদ্রাসা শিক্ষিত শ্রেণী থেকে কুরআন ও হাদিসের আলোকে মানবিক ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, মুফতি মাওলানা আল্লামা আইনজীবি, ব্যাংকার পেশাজীবী তৈরি করার উপযোগী সিলেবাস প্রণয়ন করতে হবে। সমাজ বিজ্ঞান ও আধুনিক বিজ্ঞানে কুরআনের আয়াত ভরপুর। মানব সভ্যতার কল্যাণে এই দীর্ঘমেয়াদি শিক্ষা ব্যবস্থার কোন উদ্ভাবন আবিষ্কার নাই, জ্ঞান গবেষণা নাই, কুরআনের অসংখ্য আয়াত পাওয়া যায় জ্ঞান গবেষণা আর বিজ্ঞান চর্চার তাগিদ দিয়ে। দুনিয়াতে জীবনধারণের জন্য কোন কর্মমুখী শিক্ষা নাই। অথচ নবী দাউদ একজন আয়রন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। নবী আদম একজন কৃষিবিদ ছিলেন। ইমাম কুদূরী একজন ক্রোকারিজ ব্যবসায়ী ছিলেন। ইমাম গাযালী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। আল্লামা ইবনে সিনা একজন চিকিৎসা বিজ্ঞানী ছিলেন ইত্যাদি শত শত বিজ্ঞানী, বিজ্ঞানের বই মুসলমানদের রচনায় সারা দুনিয়ায় পড়াচ্ছে।

মাদ্রাসায় পাশ করে হুজুরদের পরিচয় শুধুই হুজুর, ধর্ম ব্যবসায়ী বা ওয়াজেন হবার জন্য মাদ্রাসা। শুধুমাত্র আল্লামা মুহাদ্দিস মাওলানা মুফতি ইত্যাদি পেশাগত পরিচয়, তাদের থেকে আইনজীবী, শিক্ষাবিদ, বিসিএস ক্যাডার, ব্যাংকের কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার তৈরি হলে দেশে ঘুষখোর সুদখোর দুনীতিবাজ লুটপাটকারী বেগম পাড়ার মালিক খুঁজে পাওয়া যেতো না। খ্রিষ্ট ধর্মের মত ধর্মের জ্ঞানকে পুঁজি করে এরা পুরোহিততন্ত্রকে পেশা হিসেবে আত্মস্ত করেছে অনেক মাদ্রাসা শিক্ষিত মোল্লা শ্রেণি। মাদ্রাসা শিক্ষার সংস্কার এবং সমালোচনা করে মিশরের আল আজাহার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপযোগী করতে হবে। মাদ্রাসা শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক সংস্কার সাধন করে ইসলামের ধর্মীয় নীতিরীতি এবং আধুনিক বিশ্বের উপযোগী করে ঢেলে সাজাতে হবে। বুজুর্গব্যক্তির রেফারেন্স টেনে সঠিকভাবে ইসলামের ধর্মীয় নীতি কুরআন হাদিসের উদ্ধৃতিছাড়া কোন ধরনের বক্তৃতা দেওয়া যাবেনা। শিরক ও কুফরে বিশ্বাসী এমন মাদ্রাসা সংস্কারের বিষয়টিকে প্রধান্য দিতে হবে। মাদ্রাসা শিক্ষিত শ্রেণীর হাফেজ মাওলানা মুফতি আল্লামা মুহাদ্দিস ইত্যাদি সাটিফিকেটধারী দেখে মসজিদের খতিব ইমাম এবং মুয়াজ্জিন নিয়োগ দেওয়া এবং বেতনস্কেল অনুমোদন বাধ্যতামূলক করা। খোতবার সিলেবাস কুরআন হাদিসের উদ্ধৃতি তুলে বয়ান করা বাধ্যতামূলক করা। মাদ্রাসা শিক্ষকদের যোগ্যতা ও দক্ষতা অর্জনের জন্য বেসরকারি মাদ্রাসা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলতে হবে। সাটিফিকেট দেওয়ার ক্ষেত্রে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা জুরি বোর্ড অনুমোদিত হতে হবে। ওয়াজ মাহফিলের হাদিয়ার জন্য ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
যেখানে ৫,০০০ থেকে ৭,০০০ ছাত্র ছাত্রী যে মাদ্রাসায় আছে সেখানে চিকিৎসা, ইঞ্জিনিয়ারিং, কারিগরি, আইন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ থাকতে হবে। মিশরের আল আজাহার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপযোগী করে সিলেবাস প্রণয়ন এবং ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র খুলতে হবে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ন্যায় মাদ্রাসাগুলো অনুমোদন গ্রহণ, সিলিবাস প্রনয়নে ইসলামী শিক্ষাবিদ, দেশি-বিদেশি মুফতি আল্লামা মুহাদ্দিস শিক্ষাবিদ প্রফেসর নিয়ে যুগোপযোগী সিলেবাস প্রণয়ন করতে হবে। স্কুল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এমপিও এবং মাদ্রাসার অবকাঠামো এ বিল্ডিং নিমার্ণের জন্য বাজেট বরাদ্ধ করতে হবে। মাদ্রাসার বিশ লক্ষ শিক্ষার্থী মিশরের আল আজাহার ইউনিভার্সিটি এবং মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যাজুয়েটদের থেকে অধিক যোগ্যতার অধিকারী হিসেবে যোগ্যতার পরিচয় দিতে পারলে ৫০টি মুসলিম দেশ থেকে বাংলাদেশে পড়তে আসবে। আন্তর্জাতিক বিশ্বে মাদ্রাসাগুলো দেশের সুনাম অর্জন করতে এগিয়ে যাবে।

লেখক : গবেষক ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!