নিজস্ব প্রতিনিধি :
দাগনভূঞা পৌর শহরের হাসপাতাল রোডের বহুতল ভবন ভূঞা ম্যানশন দখলের চেষ্টাকালে নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যাওয়া গৃহকর্তা আবদুল গফুর ভূঞার লাশ উত্তোলনের জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে। দাগনভূঞা থানার ওসি (তদন্ত) রাসেল মিয়া মঙ্গলবার মামলার তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পরই আদালতে আবেদন করেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী আলোচিত এ মামলার পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন বলে থানার নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে আদালতের আদেশ থানায় পৌঁছার পর মঙ্গলবার মামলাটি রেকর্ড হয়। একইদিন তদন্তের দায়িত্ব পেলেও বুধবার ওসি (তদন্ত) রাসেল মিয়া ছাগলনাইয়া উপজেলা ভোটের দায়িত্বে থাকায় মামলার অগ্রগতি জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বুধবার হাসপাতাল রোডের ৫ তলা ভবন দখল করতে নারকীয় তান্ডব চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এসময় ক্যান্সার আক্রান্ত আবদুল গফুর ভূঞা হামলার শিকার হন। এরপর থেকে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শনিবার ভোরে ঢাকায় নেয়ার সময় পথিমধ্যে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় গফুর ভূঞার ছেলে রিয়াদ হোসেন রাজু বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জয়নাল আবদীন মামুনকে প্রধান আসামী করা হয়েছে। আসামীদের মধ্যে আমান উল্যাহপুর এলাকার নির্মল সাহার ছেলে দহন সাহা, রুহিনী সাহার ছেলে নির্মল সাহা ও চয়ন সাহা, জগতপুর এলাকার আবদুল ওহাবের ছেলে আইয়ুব আলী, কালা মিয়ার ছেলে ছেরাজুল হক প্রকাশ হক সাব ও ইকবালের নাম উল্লেখ করা হয়।