নিজস্ব প্রতিনিধি :
পরশুরাম উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারকে মারধর করে সিগারেটের ছ্যাকা দিয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল। গতকাল বুধবার রাতে জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে এক সভায় দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ধরেন উপজেলা সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার।
সভায় কামাল মজুমদার বলেন, “পরশুরামে খুবই দুরাবস্থা। মেম্বার-চেয়ারম্যান কারো কাছে নিরাপদ না। কিছুদিন আগে একজন নির্বাচিত মেম্বার যিনি দলের অপরাপর নেতাদের সাথে প্রতিদ্বন্ধীতা করে মেম্বার হয়েছেন। দিনদুপুরে তাকে বোর্ড অফিসে স্থানীয় চেয়ারম্যান আবদুল গফুর ভূঞার উপস্থিতিতে নির্দয়-নির্মমভাবে মেরেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজেল চৌধুরী। মারধর করে তার শরীরে সিগারেটের ছ্যাকা দেয়া হয়েছে। এতেও ক্ষ্যান্ত না হয়ে তাকে সিএনজিতে উঠিয়ে বুকের উপর পা দিয়ে টর্চারসেলে নিয়ে যাওয়া হয়। শুধু তাই নয়, কিছুদিন আগে ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক জমির উদ্দিন ভাবনকে বেদম মারধর করা হয়।”
নির্যাতনের শিকার গোলাম কিবরিয়া মাছুম উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বলে জানা গেছে।
দলীয় একটি সূত্র জানায়, অজ্ঞাত কারণেই ক্ষিপ্ত হয়ে সাজেল চৌধুরী বক্সমাহমুদ ইউপি ভবনে ছুটে যান। এসময় তিনি লুঙ্গি পরা ছিলেন। ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে মাছুমকে সেখানে ডেকে নেন। তবে কেউ এ ব্যাপারে ভয়ে মুখ খুলেনি। নির্যাতনের শিকার মাছুম ঘটনার পর তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে প্রোফাইল পিকচার কালো পতাকায় ডেকে দেন। এতে অনেকে কারণ জানতে চান, আবার ঘটনার উল্লেখ না করেই দু:খ প্রকাশ করেন ও সমবেদনা জানান। অনেকে আবার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সময় কথা বলবে- ধৈর্য্য ধরুন’।
গতকাল বুধবার জেলা আওয়ামীলীগের সভায় কামাল মজুমদার এ ঘটনার বর্ণনা দিলে দলের নেতারা হতবাক হয়ে যান। সভা সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টি দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি মনোযোগ সহকারে শুনেছেন এবং তদন্তপূর্বক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ওই সূত্র জানায়।
এ ব্যাপারে গতকাল রাতে সাজেল চৌধুরীর বক্তব্য ফেনীর সময় এর একাধিক মোবাইল ফোন নাম্বার থেকে বারবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। এসময় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।