সদর প্রতিনিধি :
ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া বাজারে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ববিরোধের জের ধরে শুক্রবার রাতে যুবলীগের দুই গ্রæপের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের ২ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় বাজারের ব্যবসায়ী সহ জনসাধারণের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন ডালিমের সঙ্গে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জেলা যুবলীগের সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ মুন্না ও স্থানীয় সরোয়ার হোসেন রতনের বিরোধ দীর্ঘদিনের। এর জেরে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে পাঁচগাছিয়া বাজারে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-আইন সম্পাদক রুবেল মিয়াজীর মালিকীয় মিয়াজী এন্টারপ্রাইজে বসা ছিলেন ডালিমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত হায়দার হোসেন পিংকু। এসময় ৩০-৩৫ জন যুবক এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে পিংকুকে মাথায় আঘাত করা হয়। তার চিৎকারে পাশ্ববর্তী অফিস কক্ষে থাকা ডালিম সহ আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে হামলাকারীরা উপর আক্রমণ করে। এতে জাবেদ উল্লাহ নামে একজন গুরুতর আহত হয়। আহত পিংকু ও জাবেদকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পিংকু পাঁচগাছিয়া বাজার এলাকা ও জাবেদ বিরলী এলাকার বাসিন্দা।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে আহত অবস্থায় দুইজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাবেদকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অপর আহত পিংকু প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যায়।
ফেমী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবলীগের দুই গ্রæপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এতে যুবলীগের দুইজন আহত হয়েছেন। তবে এ ঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন ডালিম জানান, তিনি ব্যক্তিগত কার্যালয়ে জায়গাজমি সংক্রান্ত সালিশি বৈঠকে ছিলেন। শোরগোল শুনে বেরিয়ে এলে মিয়াজী এন্টার প্রাইজে হামলা হচ্ছে দেখে এগিয়ে যান। স্থানীয়রা হামলাকারী একজনকে ধরে পিটুনি দেয়।
জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আহমেদ রিয়াদ আজিজ রাজীব জানান, শুনেছি মিয়াজী এন্টারপ্রাইজে বিকাশে ২০ হাজার টাকা ক্যাশ আউটের সময় ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে দূর্বত্তরা। পাশে থাকা পিংকু বাধা দিতে চাইলে তাকে কুপিয়ে আহত করা হয়।
এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে পিংকুর উপর দ্বিতীয় দফায় হামলা চালায় প্রতিপক্ষরা। এসময় তারা প্রতিপক্ষের লোকজনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে গাড়ী নিয়ে পালিয়ে যায় বলে স্বজনরা জানান।