অনলাইন ডেস্কঃ
১৯৪৮ সালে ইহুদিরা ফিলিস্তিনে নতুন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে, ইসরায়েল। তা মেনে নেয়নি ফিলিস্তিনিরা। ঘটনার জেরে শুরু হয় যুদ্ধ, যা চলছে এখনো। ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড দখল করা ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি বিশ্বের অনেক দেশ। একই পথ অনুসরণ করেছে, কাতার বিশ্বকাপের টিকিট বুকিং এবং হসপিটালিটি প্যাকেজের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ‘উইন্টারহিল হসপিটালিটি’। টিকিট ক্রয়ের অনলাইন স্টোরে রাখা হয়নি ইসরায়েলের নাম। তাদের উল্লেখ করা হয়েছে ‘অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চল’ হিসেবে। খবরটি নিশ্চিত করেছে স্প্যানিশ দৈনিক মার্কা।
নভেম্বরে কাতারে পর্দা উঠবে ফুটবল বিশ্বকাপের। মহাযজ্ঞের সাক্ষী হতে ফুটবলপ্রেমীরা টিকিট সংগ্রহে ব্যস্ত। উইন্টারহিল হসপিটালিটির কারণে কোনো ইসরায়েলি সমর্থক নিজের দেশের পরিচয়ে খেলা দেখার সুযোগ পাচ্ছে না।
বিশ্বকাপে যেতে ইচ্ছুক ইসরায়েলি ফুটবলভক্তরা সম্প্রতি খেয়াল করেছেন, অনলাইন স্টোরে তাদের দেশের নাম নেই। অর্থাৎ, ইসরায়েলের ফুটবলভক্তদের যদি দোহায় ভ্রমণ করতে হয়, তবে তাদের দেশ হিসেবে ফিলিস্তিন অঞ্চল বাছাই করতে হবে। নাহলে টিকিট কাটাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন না তারা।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনার মুখে পড়েছে ফিফা। বুধবার প্রথম ইসরায়েলি গণমাধ্যম এই বিষয়টি নিয়ে খবর প্রকাশ করে। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ইসরায়েলিরা। তবে ফিফা কিংবা ইসরায়েল এ ব্যাপারে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। ইউরোপিয়ান গণমাধ্যমগুলোতে গুঞ্জন ছড়িয়েছে, নাগরিকদের জন্য কাতার বিশ্বকাপ দেখতে যাওয়া নিষিদ্ধ করতে পারে ইসরায়েল সরকার।
তবে আরবসহ মুসলিম বিশ্বের ফুটবল ভক্তরা এই ঘটনার প্রশংসা করছেন। তারা এটাকে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসনের নীরব প্রতিবাদ হিসেবে দেখছেন। ফিফা এবং কাতার সরকারকেও প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন তারা।