নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনী সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বুধবার দুপুরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ইনস্টিটিউট প্রশাসন। কমিটিকে আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের চীফ ইনস্ট্রাক্টর জয়নাল আবদীনকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত নিরাপত্তা কর্মকর্তা রফিক আহমদ ওই কমিটির সদস্য সচিব। কমিটিতে পাওয়ার বিভাগের চীফ ইনস্ট্রাক্টর ও বিভাগীয় প্রধান চন্দন কান্তি দে, সিভিল বিভাগের চীফ ইনস্ট্রাক্টর ও বিভাগীয় প্রধান আমিনুল ইসলাম ভূঞা, এআইডিটি বিভাগের চীফ ইনস্ট্রাক্টর ও বিভাগীয় প্রধান ইখলাস উদ্দিন, মেকানিক্যাল বিভাগের চীফ ইনস্ট্রাক্টর ও বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান, কম্পিউটার বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শাহআলম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি জিএম জিএম তাজ উদ্দিন ও কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামালকে সদস্য করা হয়েছে।
ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী প্রদীপ্ত খিসা জানান, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত; মঙ্গলবার সিভিল ২য় পর্বের আরমান নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে সহপাঠি নোবেল মজুমদারকে বড় ভাই সম্বোধন করতে বাধ্য করে ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক রুহতাপ। এটাতে অস্বীকৃতি জানালে আরমানকে চড়-থাপ্পড দেয়। বিষয়টি জেনে পরদিন বুধবার দুপুরে শহীদ শাহাব উদ্দিন ছাত্রাবাসের সামনে পুকুর পাড়ে ছাত্রলীগের দুই নেতাকর্মীর কথাকাটাকাটি হয়। দুইজনের পক্ষ নেন ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগ সভাপতি মিশু ও সহ-সভাপতি শুভ। এসময় তারাও বিবাদে জড়িয়ে পড়লে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে মিশু ও শুভর সমর্থকরা জড়ো হলে মারামারি শুরু হয়। এতে মিশু ও শুভ ছাড়াও ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও আর্কিটেকচার ২য় পর্বের রেদওয়ান আহমেদ (১৯), মেকানিক্যাল ৮ম পর্বের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন (২৩), ৪র্থ পর্বের তন্ময় মজুমদার (২০), ৬ষ্ঠ পর্বের আনোয়ারুল আজিম আরাফাত (২০), সিভিল ৬ষ্ঠ পর্বের স্বপন (২২) ও সজিব (১৯) আহত হয়। খবর পেয়ে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তোফায়েল আহম্মদ তপু ও সাধারণ সম্পাদক নুর করিম জাবেদ ঘটনাস্থলে ছুটে যান। আহতদের ফেনী জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। অপর আহত ছাত্রলীগ সভাপতি মিশু শহরের মেডিল্যাব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।