দৈনিক ফেনীর সময়

ফেনী সেন্ট্রাল হাই স্কুলেভর্তি নিয়ে হুলস্থল কান্ড


অনলাইন ডেস্ক:

ফেনী সেন্ট্রাল হাই স্কুলে নতুন বছরে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর আগেই অভিভাবকদের মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ৩৩০টি আসনের বিপরীতে সম্ভাব্য খালি থাকা আসনে কারা ভর্তি হবে এনিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার একাধিক অভিভাবক ও ছাত্র প্রতিনিধিরা জড়ো হয়ে ভর্তি বানিজ্যের অভিযোগও তুলেছেন।
তানভীর আহমেদ ফেনী সরকারী পাইলট প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এবার ৫ম শ্রেণির পরীক্ষা দিয়েছে। ফেনী সেন্ট্রাল হাই স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদন করে। ১৭ ডিসেম্বর প্রথম মেরিট লিস্টে ৮ম স্থানে নাম আসে তার। ছেলেকে ভর্তি করানোর জন্য বিদ্যালয়ের দেয়া তারিখ ২৪ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ে গিয়ে সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকে তানভীরের মাতা মমতাজ বেগম। কিন্তু বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোন সাড়া না দেয়া হলে অভিযোগ জিজ্ঞেস করলে বলা হয় আসন পূরণ হয়ে গেছে। একই শ্রেণির ভর্তির প্রথম মেরিট লিস্টে ৫২তম আসা তাসনিয়া শাহরিন লামিছার মাতা সুলতানা আক্তার লিমা, ১৫তম আসা রাওসান তাবাসসুমের মাতা জেবুন নাহার ও ২৪ তম আসা উম্মে হাফসার মাতা রুবিনা আক্তারের।


রাওসান তাবাসসুমের মা জেবুন নাহার বলেন, “তার মেয়ে মেরিট লিস্টে ১৫তম। ২৪ তারিখ সকাল ১০টায় বিদ্যালয়ে এসে ২টা পর্যন্ত সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমাদের ডাকা হয়নি। ভর্তি নেয়া নাকি শেষ। আর নেওয়া হবে না বলছিল।”
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অভিভাবকরা জড়োহয়ে বিদ্যালয়ের ফটকে অবস্থান নিলে পুলিশের অনুরোধে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে চলে যান।
ঘটনার তদন্ত করতে ওইদিন সন্ধ্যায় বিদ্যালয়ে যান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মনজুর আহসান। তিনি জানান, সকল কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখেছেন। এখনো ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়নি।


একই কথা বললেন সিনিয়র শিক্ষক তাজুল ইসলামও। তার ভাষ্যমতে, ২৮ ডিসেম্বর শনিবার থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে। এখানে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ১৬৫ জন ছাত্র ও ১৬৫ জন ছাত্রীর নাম মেরিট লিস্টে রয়েছে। তাদের ভর্তি কার্যক্রম শেষের পর আসন খালি থাকলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!