নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেছেন, “সংস্কৃতি জীবনের অংশ। শুধু লেখপড়ায় একঘেঁয়েমি চলে আসে। তাই সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা জরুরী। তাহলে সুস্থ মানসিকতার বিকাশ ঘটে। বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব গিয়ে আন্তর্জতিক প্রতিযোগিতায় স্বীকৃতি পেয়েছে। সংস্কৃতির চর্চা ধরে রাখতে হবে। লেখাপড়ার পাশাপাশি সংস্কৃতির চর্চা করলে জীবন পূর্ণ হবে। এখান থেকে জেলা, বিভাগীয় এমনকি জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কৃত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। একপর্যায়ে আন্তর্জাতিকভাবে নিজের অবস্থান করে নিতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, আগে একসময় বিদ্যুত ছিলো না। আধাঘন্টা রেডিওতে গান শুনতাম, ঘুরতাম। ডিজিটাল যুগে হামদ-নাত, ক্বেরাত, আজান প্রতিযোগিতা হচ্ছে। আগে এমন আয়োজন হতো না। সবার মধ্যে সুপ্ত প্রতিভা থাকে। চর্চার মাধ্যমে সেটি বিকশিত করার আহবান জানান তিনি।
সোমবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে জেলা পর্যায়ে ইসলামিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। শহরের রাজাঝির দীঘির পাড়ে মিলনায়তনে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ১৪৪৪ হিজরী উদযাপন উপলক্ষ্যে এ আয়োজন করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। সভাপতিত্ব করেন করেন ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো: ইউসুফ আলী। সদর উপজেলা ফিল্ড সুপারভাইজার শাহ পরানের সঞ্চালনায় অতিথি ছিলেন সহকারি পরিচালক নুরুল আবছার।
ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো: ইউসুফ আলী বলেছেন, “পড়াশোনা করলে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে থাকবোনা, তাহলে জ্ঞানের অর্ধেক অর্জন হবে। লেখাপড়া শিখতে হবে, কালচারাল অঙ্গনে পদচারনা থাকতে হবে। তবে জ্ঞানের পরিপূর্ণতা আসবে। প্র্যাকটিস করলে তোমরা একদিন ভালো বক্তৃতা করতে পারবে। বঙ্গবন্ধু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৮ মিনিট বক্তব্য রেখেছিলেন। পৃথিবীর অত্যাধুনিক অস্ত্র পারেনি, তার মুখ মিশ্রিত বানী দিয়ে করেছেন। সেজন্য কালচারাল অনুষ্ঠানের বিকল্প নেই।” এসব অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে ভালো একজন ক্বারী, শিল্পী, ওয়ায়েজীন হওয়ার প্রত্যাশা করেন তিনি।
শেষে আজান, ক্বিরাত, হামদ-নাত/ গজল, রাসুল (সা:) এর শানে নিবেদিত কবিতা আবৃত্তি ও মহানবী (সা:) এর জীবনী বিষয়ে রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ছাত্র-ছাত্রীকে পুরস্কার বিতরণ করেন পুলিশ সুপার সহ অতিথিবৃন্দ।