নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনীতে কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকে নগদ টাকা সংকটে গ্রাহক ভোগান্তি পড়েছে। অনেকে দিনের পর দিন ধরনা দিয়েও কাঙ্খিত টাকা তুলতে পারছে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকার পতনের পর এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ১০টি ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকতাদের সরিয়ে নতুন কর্মকতা নিয়োগ দেয়া হয়। এর ফলে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক, এনআরবি গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক সহ বেশ কয়েকটি ব্যাংক থেকে টাকা সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন স্থানের মত বন্যা কবলিত জেলায় এসব ব্যাংকের শাখাসমূহে গ্রাহকরা জরুরি প্রয়োজনে টাকা তুলতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ছেন।
ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ফেনী শাখার গ্রাহক মো: জহিরুল ইসলাম ওমরা পালন করতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার ২০ হাজার টাকা তুলতে গেলে ক্যাশ কাউন্টার থেকে জানানো হয় টাকা দেয়া সম্ভব নয়।
জয়নাল আবেদীন নামে এক গ্রাহক জানান, বন্যায় তার ঘরের সকল আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে যায়। ঘরের জন্য মালামাল কিনতে নিজের একাউন্ট থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলতে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ফেনী শাখায় যান। এখানে কর্তব্যরত কর্মকর্তা জানান, এখন এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। তাকে পাঠানো হয় সহকারী এক কর্মকতার কাছে। তার টেবিলে এসে ওই গ্রাহক দীর্ঘ ১ ঘন্টা বসার পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার দেখা পাননি। পরে ম্যানেজারের রুমে গিয়ে তাকেও পাননি।
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ফেনী শাখায় গিয়ে দেখা গেছে, খালেদা আক্তার নামে এক গ্রাহক তার একাউন্ট থেকে টাকা তুলতে জহিরিয়া মসজিদের পাশের শাখায় যান। কাউন্টার থেকে জানানো হয় আজ টাকা দেয়া যাবে না। ব্যাংক কর্মকর্তার কাছে টাকা দিতে না পারার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তাকে অনেকক্ষন অপেক্ষার পর আগামী ১০ দিনের মধ্যে ব্যাংকের নগদ টাকা সংকট সামাধান হবে বলে আশ^স্ত করেন।
একই অবস্থা ইউনিয়ন ব্যাংকেও। এ ব্যাংকে কোন গ্রাহক ১ লাখ টাকার চেক দিলে গ্রাহককে ১০ হাজার টাকা দিয়ে পরের সপ্তাহে যেতে বলেন। এভাবে প্রতিদিন হাজার হাজার গ্রাহক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
অপরদিকে বন্যায় ফেনী শহরের বিভিন্ন ব্যাংকের বুথে পানি ঢুকে পড়ায় বেশিরভাগ ব্যাংকের বুথ এখনো বন্ধ রয়েছে। এতে গ্রাহকরা জরুরী প্রয়োজনেও টাকা পাচ্ছেন না।