নিজস্ব প্রতিনিধি :
টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে গভীর রাতে ঘুমন্ত মুসল্লীদের উপর সাদপন্থী সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদ ও বিচার দাবী জানিয়েছে ফেনীর।সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ ও তাওহিদী জনতা। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা। এর আগে জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এখানে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের জেলা সাধারন সম্পাদল মাওলানা ওমর ফারুক, শূরা-ই নেজাম তাবলীগের মুরুব্বী প্রফেসর আলাউদ্দিন, খন্দকার বেলাল হোসেন, আবদুল মান্নান।
বক্তারা বলেন, ইমানদারদের শরীরে রক্ত থাকতে বাতিলকে স্থান দেয়া হবেনা। তাবলীগ জামাতের সংকট বাংলাদেশ থেকে নয়, ভারতের দেওবন্দ থেকে এ সংকট তৈরি হয়েছে। বিভ্রান্তিকর ফতোয়ার কারনে ওলামায়ে কেরাম নিজাম উদ্দিন মারকাজকে বয়কট করছেন। সাদপন্থীরা বাংলাদেশে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হামলা করেছে। আওয়ামীলীগ আনসার, পল্লী বিদ্যুত, ইসকনের পর সাদপন্থী হয়ে ফিরে আসার ষড়যন্ত্র করছে।
মাওলানা ওমর ফারুক বলেন, পরাজিত শক্তি ফ্যাসিষ্ট সরকার জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে বসে ইউনুস সাহেবের সরকারকে অকার্যকর করতে ষড়যন্ত্র করেছে। মুসলিম জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে। সাদীয়ানিরা ভ্রান্ত পথে পা দিয়েছে। বিবদমান পরিস্থিতি নিরসনে সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। তাদের সিদ্ধান্ত অমান্য করে রাত ৪টার দিকে সশ্রস্ত্র হামলা চালিয়ে ছাত্র সহ ঘুমন্ত মুসল্লীদের হত্যা করেছে। ভারতের পরিকল্পিত এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য সাদপন্থীরা কাজ করছেন। এক্ষেত্রে ডেইলি স্টার, প্রথম আলো ও ভারতের র’ ভূমিকা রেখেছেন। সাদপন্থীদের তাবলীগের ভূয়া দালাল। তাদের আজীবনের জন্য টঙ্গী ইজতেমা ময়দান ও কাকরাইল মসজিদে নিষিদ্ধ করার দাবী জানান তিনি।