নিজস্ব প্রতিনিধি :
ঢাকঢোলের বাদ্য। শিশু থেকে প্রৌঢ়, নানা বয়সের মানুষ। কারও মাথায় পয়লা বৈশাখ লেখা প্লে কার্ড, কারও মাথায় ফুলের মালা। রবিবার ফেনী শহরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে বঙ্গাব্দ ১৪৩১-কে বরণ করে নেয়া হয়। ফেনী সরকারি কলেজ আঙ্গিনা থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পিটিআই মাঠে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বাঙালিয়ানার সাজে বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রী, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন। এখানে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৫ দিন ব্যাপী লোকজ মেলা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় সংগীত ও এসো হে বৈশাখ গান পরিবেশনের মধ্যদিয়ে বর্ষবরণের কার্যক্রম শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মুছাম্মাৎ শাহীনা আক্তার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ বাতেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার জাকির হাসান, ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী।
জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা এসএমটি কামরান হাসানের সঞ্চালনায় আরো অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী নাহিদা আক্তার তানিয়া, ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ মোক্তার হোসেইন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট শফিকুর রিদোয়ান আরমান শাকিল, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাসুদুর রহমান, জিপি প্রিয়রঞ্জন দত্ত প্রমুখ।
শেষে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ কারীদের মধ্যে যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী পূবালী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, আর্য সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, রবীন্দ্র সাংস্কৃতি কেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী ফেনী সরকারী কলেজ, ফেনী ল্যাবরেটরী হাই স্কুল, ফেনী সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়কে পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেছেন, “নতুন সূর্য উঠেছে, নতুন দিন- নতুন স্বপ্ন নিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো। পৃথিবীর বুকে বিরল, বাংলাদেশের সংস্কৃতির অংশ শোভাযাত্রা। বাঙালিয়ানার ঐতিহ্য ফুটে উঠেছে। নতুন নতুন সাজে নিপুনভাবে অনেকে অংশ নিয়েছে। লোকজ মেলার মধ্য দিয়ে ফেনীকে সারাদেশ তথা বিশ্ব চিনবে।”
আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত চলমান এ লোকজ মেলায় ২৬টি স্টল অংশ নেয়। বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে ফেনী শহরের রাজাঝির দীঘির পাড়ের শিশু পার্কের বিনা টিকিটে সকলের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। এছাড়া হাসপাতাল, কারাগার ও সরকারি শিশু পরিবারে উন্নত মানের ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশন করা হয়।
অপরদিকে ফেনী সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।