শহর প্রতিনিধি :
বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় ফেনী শহরের দশমী ঘাটে রবিবার বিকালে বিসর্জন দেয়া হয়েছে দেবী দুর্গার প্রতিমা। এর মধ্য দিয়ে শেষ হলো সনাতনী হিন্দুসম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তায় কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ফেনীতে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন হয়েছে।
মহাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী, মহানবমীর সকল আনুষ্ঠানিকতা ও পূজা অর্চনার পর গতকাল পালিত হয়েছে বিজয়া দশমীর সকল আনুষ্ঠানিকতা। ৫ দিনের বাঁধভাঙ্গা আনন্দের পর ভক্তরা গতকাল বিজয়া দশমীর দিনে ছিলেন অশ্রুসিক্ত। প্রতিবারের মতো হিন্দু সম্প্রদায়ের হাজার হাজার নারী-পুরুষ ধর্মীয় নানা আচার-অনুষ্ঠান পালন করেছেন।
বিসর্জনের মাধ্যমে পুজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে শহরের মন্ডপগুলো থেকে দুপুরের পর থেকে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য মন্ডপগুলো থেকে প্রতিমা নিয়ে আসা হয় শহরের কালিপাল দশমী ঘাটে। এসময় ঢাক, ঢোল, কাঁসর আর ভক্তদের উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে। প্রতিমা ঘাটে নিয়ে আসার পর ধূপ ধুনো দিয়ে আরতিতে মেতে ওঠেন ভক্তরা।
দশমী ঘাটে বিসর্জন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মুছাম্মাৎ শাহীনা আক্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো: হাবিবুর রহমান, সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্ণেল কামরুল হাসান। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হীরালাল চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সহদেব চন্দ্র দাসের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও পৌর প্রশাসক গোলাম মোহাম্মদ বাতেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজমুল আহসান। এছাড়া বক্তব্য রাখেন জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সভাপতি শুকদেব নাথ তপন, সহ-সভাপতি সমির চন্দ্র কর, সাধারণ সম্পাদক লিটন সাহা, জেলা বিএনপির সদস্য পার্থ পাল চৌধুরী, সদর উপজেলা যুগ্ম-আহবায়ক তপন কর, সদর উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন কুমার বসাক, পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমর দেবনাথ।
এবার জেলায় ১শ ৪৬টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পূজার নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব, আনসার সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়াও বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা দায়িত্ব পালন করে।