নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কের ফোকাস কোচিং সেন্টার (বিশ^বিদ্যালয় ভর্তি কোচিং) থেকে গ্রেফতার হওয়া ২৬ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৬ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আদালত সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ২৬ জনের জামিন আবেদন করেন আইনজীবী মাঈন উদ্দিন ও আবুল বাশার আরিফ। শুনানী শেষে জেলা ও দায়রা জজ আবু সালেহ মোহাম্মদ রুহুল ইমরান ১৬ জনের আবেদন মঞ্জুর করেন। জামিনপ্রাপ্তরা হলো- ফেনী শহরের মিজান রোডের মক্কা টাওয়ারের আবদুল মান্নানের ছেলে আবদুল আলিম (২১), শর্শদী ইউনিয়নের আকতার হোসেনের ছেলে আবু জাফর (২৫), কাজিরবাগ ইউনিয়নের সোনাপুর এলাকার মোস্তফা ফারুকের ছেলে আনিছুর রহমান (২০), ফাজিলপুর এলাকার মো: সিকান্তরের ছেলে মো: সেজান (২০), সোনাগাজীর আমিরবাদ ইউনিয়নের আহম্মদপুর গ্রামের জামশেদ আলমের ছেলে নুর মোহাম্মদ (২০), চরছান্দিয়া এলাকার হেদায়েত উল্যাহর ছেলে জহিরুল ইসলাম (২০), ভাদাদিয়া এলাকার আবু নাছেরের ছেলে মোরশেদুল ইসলাম (১৯), দাগনভূঞার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের কোশল্যা এলাকার মো: হোসাইনের ছেলে নোমায়ের বিন হোসাইন (১৯), ছাগলনাইয়ার থানার নিশ্চিন্তা এলাকার শাহজাদা বাবুলের ছেলে আবদুল্লাহ আল ফাহাদ (২০), ফুলগাজীর মুন্সীরহাট ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর এলাকার আকবর হোসেনের ছেলে মো: জুনায়েদ (১৯), বাসুড়া এলাকার আমান উল্যাহর ছেলে মো: আরিফ (১৯), পরশুরামের গদানগর এলাকার আবদুল করিমের ছেলে আজিমুন করিম (২০), নোয়াখালীর সেনবাগ থানার অর্জুনতলা এলাকার বেলায়েত হোসেনের ছেলে মো: সায়েম (১৮), চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড থানার শেখেরহাট এলাকার আবু জাফরের ছেলে মো: ফাহিম (১৯), মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার মিয়ারহাট এলাকার আখতার হোসেনের ছেলে তাহমিদ শাহরিয়ার (১৯), ল²ীপুর জেলার রায়পুর থানার চর আবাবিল এলাকার দুলাল মাতবরের ছেলে আবদুল কাদের (২৫)।
আসামীপক্ষের আইনজীবী আবুল বাসার আরিফ জানান, আগামী ৬ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে আবেদন করায় আদালত ১৬ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন। আগামী কার্যদিবসে অপর ১০ জনের জামিন আবেদন করা হবে।
এর আগে গত ১১ এপ্রিল শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কের ফোকাস কোচিং সেন্টারে শিবিরের নেতাকর্মীরা সংগঠিত হয়ে নাশকতার পরিকল্পনায় মিটিং করার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ঘেরাও করলে পুলিশ ২৬ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের এসআই সৈয়দ ফারুক বাদি হয়ে ফেনী মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেন। সেখান থেকে ৬টি ককটেল উদ্ধার ও বেশ কিছু বইপত্র জব্দ করার কথা জানানো হয়।