নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনী জেলায় এবার ২ লাখ ৫৬ হাজার ২শ ৯ জন জন শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস খাওয়ানো হচ্ছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত জেলায় ১ হাজার ১৩০টি অস্থায়ী, ৮টি স্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ ৪টি সহ ১ হাজার ১৪২টি কেন্দ্রে এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর কার্যক্রম চলছে।
সকালে ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেন ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহাম্মদ চৌধুরী নাসিম। এসময় উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাগণ এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ফেনী পৌরসভার টিকাদান কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে শিশুদের টিকা খাইয়ে দেন পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী। এসময় পৌরসভার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: কৃষ্ণপদ সাহা সঙ্গে ছিলেন।
চিকিৎসকরা জানান, ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে চোখের উপর অনেক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। রাতকানা, কনজাংটিভার শুষ্কতা, বিট স্পট, কর্নিয়ার শুষ্কতা, কর্নিয়ার ক্ষতসহ নির্দিষ্ট পরিমাণে গ্রহণ করা না হলে মানুষ শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধী হতে পারে। ভিটামিন এ শুধুমাত্র রাতকানা রোগ প্রতিরোধ নয় বরং শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ধরনের রোগ থেকে শিশুতে বাঁচাতে প্রতি বছর দেশে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়ে থাকে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, সরকারী নির্দেশনা মতে আজ শনিবার জেলার টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে দিনব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সি ৩২ হাজার ৩শ ৭১ জন শিশু এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২ লাখ ২৩ হাজার ৮৩৮ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৩১ হাজার ৬শ ৪৯ জন শিশুকে নীল রঙ্গের ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২ লাখ ২৩ হাজার ৮৩৮ জন শিশুকে লাল রঙ্গের ক্যাপসুল খাওয়ানোর প্রস্তুতি চলছে। প্রতি কেন্দ্রে দুইজন করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য ও স্বাস্থ্যকর্মী সহ ৭শ থেকে ৮শ জন এই ক্যাম্পেইনে নিয়োজিত থাকবে।