নিজস্ব প্রতিনিধি :
রোজার মাসে অন্যান্য পণ্যের মতো তরল দুধের চাহিদা থাকে অনেক বেশি। পাড়া-মহল্লার দোকান কিংবা সুপারশপ থেকে দুধ কেনেন। কিন্তু ফেনী শহরের একেক দোকানে একেক দামে প্যাকেটজাত তরল দুধ বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
শহরের বেশ কয়েকটি এগ্রো ফার্মের বিক্রয় কেন্দ্রে গিয়ে জানা গেছে, অনেকেই ইফতারি ও সাহ্রিতে গরুর দুধ দিয়ে নানারকম খাবার তৈরি করেন। ফলে দুধের চাহিদা অন্য সময়ের চেয়ে রোজায় বেড়ে যায়। রোজা শুরুর আগের দিন থেকে তরল দুধের ক্রেতা বেডে যায়। আগে যারা আধা কেজি কিংবা এক কেজি দুধ কিনতেন তারা সেদিন একসঙ্গে দুই-তিন কেজি কিনে নেন। এছাড়া আগের চেয়ে খুচরা ক্রেতার সংখ্যা বেডেছে। একেক দোকানে একেক দামে দুধ বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। দোকানভেদে প্রতিকেজি ৭৫ টাকা থেকে ৯০ টাকা দামে কিনছেন ক্রেতারা।
বড় মসজিদ রোডের আল মজিব ডেইরি ফার্মের মালিক জয়নাল আবেদিন জানান, তার দোকানে প্রতিদিন ১ হাজার ৫শ থেকে ১ হাজার ৮শ লিটার দুধের চাহিদা রয়েছে। অথচ তার ফার্মে দুধ উৎপাদন ৬০ থেকে ৭০ লিটার। বাকী দুধ তিনি বিভিন্ন ফার্ম থেকে সংগ্রহ করে ক্রেতার চাহিদা জোগান দেন। বিভিন্ন ফার্মে আগের মতো দুধ উৎপাদন না হওয়ায় একপ্রকার সংকট তৈরি হয়েছে।
লেমুয়া ইউনিয়নের গ্রীন এগ্রো ফার্মের মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: ইদ্রিস জানান, গবাদি পশুর খাদ্য মূল্য বেড়ে যাওয়া এমনকি গ্রামগঞ্জে গরু চুরি বেড়ে যাওয়ায় অনেক খামারি গরু পালন বন্ধ করে দিয়েছে। কিছুদিন আগে তার ফার্মের প্রায় ২ লাখ টাকার খগের গাদা পুড়িয়ে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। এতে তিনি নিরুপায় হয়ে কয়েকটি গরু বিক্রি করে দেন। ফলে তার ফার্মে দুধ উৎপাদন কমে গেছে।
শহরের ডাক্তারপাড়া মোড়ের ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন জানান, একসময় বিভিন্ন ফার্ম থেকে দুধ রাখতে ও বিক্রি করতে উৎসাহ দিত। এখন তাদেরকে ফোন করে দুধ পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি আরো জানান, রোজার শুরু থেকে তরল দুধের চাহিদা অধিকহারে বেড়ে গেছে। যার ফলে ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে মিষ্টির কারখানায় দুধ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছি।