শহর প্রতিনিধি :
ফেনীর বিভিন্ন হাট-বাজারে কমেছে সবজির দাম, ভোটের আগের তুলনায় মাছ বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। গাজর ও মূলার দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা বাড়লেও অধিকাংশ সবজির দাম কেজিতে কমেছে ১০ থেকে ১৫ কিংবা ২০ টাকায়। তবে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে মরিচ। মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ থেকে ১শ টাকা।
গতকাল মঙ্গলবার ফেনী বড় বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফুলকপি কেজিপ্রতি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা আগে বিক্রি হয়েছিল ৮০ টাকায়। সীম বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১শ টাকায়, যা আগে ছিল ১শ ২০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, যা আগে ছিল ৫০ টাকা। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, যা আগে ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা। ধনিয়া বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, যা আগে ছিল ৫০ টাকা এবং নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, যা আগে বিক্রি হয়েছিল ৬৫ টাকায়।
অন্যদিকে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে মরিচ। মরচি যেখানে ভোটের আগে শুক্র ও শনিবারে বিক্রি হয়েছিল ৪০ টাকায়, সেখানে তা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া বেড়েছে গাজর ও মূলার দামও। গাজর ও মূলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, যা আগে বিক্রি হয়েছিল যথাক্রমে ৪০ ও ৩৫ টাকায়।
সবজির দাম কমলেও বেড়েছে মাছের দাম। কাতল মাছ নির্বাচনের আগে যেখানে বিক্রি হতো ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায়, তা গতকাল বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩০ টাকায়। রুই আগে বিক্রি হয়েছিল ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, তা এখন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায়। পাঙ্গাশ বিক্রি হয়েছিল ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়,তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকায়। ইলিশ বড়গুলা বিক্রি হয়েছিল ১০০০ টাকায়, যা এখন বেড়ে ১১০০ টাকায়, ছোটগুলা ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায়,যা এখন বেড়ে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এবং চিংড়িও প্রতি কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়।
দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মাছ বিক্রেতা বেলায়ত হোসেন ফেনীর সময় কে জানান, মাছ না আসায় ক্রেতা বেশি থাকায় দাম বেড়ে গিয়েছে। ভোটের কারণে মাছ তেমন আসতে পারেনি ফলে দাম বেড়ে গেছে। বেশি দামে কেনায় আমরাও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।