নিজস্ব প্রতিনিধি :
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ডাকা হরতালে ফাঁকা হয়ে আছে ফেনীর আভ্যন্তরীন বিভিন্ন সড়ক এমনকি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কও। অন্যান্য দিনের তুলনায় গণপরিবহন কম রয়েছে। কিছু সংখ্যক সিএনজি অটোরিক্সা ও রিক্সা চলাচল করলেও যাত্রী পরিমাণ অনেক কম।
রবিবার শহরের মহিপাল গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কিছুক্ষণ পরপর দু’একটি কাভার্ডভ্যান ও ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার-মোটর সাইকেল চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে যাত্রীবাহী দূরপাল্লার কোন বাস যাতায়াত করেনি। ফেনী থেকে স্টার লাইন পরিবহনের কোন বাস ছেড়ে যায়নি। ফেনী-নোয়াখালী, ফেনী-বসুরহাট, ফেনী-সোনাগাজী সড়কে বাস চলাচল বন্ধ ছিল। মহিপাল টার্মিনাল ও মহাসড়কের ঢাকা-চট্টগ্রামমুখী লেনের দুই পাশে এসব গাড়ী স্টপেজ করে রাখা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে শহরের ট্রাংক রোড, শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক, মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে সহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশের পাশাপাশি র্যাবও টহলে রয়েছে। আনসার সদস্যদেরও নামানো হয়েছে।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহীদুল্লা কায়সার সড়ক সংলগ্ন ইসলামপুর সড়কে কয়েকটি ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায় হরতালকারীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালিয়ে যায়।
১২টার দিকে হরতালের সমর্থনে শহরের তাকিয়া রোডে মিছিল বের করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী।
পুলিশ সূত্র জানায়, ফেনী-সোনাইমুড়ী সড়কের বিরলী এলকায় সড়কে আগুন জ¦ালিয়ে পিকেটিং করতে গিয়ে শাকিব নামে একজনকে পুলিশকে আটক করে। শাকিব পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের রতনপুর এলাকার আবুল কালামের ছেলে।
ছাগলনাইয়া থানার ওসি সুদ্বীপ রায় জানান, ছাগলনাইয়া উপজেলার চাঁদগাজী বাজারে গাড়ী ভাংচুর করতে চাইলে আরিফ (৩৪) ও জাকির হোসেন (২৫) কে আটক করা হয়। এর আগে তারা একটি ট্রাকের গ্লাস ভাংচুর করে।
পুলিশ সুপার জাকির হাসান জানান, মানুষের নিরাপত্তা নির্বিঘ্ন ও নাশকতা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছে। হরতালের আগের দিন রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়।