সদর প্রতিনিধি:
ফেনীতে কলেজ ছাত্রী মিতা রানী নাথের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার মিতার বাবা তপন লাল নাথ বাদি হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় পৌরসভার পশ্চিম মধুপুর এলাকার জয়ন্ত সাহার ছেলে অজয় সাহা (২১) কে আসামী করা হয়েছে। এদিকে মিতার কোথায় মৃত্যু হয়েছে; কিভাবে মৃত্যু হয়েছে এবং মৃত্যুর সময় তার সাথে কে বা কারা ছিলো এসব উত্তরের ধোঁয়াশা কাটছেনা।
জানা যায়, শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে গুরুত্বর জখম ও রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা এসে মিতা রানী নাথকে হাসপাতালে ভর্তি করপ। কিছুক্ষণ পরই মিতা রানী মারা যান। ভর্তির সময় অজ্ঞাত আনয়নকারী ব্যক্তিরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের খাইয়ারা নামক স্থানে মিতা মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে জানিয়ে সটকে পড়েন। তবে ফাজিলপুর হাইওয়ে পুলিশ ও ঘটনাস্থলের স্থানীয়রা শনিবার রাতে খাইয়ারাসহ আশপাশের এলাকায় কোন সড়ক দূর্ঘটনা ঘটেনি বলে দাবী করে আসছেন। নিহত মিতা রানী ফেনী শহরের মাস্টার পাড়াস্থ স্বপ্নারাণী ভবনের ভাড়াটিয়া তপন লাল নাথের মেয়ে। তিনি ফুলগাজী সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী হলেও ফেনী সরকারী কলেজেই শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিতেন। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে তার সরব অংশগ্রহণ ছিলো।
মামলার এজহারে নিহত মিতার পিতা তপন লাল নাথ উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত অজয় সাহা তার মেয়ে মিতাকে নিয়ে মহাসড়কের লালপোল এলাকায় বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর সময় ছিটকে পড়ে মারা গেছে। এজন্য তিনি অজয় সাহাকে আসামী করে সড়ক পরিবহন আইনের ৯৮/১০৫ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন।
ফেনী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শামছুজ্জামান বলেন, সড়ক দূর্ঘটনায় মিতা রানী নামের এক শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় তার পিতা বাদি হয়ে এজহার জমা দিয়েছেন। তদন্তে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে।