নিজস্ব প্রতিনিধি :
ফেনীতে রাষ্ট্র সংস্কারে জাতীয় ঐক্যমত্য ও নাগরিক ভাবনা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে শহরের কুমিল্লা বাসস্ট্যান্ড এলাকার জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন মিলনায়তনে সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক ফেনী জেলা শাখা কমিটির আয়োজনে গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন বরেণ্য শিক্ষাবিদ, ফেনী ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার প্রফেসর তায়বুল হক। সুজন ফেনী জেলা শাখা কমিটির সাধারন সম্পাদক ও দৈনিক ফেনীর সময় সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।
সুজন ফেনী জেলা কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ হোসেনের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন ফেনী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ এনামুল হক খোন্দকার, সরকারী জিয়া মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক সন্তোষ রঞ্জন নাথ, ফেনী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি একেএম আবদুর রহীম ও মুহাম্মদ আবু তাহের ভূঁইয়া, আনন্দ তারকা সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন, সুজন দাগনভূঞা উপজেলা সভাপতি আবু তাহের, ফেনী জেলা কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফারুক আহমেদ, স্টার লাইন গ্রুপের পরিচালক মো: মাঈন উদ্দিন, আমার দেশ পাঠক ফোরাম সভাপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও সদস্য সচিব আবদুস সালাম ফরায়েজী, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মহিউদ্দিন খোন্দকার, সুজন নোয়াখালী জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু নাছের মঞ্জু, কোষাধ্যক্ষ ইকবাল হোসেন সুমন, বন্ধুর বন্ধন সভাপতি জিএম তাজউদ্দিন পলাশ, ব্যবসায়ী সাইদুল মিল্লাত মুক্তা, নাট্যব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন সাইমুম, সুজন সদর উপজেলা সভাপতি এম. মামুনুর রশিদ, জাসাস জেলা কমিটির সভাপতি কাজী ইকবাল আহমদ পরান, ফেনী শহর ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান সোহেল, ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটটির যুগ্ম-সম্পাদক নুর উল্লাহ কায়সার, ইয়ুথ জার্নালিস্ট ফোরামের জেলা সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান হাজারী ডালিম, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন ও সেচ্ছাসেবী সংগঠক ওসমান গনি রাসেল প্রমুখ। এছাড়া বৈঠকে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও সুজনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রফেসর তায়বুল হক বলেন, ‘রাজনৈতিক দলসমূহে সংস্কার ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার সংস্কার হলে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হবে। আমাদের যে আইন গুলো আছে তা যদি প্রয়োগ হতো তাহলে আজ দেশের এই অবস্থা হতো না। আমাদের আইনগুলো আইনের জায়গায় ঠিক থাকে কিন্তু প্রয়োগ হয় না। আমাদের দেশে সংস্কারের কথা আসে সংস্কারে প্রস্তাবনা হয় কিন্তু কখনোই সংস্কার হয় না, যা গত ৫৪ বছরে হয়নি। আমরা এখন থেকে যত প্রস্তাবনা দিবো সংস্কার কমিশন এটাকে আমলে নিবে না, সংস্কার কমিশন গুলো ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বসেছে তাদের প্রস্তাবনা শুনেছে এবং সেই অনুযায়ী সংস্কার প্রস্তাবনা সরকারের কাছে দিবে। সাধারণ জনগণ সংস্কারের ক্ষেত্রে তেমন কোন প্রস্তাবনা দিতেই পারবে না। যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করছে তারা রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ করবে তবে রাজনৈতিক দলগুলোকেও তাদের নিজেদের মধ্যে সংস্কার করতে হবে তাহলে আমরা স্বচ্ছ জবাবদিহিতামূলক দেশ গড়তে পারবো।’