দৈনিক ফেনীর সময়

রাজাঝির দীঘির পাড়ে শীতবস্ত্র বিক্রির ধুম

রাজাঝির দীঘির পাড়ে শীতবস্ত্র বিক্রির ধুম

আরিফ শুভ্র :

কেউ মাইক লাগিয়ে আর কেউ ডেকে ডেকে শীতের পোশাক বিক্রি করছেন। তাদের হাঁকডাকে অনেক মানুষই ভিড় করছেন দোকানে। যাদের পছন্দ হচ্ছে দামাদামি করে নিচ্ছেন শীতের পোশাক। এই চিত্র মঙ্গলবার শহরের ট্রাংক রোডের রাজাঝির দীঘির পাড়ের। মার্কেটের চেয়ে তুলনামূলক দাম কম হওয়ায় নিম্নবিত্ত এমনকি মধ্যবিত্ত আয়ের অনেকের ভরসা গরিবের মার্কেট হিসেবে পরিচিত ফুটপাতের এই বাজার।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজাঝির দীঘিরপাড়ে দোকানগুলোর সামনে দাঁড়ানোর সুযোগ নেই। নারী-পুরুষ সবাই শীতের কাপড় কিনতে ব্যস্ত। নিজের জন্য কিংবা পরিবারের সদস্যদের পছন্দমত পোশাক কিনছেন। গার্মেন্টস সামগ্রীর দোকানেও রয়েছে প্রচুর ভীড়। এসব দোকানে সোয়েটার, টাইস, জ্যাকেট, বাচ্চাদের কানটুপি, মেয়েদের কার্ডিগান, মাফলার, মোজা, ট্রাউজার, কম্বলের চাহিদা বেশি।

গত কয়েকদিনে শীতের তীব্রতা বাড়ায় শীতবস্ত্র বেচাকেনার ধুম পড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। খোকন নামে এক বিক্রেতা জানান, ৩০ থেকে ৫০-১শ টাকা দামেও বাচ্চাদের পোশাক তিনি বিক্রি করছেন। তার দোকানে ছোটদের পোশাকের কালেকশান বেশি। বেচাবিক্রিও হচ্ছে বেশ।

আরেক বিক্রেতা জানান, মার্কেট থেকে দীঘিরপাড়ে সব জিনিসের দাম কম। মূলত কম দাম হওয়ায় এসব পোশাকে মানুষের ঝোঁক বেশি।

আরেক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী জানান, এখন শীতের কেনাকাটা ধুমধামে চলছে। সস্তা দামে শীতের ভালোভালো পোশাক পাওয়া যায়। সেজন্য নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তরা ছুটে আসেন।

নোয়াখালীর সেনবাগ থেকে আসা এক ব্রিক ফিল্ড শ্রমিক জানান, গরিব মানুষের মার্কেট দীঘিরপাড়ের দোকান। কম দামে কিনতে পারায় প্রায়্ই এখান থেকে কেনাকাটা করি।

বরিশাল জেলার বাসিন্দা রেয়াজুর দীর্থদিন ফেনী জেলায় দিনমজুর করেন। কম্বল কিনতে আসেন তিনি। তার দাবী, দোকানদার কম্বলের দাম আগের চেয়ে বেশি চাইছেন। তাই কিনতে পারেননি। টাকা জোগাড় করে হলেও কম্বল কিনতে হবে। গত ক’দিন ধরে শীত বেশি পড়ায় কষ্ট হচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কন্টেন্ট সুরক্ষিত!!