নিজস্ব প্রতিনিধি :
সোনাগাজীতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে এক ঘণ্টার প্রতীকী দায়িত্ব পালন করেছে কিশোরী ফারজানা আহমেদ অহনা (১৬)। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারটায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটনের কাছ থেকে প্রতীকী দায়িত্ব নেয় ফারজানা। এসময় চেয়ারম্যান তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
নারীর ক্ষমতায়নের দৃষ্টান্ত হিসেবে আন্তর্জাতিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্লান ইন্টারন্যাশনাল, ন্যাশনাল চিলড্রেন ট্রান্সফোর্স (এনসিটিএফ), অপরাজেয় বাংলাদেশ ও ইয়েস বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ফারজানা আহমেদ অহনা চলতি বছর ফেনী শহরের জিএ একাডেমী স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। সে ফেনী বন্ধুসভার অর্থসম্পাদক ও জেলা ন্যাশনাল চিলড্রেন টাস্কফোর্সের (এনসিটিএফ) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি।
ইয়েস বাংলাদেশ জেলা স্বেচ্ছাসেবক আদিবা তাবাচ্ছুমের সঞ্চালনায় প্রতীকী দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে দৈনিক কালের কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান দারা, ইয়েস বাংলাদেশ জেলা স্বেচ্ছাসেবক মোস্তাফিজুর রহমান, এনসিটিএফ জেলা সাধারন সম্পাদক নাসিফ আল মাহমুদ, সাবেক সভাপতি মাহবুবা তাবাচ্ছুম ইমা, সাবেক জেলা স্বেচ্ছাসেবক ইমাম উদ্দিন আহমেদ ইমনসহ উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রতীকী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারজানা আহমেদ অহনা বলেন, আমি পিছিয়ে পড়া নারীদের পাশে থাকতে চাই। এই উপজেলার বাল্যবিবাহ রোধে কাজ করব। নারী নির্যাতন, নিপীড়নসহ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে এবং নারী বান্ধব উপজেলা হিসাবে গড়ে তুলে নারীর উন্নয়নে কাজ করবো। এছাড়া উন্মুক্ত আলোচনায় বেশ কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়।
প্রতীকী দায়িত্ব পাওয়া চেয়ারম্যানের সুপারিশসমূহ আমলে নেয়ার আশ্বাস দিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন তৃনমূল পর্যায়ে পৌছে গেছে। নারীর অবদান এখন দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে। আজ সর্বক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নারীরা। তরুণ প্রজন্ম ও নারীরাই একদিন দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। আমরা নারীবান্ধব উপজেলা পরিষদ ও নারীর সংহিংসতা রোধে কাজ করবো এবং স্কুল ছাত্রী সকল সুপারিশ আমরা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবো। উন্মুক্ত আলোচনায় যেসব সুপারিশ এসেছে, তা বাস্তববায়নের চেষ্টা করব।’
প্রতীকী উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়া ফারজানা আহমেদ অহনা বলে, সোনাগাজী উপজেলার উন্নয়নই আমার স্বপ্ন। আমরা শিশুরা যা মনে মনে উন্নয়নের স্বপ্ন দেখতাম, তা সুপারিশ আকারে গ্রহণ করা হয়েছে। তবে এত বড় একটি দায়িত্ব পেয়ে আমি গর্ববোধ করছি। দিনটি আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’