ইলিয়াছ সুমন :
সমুদ্র উপকূলীয় উপজেলার মুহুরি প্রজেক্ট আনসার ক্যাম্পের কার্যক্রম চলছে ঝুকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ ভবনে। যে কোন মুহুর্তে দূর্ঘটনার আশংকা রয়েছে
সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মুহুরি সেচ প্রকল্পের আওতায় মুহুরি ব্রিজে দায়িত্ব পালন করেছে আনসার সদস্যরা। একটু পাশে তাদের থাকার জন্য ক্যাম্পটিতে গিয়ে দেখা গেছে, দেয়ালে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ, দরজা জানালা গুলো জোড়াতালি দেয়া। পাশের কয়েকটি রুমের দরজা জানালা নেই। কয়েকটি রুম পরিত্যক্ত। ভবনটির পাশের ৩ টি রুমে আড়াআড়ি করে দশজন আনসার সদস্য ক্যাম্পটিতে থাকেন। এদের প্রতি চারজন আনসার সদস্যের জন্য একটি ফ্যান ঝুলানো আছে। তাদের ব্যাবহত (খাট) চকি গুলো নড়বড়ে। প্রবেশ মুখে দেয়ালের ছাদের পলেস্তারা নেই। বিম গুলো থেকে পলেস্তারা পড়ে রড় গুলো বেরিয়ে রয়েছে। চারদিকে মশা-মাছি। নেই সুপেয় পানির ব্যাবস্থা। পানিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। নেই স্বাস্থ্য সম্মত শৌচাগার। এমন নানা সমস্যা নিয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর জরাজীর্ণ ও ঝুকিপূর্ণ ভবনে মানবেতর জীবনযাপন করে দায়িত্ব পালন করছে আনসার সদস্যরা।
আরো দেখা গেছে, এ ভবনের আশপাশে আরো বেশ কয়েকটি টিনসেড ভবন রয়েছে। পরিত্যক্ত আবস্থায় কয়েকটি স্থানীয় জেলে ও প্রভাবশালীরা দখল করে রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, পরিত্যক্ত ঐ ঘর গুলোতে রাতের বেলায় মাদকাসক্তরা আসর বসায়। উপকূল হওয়ায় এখানে কেউ প্রতিবাদ করেনা।
জানতে চাইলে সোনাগাজী উপজেলা আনসার ক্যাম্পের ইনচার্জ পিসি হাসানুজ্জামান জানান, আমাদের এ আনসার ক্যাম্প ভবনটি অনেক পুরাতন। এখানে থাকার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এখানে সরেজমিনে না দেখলে কেউ বিশ্বাস করবে না আমরা কি ভাবে দায়িত্ব পালন করছি। তিনি বলেন, এখানে নানা সমস্যা রয়েছে এ সকল বিষয়ে, জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট কে অবহিত করা হয়েছে। উপজেলা আনসার কর্মকর্তা খাদিজা ইসলাম জানান, দীর্ঘ দিন আগে থেকে আনসার কার্যালয়টি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে।
জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট মো: হেলাল উদ্দীন জানান, মুহুরি সেচ প্রকল্পে দায়িত্ব ১০ জন আনসার সদস্য পদায়ন রয়েছে। তাদের থাকার ঘরটি ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে হয়েছে।দেয়ালে পলেস্তরা গুলো ঝরে পড়ছে। এ বিষয়ে ফেনী জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড়ের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে সমস্যার বিষয়ে চিঠি দিয়ে অবগত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আক্তার হোসেন মজুমদার বলেন, ১৯৮০ সালে মুহুরি সেচ প্রকল্পের কাজ করার সময় প্রজেক্ট এলাকায় কয়েকটি টিনসেড ভবন করা হয়েছে। পরবর্তীতে ঐ ঘর গুলোতে আনসার সদস্য, বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পের ও পানি উন্নয়ন বোডের লোকজন ব্যবহার করতো। এ বিষয়ে আমরা উর্দ্বতন কতৃপক্ষের কাছে বিষয়টি অবহিত করা হবে। এবং বরাদ্দ এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।